শুটিংয়ের গল্প বললেন রুদ্রনীল ঘোষ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
পরিচালক ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তের ‘গৃহপ্রবেশ’ রুদ্রনীল ঘোষকে অনেক দিন পর বড় পর্দায় ফিরিয়ে এনেছে। রাজনীতিবিদ-অভিনেতার অভিনয়ও প্রশংসিত। ছবির প্রচারে যখনই তিনি প্রেক্ষাগৃহে দর্শকদের মাঝে তখনই প্রশ্ন ধেয়ে এসেছে, পর্দায় কবে আবার আগের মতো দেখা যাবে রুদ্রনীলকে? একই প্রশ্ন নিয়ে আনন্দবাজার ডট কম যোগাযোগ করেছিল অভিনেতার সঙ্গে। ১৪ অগস্ট মুক্তি পাবে ‘ধূমকেতু’। ছবিটি যদিও আট বছর আগে করা। তালিকায় আপাতত এটিই।
আট বছর আগে বাংলা বিনোদনদুনিয়া ছিল অন্য রকম। তখনও এত ইঁদুরদৌড় ছিল না। তারই ছাপ পড়েছিল ‘ধূমকেতু’র শুটিংয়ে। রুদ্রনীলের কথায়, “দেব ছবির নায়ক। আমাকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে বেছেছিলেন পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। দেব কিন্তু সেটে কোনও স্টারডম দেখায়নি। পরিশ্রম করেছে বাকিদের মতো। যা দেখে ওর সঙ্গে বন্ধুত্ব করার ইচ্ছে জেগেছিল।” প্রসঙ্গত, ‘লাভ এক্সপ্রেস’-এর পর দেব-রুদ্রনীল দ্বিতীয় বার পর্দাভাগ করতে চলেছেন এই ছবিতে।
চিত্রনাট্য মেনে উত্তরাখণ্ডের বরফঢাকা অঞ্চল, যেমন শিমলা, কুল্লু, মনালী-সহ সমস্ত পার্বত্য উপত্যকায় শুটিং হয়েছিল। “মাইনাসে তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে। বাতাসে অক্সিজেনের অভাব। প্রথম দিন পা রেখেই প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে গিয়েছিল। ভেবেছিলাম, শুটিং করতেই পারব না। সে দিন দেবের ধৈর্য, পরিশ্রম আমায় অনুপ্রাণিত করেছিল। আমি কিন্তু শুটিং ছেড়ে যাইনি।” প্রবল ঠান্ডায় জ্বর এসে গিয়েছিল পরিচালকের। বাধ্য হয়ে সহ-পরিচালক চন্দ্রাশিস রায়ের উপরে শুটিংয়ের ভার দিয়ে তিনি নেমে গিয়েছিলেন নীচে। সে দিন টেকনিশিয়ানদের সঙ্গে বেলচা হাতে নেমেছিলেন দেবও। বরফ কেটে শুটিংয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন।
রুদ্রনীলের দাবি, একা দেব নয়, শুভশ্রীও সমান পরিশ্রম করেছে। প্রত্যেক দৃশ্য যাতে জীবন্ত হয়, তার জন্য প্রয়োজনে একাধিক বার শট দিয়েছেন। যা পর্দায় প্রতিফলিত হবে বলেই তাঁর বিশ্বাস। “সেই জন্যই ছবির টি়জ়ার খুব অল্প সময়ে মিলিয়ন ভিউয়ার্স ছুঁয়ে ফেলতে পেরেছে”, দাবি অভিনেতার। বাংলা ছবির স্বার্থে তা হলে আরও একবার দেব-শুভশ্রী জুটি ফিরুক? রুদ্রনীলও মনে করেন, ফেরা উচিত এই জুটির। বলেছেন, “দুই অভিনেতা যদি রাজি থাকেন তা হলে পরিচালকদের উভয়কে নিয়ে ভাবা উচিত। ওঁরা পৃথক ভাবেও সফল। ওঁদের সাফল্য বাংলা ছবির সাফল্যকে ফিরিয়ে আনতে যথেষ্ট সহযোগিতা করবে।” একই ভাবে তাঁর অনুরোধ কৌশিককেও। দাবি, ‘ধূমকেতু’ পরিচালকের ঝুলির মধ্যে থাকা অন্যতম সেরা ছবি। কৌশিকের উচিত এ রকম আরও ছবি বানানো।