বলিউডে এক ঝাঁক নতুন সংগীতপ্রতিভা ধীরে ধীরে পায়ের নীচের জমিটা বেশ শক্ত করে ফেলছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ সংগীত পরিবার থেকে এসেছেন, কেউ আবার প্রতিভার জোরে শহর ছেড়ে ঘাঁটি গে়ড়েছেন মুম্বইয়ে। যেমন, অমিত মিশ্র। ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ ছবিতে তাঁর গাওয়া ‘বুলেয়া’ তাঁকে রাতারাতি পরিচিতি দিয়েছে। এ ছাড়াও ‘লখনউ সেন্ট্রাল’-এর ‘মীর-এ-কারবা’ ও ‘আইয়ারি’তে তাঁর গাওয়া ‘শুরু কর’ অনেকেরই নজর কেড়েছে।
অমিতের পরিবারের কেউ সংগীতচর্চার সঙ্গে যুক্ত নন। কিন্তু লখনউয়ে বড় হওয়ার সুবাদে সংগীতের সঙ্গে তাঁর পরিচয় ছিলই। ফলে ব্যাগ গুছিয়ে যখন আরবসাগরের তীরে মায়াবী রাজ্যে এসেছিলেন, চোখে ছিল রঙিন স্বপ্ন, মনে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার অদম্য ইচ্ছে। বলিউডের নানা ছবিতে কাজ শুরু করেছিলেন ২০১১ সাল থেকে। ‘দিলওয়ালে’ ছবির ‘মনমা ইমোশন জাগে রে’ গানটিও লোকমুখে ছড়াচ্ছিল। তবে লোকে তাঁকে চিনেছে ২০১৬-য়, ‘বুলেয়া’র মাধ্যমে। ‘‘গানটা আমাকে সাফল্যের রোমাঞ্চ এনে দিয়েছিল। কিন্তু আমি বেশ আগে থেকেই চিরন্তন ভট্ট, প্রশান্ত মুচ্ছলদের সঙ্গে কাজ করছি। তবে যখন সকলেই ‘বুলেয়া’ পছন্দ করেছিল, প্রশংসা করছিল, তখন অবশ্যই আলাদা ভাল লাগা তৈরি হয়েছিল,’’ বলছেন অমিত। সাফল্য পাওয়ায় বলিউডের সফর সহজ হয়ে গেলেও অমিত মনে করেন, মুম্বইয়ে কাজ পাওয়াটা বেশি শক্ত।
মুম্বইয়ে আসার পর একজন নতুন প্রতিভার ক্ষেত্রে কাজ না পাওয়ার ভীতি কতটা তা়ড়া করে বেড়ায়? ‘‘আমার পরিবারে মা-বাবা মিউজিকের সঙ্গে যুক্ত না হলেও ওঁদের সাহায্য, অনুপ্রেরণাই আমাকে এগিয়ে নিয়ে এসেছে। মুম্বইয়ে কাজের শুরুতে অনেক প্রত্যাশা ছিল। এই আত্মবিশ্বাসটাও ছিল যে, ভাল কিছু তো করে দেখাবই। তবে ভাগ্যও নিরাশ করেনি।’’
এর মধ্যেই অমিত বাংলা ছবি ‘অভিমান’, ‘বস টু: ব্যাক টু রুল’-এ গান গেয়ে ফেলেছেন। তেলুগু ও মরাঠি ছবিতেও শোনা গিয়েছে তাঁর গান। তবে ভাল সুযোগ এলে আঞ্চলিক ছবিতে আরও বেশি করে কাজ করতে চান অমিত। ‘মনমা ইমোশন জাগে রে’ এবং ‘বুলেয়া’র জন্য একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এত পুরস্কারের স্বীকৃতিতে খুশি হলেও অমিত বলছেন, ‘‘আমি চাই যে, আমার মিউজিকের সফর যেন রোমাঞ্চকর হয়।’’ অমিতের হাতে পরপর অনেক কাজ। এ বছরই মুক্তি পাবে বিপুল অমৃতলাল শাহর পরিচালনায় ‘নমস্তে ইংল্যান্ড’। সেখানেও রয়েছে তাঁর গান। তবে এ বার নিজের সিঙ্গল গাওয়ার দিকেও মন দিতে চান অমিত।