শাহরুখ
শুটিং সেরে বাড়িতে ফেরা মাত্রই সেই বাঁধাধরা প্রশ্ন, ‘আজ কী করলে?’ উত্তরটাও একঘেয়ে হতো, ‘অনেক রকমের জামাকাপড় পরে শুটিং করলাম!’ তবে ‘জ়িরো’র শুটিংয়ের পরে বাড়ি ফিরে আব্রামকে দেওয়া জবাবটা একটু অন্য রকমের হতো। ‘জ়িরো’তে শাহরুখ খানের চরিত্রটা বামনের। তাতে আব্রাম খুবই উত্তেজিত। ছবির ট্রেলার দেখে পাঁচ বছরের খুদের প্রতিক্রিয়া, ‘‘বাবাকে আমার মতো দেখতে লাগছে।’’
শুটিংয়ের পরে বাড়ি ফিরে শাহরুখকে যদি আব্রামের প্রশ্নবাণ সামলাতে হয়, তা হলে সেটে সুহানাকে সামলাতে হয়েছে। এই ছবিতে আনন্দ এল রাইকে অ্যাসিস্ট করেছেন শাহরুখ তনয়া। অভিনয় নিয়ে পড়াশোনা করতে আমেরিকায় যেতে চান সুহানা। শাহরুখ বলছিলেন, ‘‘সুহানা বলছিল বাইরে কোথাও ইন্টার্নশিপ করতে যাবে। আমিই ওকে বললাম, সেটে চলে আসতে। আর আনন্দ খুব কায়দা করে ওকে অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর বানিয়ে নিল। যাতে আমি ঠিক সময়ে সেটে চলে আসি।’’
শাহরুখ চেয়েছিলেন, সুহানা সেটে এসে সেখানকার পরিবেশ খতিয়ে দেখুক। কারণ সুহানা পরবর্তী কালে অভিনেত্রী হতে চান। তিনি থিয়েটারও করেছেন। শাহরুখের কথায়, ‘‘আমার পরিবারের কেউ যদি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আসতে চায়, তা হলে তাকে এই বিষয়ে পড়াশোনা করে আসতে হবে। সুহানা শিখুক, সিনেমাটা বুঝুক। তার পরে যদি ওকে কেউ কাস্ট করতে চায়, তখন আমি লঞ্চ করার কথা ভাবব।’’
আরও পড়ুন: প্রেমে পড়লেন পার্নো?
আনন্দ এল রাই ভেবেছিলেন, সুহানা সেটে অ্যাসিস্ট করলে শাহরুখ আর দেরি করে আসতে পারবেন না। কিন্তু সে গুড়ে বালি! তার উপর এ ছবিতে সলমন খান ক্যামিও করেছেন। ফলে দু’জনেই তাল মিলিয়ে দেরি করে আসতেন। ‘‘দু’জনে মিলে দারুণ মজা করেছি। দু’জনেই লেট করে সেটে আসতাম। কেউ কিছু বলতও না। রাত বারোটা পর্যন্ত শুট করে ভোর চারটে পর্যন্ত গল্প করতাম। অনেকে জিজ্ঞেস করেন, কবে আমরা একসঙ্গে পুরো ছবি করব? আমি বলি, আমাদের কাস্ট করার শর্ত হল, দু’জনেই দেরি করে আসব (হাসি)!’’