ছেলের নাম কেন তৈমুর? এক ঝাঁক প্রশ্নের তির বিঁধেছে সোশ্যাল দেওয়ালে।
গত বছরের ২০ ডিসেম্বর তৈমুরের জন্মের পর থেকেই সইফ-করিনার সদ্যোজাতের নাম নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। প্রায় সকলেরই মুখে একটাই প্রশ্ন, কোন আক্কেলে তুর্কি-মোঙ্গল শাসক কুখ্যাত তৈমুর লঙ্গের নামে ছেলের নামকরণ করলেন তাঁরা? এ নিয়ে নানা মুনির নানা মত। অনেকেই এর পিছনে যুক্তি-পাল্টা যুক্তি খাড়া করার চেষ্টা করেছেন। নাম বিতর্কে আগেই মুখ খুলেছেন সইফ। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে ছেলের নামের প্রসঙ্গ উঠতেই আরও বিস্ফোরক ছোটে নবাব।
আরও পড়ুন, মা হওয়ার পর কী ভাবে ওজন কমাবেন? টিপস দিলেন করিনা!
ওই সাক্ষাত্কারে সইফ বলেছেন, ‘‘গোটা বিশ্বের ইসলাম ফোবিয়া সম্বন্ধে আমি সচেতন। কিন্তু আমি তো ছেলের নাম রাম বা আলেকজান্ডার রাখব না। তা হলে ছেলের একটা ভাল মুসলিম নামও রাখতে পারব না? তাকে ধর্মীয় মূল্যবোধ শিখিয়ে বড় করব। যাতে যে কোনও লোক যখন তাকে দেখবে যেন বলে, বাহ্! ছেলেটাতো খুব সুন্দর।’’
খুদে তৈমুরের সঙ্গে সইফ-করিনা। মুম্বইয়ের বাড়িতে। পিটিআইয়ের তোলা ফাইল ছবি।
কিন্তু তুর্কি শাসক তৈমুর লঙ্গের কথা কি তাঁরা জানতেন না? ছেলের নাম রাখার আগে একবারও কি তাঁর কথা মনে হয়নি? সইফের জবাব, ‘‘আমি ওই তুর্কি শাসকের কথা জানি। কিছুটা স্বৈরাচারীও ছিলেন। কিন্তু তিনি ছিলেন তিমুর। আর আমার চেলে তৈমুর। দু’টো শুনতে এক মনে হলেও আসলে আলাদা। নামে সত্যিই কিছু যায় আসে না। আর সে দিক দিয়ে দেখতে গেলে রাজা অশোক বা আলেকজান্ডারও তো স্বৈরাচারী ছিলেন।’’
আরও পড়ুন, তৈমুরের নাম বিতর্কে মুখ খুললেন করিনা
ছেলের জন্য তৈমুর নামটাই পছন্দ হল কেন তাঁদের? সইফের দাবি, “করিনা আর আমি, দু’জনেরই তৈমুর নামের মানেটা বেশ পছন্দের। আমার ছেলের নামটা পার্সিয়ান, যার মানে লোহা।”