শ্রদ্ধা কপূর। ছবি: ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।
কথায় বলে, ‘সুখে থাকতে ভূতে কিলোয়’! শ্রদ্ধা কপূরের অভিনয় জগতে পা রাখার আগের কাণ্ডকারখানা শুনেও অনেকে সে কথাই বলছেন। তাঁর ‘কারিকুলাম ভিটে’র অভিজ্ঞতা কলামে নাকি লেখা রয়েছে, কফি শপে কাজ করেছেন শ্রদ্ধা। ভাবতে পারছেন? বিখ্যাত বলিউড অভিনেতা শক্তি কপূরের মেয়ে, ‘দ্য আশিকি টু গার্ল’ নাকি কফি শপের কর্মী ছিলেন!
আসল বিষয়টা কী?
সিনে দুনিয়ার এক সূত্র মারফত খবর, বস্টন ইউনিভার্সিটিতে সাইকোলজি নিয়ে পড়াশোনা চলাকালীন কলেজের পর নাকি সে দেশের একটি বিখ্যাত কফি স্টোরে কাজ করতেন শ্রদ্ধা।
কিন্তু এমন সিদ্ধান্তের কারণ কী?
শ্রদ্ধা নাকি খুব স্বাধীনচেতা। নিজের কাজ, নিজে করতেই পছন্দ করেন। তাই পকেট মানির পরিমাণ বাড়াতেই নাকি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। অবশ্য মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ রয়েছে, তাঁর ব্যক্তিস্বাধীন মানসিকতা।
আরও পড়ুন, ‘ইন্টারকোর্স’ শব্দে নিহালনির আপত্তি নিয়ে মুখ খুললেন শাহরুখ
এ সব শুনে অবশ্য খুশিই হয়েছেন তাঁর ফ্যানেরা। ভক্তরা বলছেন, একেই বলে শিক্ষা। বেশিরভাগ অভিনেতা-অভিনেত্রীই তো হয় মডেলিং কিংবা কোনও পরিচালককে অ্যাসিস্ট করে বলিউডে পা রাখে। তবে শ্রদ্ধা ধনী ঘরের মেয়ে হয়েও অর্থ উপার্জনের কষ্ট কী, তা বোঝার চেষ্টা করেছেন। আর সে কারণেই নাকি তিনি এতটা ‘ডাউন টু আর্থ’ বলে ধারণা ফ্যানেদের একাংশের। অনেকে আবার ‘বাড়াবাড়ি’ বলতেও ছাড়েননি। নিছক পাবলিসিটি স্টান্ট বলে অভিযোগ অপর একাংশের।
স্কুবা ডাইভিং-এ এক্সপার্ট শ্রদ্ধা অবশ্য এখন আগামী ছবি নিয়ে ব্যস্ত। আগামী জুলাইয়ে রিলিজ হতে চলেছে তাঁর বহু প্রতীক্ষিত ছবি ‘হাসিনা: দ্য কুইন অব মুম্বই’।