গল্প শেষে মায়ের কাছেই ‘নিমো’

‘ফাইন্ডিং নিমো’-র শুরুতে দেখায় নিমোর মা কোরালকে হামলা করে খেয়ে নিয়েছে একটি বারাকুডা মাছ। গবেষকদের মতে, এই ঘটনার পরে নিয়ম অনুযায়ী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নিমোর বাবা মার্লিনের লিঙ্গ পরিবর্তন হয়ে যাওয়া উচিত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লন্ডন শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৭ ০৩:৪১
Share:

বাবার কথার অবাধ্য হয়ে নিমোর হারিয়ে যাওয়া। তার পর সেই মা মরা ছেলেকে হন্যে হয়ে খোঁজার চেষ্টা বাবার। রোমাঞ্চকর সব কীর্তির পরে অবশেষে বাবার কাছেই ফিরে আসা ওই খুদের।

Advertisement

এক ক্লাউনফিশ পরিবারকে ঘিরে ছোটদের অত্যন্ত জনপ্রিয় অ্যানিমেশন ছবি ‘ফাইন্ডিং নিমো’।

কিন্তু গবেষকেরা বলছেন, গল্পের শেষে বাবা নয়, নিয়মমাফিক মায়ের কাছেই ফেরার কথা নিমোর।

Advertisement

কেন? কারণ, সঙ্গিনীর মৃত্যু হলে পুরুষ ক্লাউনফিশ সঙ্গে সঙ্গে লিঙ্গ পরিবর্তন করে ফেলে। ক্লাউনফিশ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষানিরীক্ষা চালানোর পরে এমনটাই দাবি করেছেন ব্রিটেনের ইক্সেটর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল বৈজ্ঞানিক। তাঁরা ফ্রান্সে ওই গবেষণা করেছেন। তাঁরাই জানাচ্ছেন, গভীর জলে যদি কোনও কারণে সঙ্গিনীর মৃত্যু হয়, তা হলে কয়েক দিনের মাথায় পুরুষ সঙ্গী লিঙ্গ পরিবর্তন করে প্রজনন ক্ষমতাসম্পন্ন মহিলা হয়ে যায়। পরিবার যাতে শেষ না হয়ে যায়, সেই কারণেই ক্লাউনফিশের মধ্যে এই পরিবর্তন হয়।

আরও পড়ুন: আবার হোঁচট ‘ট্রাম্পকেয়ারে’

‘ফাইন্ডিং নিমো’-র শুরুতে দেখায় নিমোর মা কোরালকে হামলা করে খেয়ে নিয়েছে একটি বারাকুডা মাছ। গবেষকদের মতে, এই ঘটনার পরে নিয়ম অনুযায়ী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নিমোর বাবা মার্লিনের লিঙ্গ পরিবর্তন হয়ে যাওয়া উচিত। ফলে কাহিনীতে যে আগোগোড়া মার্লিনকে বাবা হিসেবেই দেখানো হয়েছে, সেখানে বাস্তবের সঙ্গে গল্পের কিছুটা ফারাক হয়ে যাচ্ছে বলে মত গবেষকদের।

গ্রীষ্মমণ্ডলীয় পরিবেশের মাছ ক্লাউনফিশ। মূলত দেখা মেলে ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরে। ছোট আকারের সাদা, কমলা ও কালো রঙের ডোরা কাটা এই মাছটি বেশ জনপ্রিয় হলেও তাদের জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ দিকটা এত দিন ধরে অজানাই ছিল গবেষকদের কাছে। ওই গবেষক দলের এক সদস্যা সুজান মিল্স বলেন, ‘‘বেঁচে থাকা ও প্রজন্ম এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই ক্লাউনফিশ লিঙ্গ পরিবর্তন করে। কিন্তু সে মহিলা হিসেবে থাকবে, না পুরুষ, তা তার ইচ্ছের উপর নির্ভর করে।’’

গল্পের সূত্র ধরে সুজান এ-ও বলেন, ‘‘নিমো যে এত কষ্ট করে বাড়ি ফিরে আসতে পেরেছে, তাতে ছোট থেকে বড়— আমরা সবাই খুব খুশি হয়েছি। কিন্তু বাবার কাছে নয়, বাস্তবে কিন্তু মায়ের কাছেই ফিরেছে নিমো।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন