Ritabhari Chakraborty

অস্কার দৌড়ে ঋতাভরীর ছবি, ভারত-পাপুয়া নিউ গিনির যৌথ উদ্যোগ, কোন চরিত্রে অভিনেত্রী?

প্রচারে থাকতে যেমন-তেমন সিনেমা করবেন, এমন মানসকিতা নেই ঋতাভরীর। আগামী দিনে কী পরিকল্পনা অভিনেত্রীর?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২৫ ১৮:৫৪
Share:

অস্কার দৌড়ে ঋতাভরীর ছবি। ছবি: সংগৃহীত।

প্রশান্ত মহাসাগরের একটি ছোট দ্বীপরাষ্ট্র পাপুয়া নিউ গিনি। সে দেশের ছবি ‘পাপা বুকা’ এই প্রথম অস্কারের দৌড়ে। ফিচার ফিল্ম সেকশনে মনোনয়ন পেয়েছে এই ছবি। এটি ভারতের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে। এই ছবিতেই অভিনয় করেছেন বঙ্গতনয়া ঋতাভরী চক্রবর্তী। বিশ্বের দুই প্রান্তকে এ ভাবেই এক সুতোয় বেঁধে দিলেন ঋতাভরী। আনন্দবাজার ডট কমকে জানালেন নিজের উচ্ছ্বাসের কথা।

Advertisement

ভারতীয় পরিচালক বিজুকুমার দামোদরনের এই দ্বিভাষিক (হিন্দি ও ইংরেজি) ছবিতে ঋতাভরীকে দেখা যাবে এক ইতিহাসচর্চাকারীর চরিত্রে। স্বাধীনতার ৫০তম বছরে পাপুয়া নিউ গিনি এই প্রথম অস্কারের মঞ্চে পাঠাচ্ছে নিজেদের ছবি। ঋতাভরীর কথায়, ‘‘ভারত ও পাপুয়া নিউ গিনির যৌথ প্রযোজনায় তৈরি এই ছবিতে দুই দেশের ভাষাই রয়েছে চরিত্রদের মুখে। ছবিতে তিনটে মূল চরিত্র একজন মলয়ালি, অন্যজন পাপা বুকা আর আমি একজন বাঙালি চরিত্রে। কিন্তু বাংলায় কথা বলেছি। কারণ, পরিচালক মনে করেছেন যখন আমি বাংলায় লেখা কোনও চিঠি পড়ছি সেটা অন্য ভাষায় পড়ার কোনও অর্থ দাঁড়ায় না। ২০১৫ সালে একটা ফেস্টিভ্যালে আলাপ হয় পরিচালকের সঙ্গে। তখন ওঁকে বলেছিলাম, আমাকে ছবিতে না নিলে কেরলে গিয়ে খুন করে আসব। উনি কথা রেখেছেন। যদিও মজা করে বলেছিলাম।’’

‘পাপা বুকা’ ছবির পোস্টার।

আন্তর্জাতিক মঞ্চে মনোনীত হয়েছে ঋতাভরীর ছবি। কিন্তু বাংলা ছবিতে কি উপস্থিতি কমছে তাঁর? অভিনেত্রীর সাফ কথা, ‘‘আমি একটা সীমায় নিজেকে বেঁধে রাখতে চাই না। আমি ভাল ছবি করতে চাই। আমি দক্ষিণী ছবি, বহু হিন্দি ছবির প্রস্তাব ফিরিয়েছি। কারণ, সেগুলোর প্রত্যেকটাই খারাপ। হয়তো বড় প্রযোজক পেয়ে যেত ছবিগুলো, নামও হত। কিন্তু শুধু প্রচারে থাকতে ছবি করতে চাই না। সে ক্ষেত্রে, আমার শিল্পের প্রতি অন্যায় করা হত। আমি তেমনই ছবি করব, যেগুলোর একটা মানে আছে। হয় সিনেমাপ্রেমীদের জন্য করব কিংবা মানুষকে বিনোদন দেওয়ার জন্য করব। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির যা অবস্থা, মিলিয়ে মিশিয়ে কাজ না করলে হবে না। আসলে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির পসারটা একটু তো কমেছে। আর মানুষ কিন্তু ভুলভাল ছবি দেখলে যথেষ্ট রেগে যাচ্ছে। তাই তেমন কোনও কাজ করতে চাই না।’’ তার পরেও ঋতাভরী কৃতজ্ঞ বাংলা ইন্ডাস্ট্রির কাছে। কারণ, জাতীয় স্তরে কিংবা আন্তর্জাতিক স্তরে তিনি কাজ পাচ্ছেন। তাঁর মতে কারণটা কিন্তু সেই বাংলা ছবিই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement