যশোজিৎ-সামিউল
প্রতিদিনের মতো সে দিনও জঙ্গলের মধ্যে যশোজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় আর সামিউল আলমকে নিয়ে শুটিং চলছিল। দু’জনেই হাতির পিঠে। হঠাৎ করেই দু’জনকে নিয়ে হাতি দৌড়তে শুরু করে... গোটা ইউনিটের হার্ট অ্যাটাক হওয়ার জোগাড়! কিছুতেই আর হাতিকে থামনো যাচ্ছে না। ইউনিটের লোকজন গাড়ি নিয়ে হাতির পিছনে ছুটতে শুরু করলে, সে আরও জোড়ে দৌড় লাগায়! আসলে শুটিং জ়োনের একটু দূরে আর একটি ছেলে হাতি ছিল। তার ডাক শুনেই মেয়ে হাতিটির ছুট!
‘‘ছেলে হাতিটার কাছে গিয়ে তবে থামল। ততক্ষণে ভয়ে আমাদের অবস্থা কাহিল। যশোজিৎ আর সামিউল দু’জনেই সে দিন খুব সাহস দেখিয়েছিল,’’ বলছিলেন রাজ চক্রবর্তী। তাঁর ‘অ্যাডভেঞ্চার্স অব জোজো’র শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা নিয়েই একটা ছবি হয়ে যেতে পারে। অরুণাচলের দিবাং ভ্যালিতে শুটিং করেছেন পরিচালক। তাঁর গল্পে হাতির ভূমিকা বিরাট। আর সেই হাতি খুঁজে পাওয়ার গল্পটা আরও বিরাট। রাজ বলছিলেন, ‘‘অরুণাচলে অনেকের বাড়িতে হাতি পোষা হয়। আগে কাঠের কাজ করানো হতো। এখন আর সে সব হয় না। এমনই বাড়িতে রেখে দিয়েছে। কিন্তু সেই হাতিগুলো ট্রেনড নয়। এটা একটা বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছিল।’’ তাঁরা মেয়ে হাতিটি নিয়েই মূলত শুটিং করেছেন। সেটি অপেক্ষাকৃত শান্ত। ছেলে হাতিটি নাকি একটি বিচ্ছু। গানের তালে নাচতেও পারে।
শুটিংয়ের আগে যশোজিৎ আর আলমের সঙ্গে হাতির বন্ধুত্ব করানো হয়। ওরাই হাতিকে খাওয়াত, ঘোরাত। ‘‘আলম খুব তাড়াতাড়ি হাতির সঙ্গে বন্ধুত্ব করে নিয়েছিল। হাতির শুঁড়ে পা দিয়ে উঠতে পারত। কিছু দিন পর থেকে ও-ই হাতিকে চালাত, খাওয়াত, দুপুরে ঠান্ডা জায়গায় নিয়ে গিয়ে রাখত। মাহুতের দরকার পড়ত না,’’ বলছিলেন রাজ। এ তো গেল হাতির গল্প। চাপড়ামারিতে শুটিংয়ের সময়ে বাইসন হাজির। গোটা ইউনিট শুটিং ফেলে বাইসন দর্শনে...