Sanjay Dutt

Sanjay Dutt: ক্যানসার হয়েছে শুনে খুব কেঁদেছিলেন সঞ্জয়, তার পরেই বলেন, আমার কিচ্ছু হবে না

এক্স-রে রিপোর্ট আসতে দেখা গেল ফুসফুসের অর্ধেক জলে ভর্তি। পরিবার আশা করেছিল, হয়তো যক্ষ্মা হয়েছে। কিন্তু না, পরে জানা গেল ক্যানসারেই আক্রান্ত সঞ্জয়।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২২ ১৪:০৫
Share:

সঞ্জয় দত্ত

ক্যানসার হয়েছে শুনে শুরুতে চিৎকার করে কেঁদেছিলেন সঞ্জয় দত্ত। মৃত্যুর আতঙ্ক তাঁকে গ্রাস করেছিল। কী ভাবছিলেন তখন ‘মুন্নাভাই’? এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, ‘‘আমার স্ত্রী, সন্তান সব কিছু ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা! আমায় শেষ করে দিচ্ছিল সেই যন্ত্রণা।’’ কিন্তু টানা ৩ ঘণ্টা শোকে ডুবে থাকার পর সঞ্জয় উপলব্ধি করেন, মন দুর্বল হলে রোগ আরও পেয়ে বসবে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ঘুরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। বর্ষীয়ান অভিনেতা জোর গলায় বলে ওঠেন, ‘‘আমার কিচ্ছু হবে না।’’

বছর দুয়েক আগে কথা। করোনা আবহ, লকডাউন চলছে তখন। কোনও এক অলস দুপুরে স্নান সেরে সিঁড়ি দিয়ে উঠছিলেন সঞ্জয়। হঠাৎ বোন প্রিয়ঙ্কা দত্ত এসে দাদাকে দুঃসংবাদ দেন। কাউকে না কাউকে তো জানাতেই হত। কিন্তু আচমকা আসা এমন খবরের অভিঘাত নিতে পারেননি রোগী। কণ্ঠরোধ হয়ে আসছিল সঞ্জয়ের, শ্বাস নিতে পারছিলেন না। মনে হচ্ছিল যেন ওখানেই পড়ে যাবেন! সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারকে ফোন করেন সঞ্জয়।

Advertisement

তার পরে দফায় দফায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা। এক্স রে রিপোর্ট আসতে দেখা গেল, ফুসফুসের অর্ধেক জলে ভর্তি। পরিবারের আশা ছিল, হয়তো যক্ষ্মা হয়েছে অভিনেতার। কিন্তু না, পরে জানা গেল ক্যানসারই।

২০২০ সালের অগস্টে সঞ্জয়ের ফুসফুসে চতুর্থ স্তরের ক্যান্সার ধরা পড়ে। তার কয়েক মাস পরে, তিনি নেট মাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘‘আমার ছেলে-মেয়েদের সব থেকে ভাল উপহার দিতে চলেছি। নিশ্চিত ভাবে বেঁচে ফিরব আমি।’’ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দু’বছর আগের সেই ভয়াবহ স্মৃতির কথা ভাগ করে নিয়েছেন ‘কেজিএফ-২’-এর দুঁদে নায়ক। কী ভাবে মারণরোগের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন তিনি, কেমন করে কেমোথেরাপি নিয়েও জারি রেখেছিলেন শরীরচর্চা— সবটাই উঠে এসেছে কথোপকথনে।

Advertisement

সঞ্জয় ভেবেছিলেন বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করাবেন। কিন্তু ভিসা পাননি। পরে অভিনেতা হৃতিক রোশনের বাবা, অভিনেতা-প্রযোজক রাকেশ রোশন এক জন ভাল ক্যানসার বিশেষজ্ঞের খোঁজ দেন। সঞ্জয় হেসে বলেন, যখন ডাক্তার তাঁকে চুল পড়া এবং বমির বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন, তখন তিনিও বলেছিলেন ‘‘মেরেকো কুছ না হোগা (আমার কিছুই হবে না)।’’ শুধু তা-ই নয়, প্রত্যেক বার কেমোথেরাপির পরে রোজ এক ঘণ্টা বসে বসে সাইকেল চালাতেন অভিনেতা। দুবাইতে কেমোথেরাপি নিতেন। তার পরে দু’তিন ঘন্টা ব্যাডমিন্টন খেলতেন।

এ ভাবেই লড়েছিলেন ‘অধীরা’। পরিবার ও অনুরাগীদের দুশ্চিন্তামুক্ত করে এখন তিনি ক্যানসারমুক্ত। ১৪ এপ্রিল মুক্তি পেয়েছে সঞ্জয় দত্ত অভিনীত ‘কেজিএফ -২’। প্রথম দিনেই বক্স অফিসে ঝড় তুলে ১৩৪ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে সেই ছবি। এখন শুধু এগিয়ে চলার সময়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন