Entertainment News

ঠাম্মার বয়ফ্রেন্ড!

নামটা শুনে চমকে গেলেন তো? সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কী ভাবে এমনটা সম্ভব? শুটিং স্পট থেকে খবর দিলেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য।লম্বা গাউন, জাঙ্ক জুয়েলারি, সঙ্গে মানানসই মেকআপ— এই হল নন্দিনী মিত্রের ওয়ান লাইনার স্কেচ। ছবিটা দেখেই বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৬ ১১:২৯
Share:

শুটিংয়ের মাঝে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়।

লম্বা গাউন, জাঙ্ক জুয়েলারি, সঙ্গে মানানসই মেকআপ— এই হল নন্দিনী মিত্রের ওয়ান লাইনার স্কেচ। ছবিটা দেখেই বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই।

Advertisement

না! নন্দিনী কোনও কলেজ পড়ুয়া নন, ফ্যাশনিস্তা কর্পোরেট গিন্নিও নন। নন্দিনী হলেন ‘ঠাম্মা’। ছেলে, মেয়ে, নাতি, নাতনি নিয়ে তাঁর ভরা সংসার। দাভিমঙ্গলপুরের জমিদার বাড়ির এই প্রবীণা সদস্যার সদ্য এক বয়ফ্রেন্ড হয়েছে। তাঁকেই এ বার বিয়ে করতে চান তিনি!

এই বয়সে বিয়ে! শুনে অবাক হচ্ছেন তো? সত্যিই এ ঘটনা ঘটবে। তবে বাস্তবে নয়, পর্দায়। এই চিত্রনাট্যই ফ্রেমবন্দি করছেন পরিচালক অনিন্দ্য ঘোষ। বারুইপুর রাজবাড়ির আনাচ-কানাচ এখন যেন দাভিমঙ্গলপুরের জমিদার বাড়ি। সেখানেই চলছে ‘ঠাম্মা’ অর্থাত্ সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের রাজ্যপাট। ‘‘ইদানিংকালে এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করিনি। খুব মজার চরিত্র। ছবিতে আমার ছেলেমেয়েরা কলকাতায় থাকে। নাতি নাতনিরাও আছে। মফঃস্বলে বিরাট সম্পত্তি নিয়ে থাকি। কিন্তু তারা এতই ব্যস্ত যে এখন আর কেউ মায়ের খোঁজ নেয় না। হঠাত্ আমার এক বয়ফ্রেন্ড হয়। আর তাকে বিয়ে করব শুনে সকলে অবাক। আসলে সম্পত্তি হাতছাড়া হওয়ার ভয়টাই বেশি’’ শট দিতে যাওয়ার আগে বললেন সাবিত্রী।

Advertisement

কিন্তু এই বয়ফ্রেন্ডটা কে? যাঁকে নিয়ে মিত্র বাড়িতে হুলুস্থুল?

সেটাই এ ছবির মূল রহস্য। হঠাত্ই একদিন মিত্র বাড়িতে পা রাখেন ‘পার্থ’। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে ওঠেন ‘ঠাম্মার বয়ফ্রেন্ড’। কিন্তু কে এই পার্থ? কীই বা চান তিনি? কোন মতলবে মিত্র পরিবারে এসেছেন? উত্তর দিলেন স্বয়ং পর্দার ‘পার্থ’ অর্থাত্ আবির চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘পার্থর অনেকরকম উদ্দেশ্য, অভিসন্ধি থাকতে পারে। সকলকে খুব তাড়াতাড়ি গুলিয়ে দিতে তার জুড়ি নেই। চরিত্রটার মধ্যে কোথাও চালিয়াতি আছে, কোথাও ওভারস্মার্টনেস আছে, কোথাও বেশি কথা বলা আছে, আবার কোথাও বা একদম চুপ করে যাওয়াও আছে। কোনও একটা গেমপ্ল্যান রয়েছে সেটা বোঝা যাচ্ছে। এ আসলে ঠাম্মার খুব আস্থাভাজন। আর তাঁকে বিয়ে করা মানেই সম্পত্তি হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা। সে কথা ভেবেই ছেলেমেয়েরা অবাকের থেকেও অনেক বেশি ইনসিকিওয়র্ড হয়ে পড়ে।’’

বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে ঠাম্মা।

এমন অফবিট ভাবনার সূত্র কী? শেয়ার করলেন খোদ পরিচালক। ‘‘এখন বেশির ভাগ বাড়িতেই বয়স্ক মানুষরা একা থাকেন। সন্তানরা কাছে থাকেন না। ফলে একাকীত্ব গ্রাস কর‌ছে তাঁদের। সেখান থেকেই আসে ডিপ্রেশন। এ নিয়ে তো অনেক ছবিই হয়েছে। আমি ভাবলাম নতুন কী করা যায়? সেখান থেকেই ভাবনাটা আসে। মায়ের বিয়ে শুনে ছেলেমেয়েদের কী রিঅ্যাকশন হবে সেটাই ছবির বিষয়’’ লাঞ্চ ব্রেকে বললেন অনিন্দ্য।

রিয়েল লাইফের ঠাম্মারা কি রিলের ঠাম্মাকে দেখে ইন্সপায়ার্ড হবেন? সহাস্য পরিচালকের জবাব, ‘‘ইন্সপায়ার্ড হবে কি না জানি না। তবে এটা ডেফিনেটলি ভাববে যে, কেউ তো একটা বড়পর্দায় আমাদের কথা বলল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন