দুবাইয়ে একটি ড্রাইভিং স্কুলের উদ্বোধন করলেন সলমন খান!
দুবাইয়ের আল কুয়োজ এলাকায় বেলহাসা ড্রাইভিং সেন্টারের পঞ্চম ব্রাঞ্চটি উদ্বোধন হল বৃহস্পতিবার।
আবু সালেমের যাবজ্জীবন, উত্তর ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা, রাম রহিমের ডেরা, হ্যারিকেন ইরমা— এই সব খবরের সঙ্গে শিরোনামে এসেছে এই খবর। হ্যাঁ, খবরের ওজন অনুযায়ী কোনও অংশে কম নয় এই ড্রাইভিং স্কুল উদ্বোধনের ঘটনা। কেন জানেন তো? আসলে এই ড্রাইভিং স্কুলের উদ্বোধনে এ দিন দুবাইয়ে উড়ে গিয়েছিলেন সলমন খান!
‘সুলতান’ ছবিতে ট্রাক্টর চালাচ্ছেন সলমন। ছবি: ইউটিউবের সৌজন্যে।
ভিরমি খাওয়ার মতোই কথা। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে ফুটপাথবাসীকে পিষে মারার অভিযোগ উঠেছিল যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে, তিনি কিনা ড্রাইভিং স্কুলের মুখ! বেলহাসা ড্রাইভিং সেন্টারের মালিকের হলটা কী?
স্কুটার চালাচ্ছেন সলমন। ছবি: সলমনের ফ্যানক্লাবের ইনস্টাগ্রাম পেজের সৌজন্যে।
কিছু দিন আগেই অ্যান্টি স্মোকিংয়ের প্রচার করেছিলেন শাহরুখ খান। সেই সময় অনেকেই বলেছিলেন, এ বার হয়তো ড্রাইভিং স্কুলের প্রচার করতে দেখা যাবে সলমন খানকে। অবশেষে সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। গাল্ফ নিউজের খবর অনুযায়ী, আল কুয়েজের একটি মলে অত্যন্ত গোপনতা বজায় রেখে ড্রাইভিং স্কুলটির উদ্বোধন করেন সলমন। সেখানে হাজির হতে পেরেছিলেন একমাত্র আমন্ত্রিতরাই।
আরও পড়ুন, বলিউডের আন্ডারওয়ার্ল্ড যোগ
আরও পড়ুন, অভিনব বিন্দ্রার বায়োপিকে হর্ষবর্ধন কপূর
২০০২ সালে ‘হিট অ্যান্ড রান’ মামলায় নাম জড়ায় বলিউড তারকা সলমন খানের। প্রায় ১৩ বছর পর উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস হয়ে যান ‘ভাইজান’। ২০১৫-র ডিসেম্বরের শুরুতে, বম্বে হাইকোর্ট রায়ে জানিয়েছিল, সলমন খান ঘটনার দিন গাড়ি চালাচ্ছিলেন এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এমনকী ওই দিন তিনি নেশাগ্রস্ত ছিলেন তারও কোনও পাকাপোক্ত প্রমাণ মেলেনি। তাই ২০০২-এর ২৮ সেপ্টেম্বরের ওই রাতে সলমনের গাড়িটি কে চালাচ্ছিলেন তা কার্যত আজও রহস্য!
সাইকেল চালাতেও ভালবাসেন ‘ভাইজান’। ছবি: সলমনের ইনস্টাগ্রাম পেজের সৌজন্যে।
এখন প্রশ্ন হল, দুবাইয়ের ওই ড্রাইভিং স্কুলের শিক্ষার্থীরা কী শিখবেন? নিন্দুকেরা কিন্তু এও বলছেন যে, কী ভাবে ড্রাইভারের সিটে বসেও গাড়ি না চালানো যায়, সেটারই হয়তো ট্রেনিং হবে! দুবাইয়ের ট্রাফিক পুলিশই বলতে পারবে বেলহাসা ড্রাইভিং সেন্টারের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ।
এমন পরিস্থিতিতে সলমনকে ড্রাইভিং স্কুলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করার ঘটনা কিন্তু টুইটারেত্তিতে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সব মিলিয়ে শিরোনামে ‘ড্রাইভিং অ্যাম্বাসাডর সল্লু ভাই’!