১৯৬৫ সালের ১৪ মার্চ উত্তরপ্রদেশের উন্নাও শহরের কাছে মগরওয়ারা-তে জন্ম হয় সর্বদমন ডি বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর স্কুল জীবন কেটেছে কানপুরের সেন্ট অ্যালয়সিয়াস স্কুলে। আর তারপরই পুণের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইন্সটিউটে অভিনয় নিয়ে পড়াশোনা করেন।
১৯৮৩ সালে অভিনয়ে হাতখড়ি হয় সর্বদমনের। ছবির নাম ছিল ‘আদি শঙ্করাচার্য’। এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। শ্রেষ্ঠ ফিচার ছবি হিসাবে জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছিল সেই ছবি।
১৯৯৩ সালে শ্রী কৃষ্ণ চরিত্রের জন্য খ্যাতি লাভের আগেও গুটিকয়েক ছবিতে দেখা গিয়েছিল সর্বদমনকে। সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল ‘ও প্রেম কথা’, ‘স্বয়মক্রুশী’, ‘শ্রী ভেন্নেলা’, ‘শ্রী দত্ত দর্শনম’ এবং ‘বল্লভচার্য গুরু’।
তবে শ্রী কৃষ্ণের পর এক্কেবারে অন্য রুটে হাঁটা শুরু করলেন সর্বদমন ডি বন্দ্যোপাধ্যায়। সমাজসেবাকেই বেছে নিলেন নিজের প্রধান জীবিকা হিসেবে। আর অভিনয় হতে পারে, যদি ছবিতে ভাল চরিত্রের জন্য ডাক আসে।
তাঁর স্ত্রী অলঙ্কৃতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, “এখন উনি বেশি লোকজনের সঙ্গে দেখা করেন না। সমাজসেবা,আধ্যাত্মিক জগৎ আর ধ্যান— এই তিনটে বিষয়কে বেশি গুরুত্ব দেন।”
উত্তরাখণ্ডের ঋষিকেশে চিল্লা জঙ্গলের কাছেই থাকেন সর্বদমন ডি বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর একটি এনজিও রয়েছে। সেখানে তিনি যোগের মাধ্যমে কচিকাঁচাদের শিক্ষা দেন। তাঁর এনজিও বিনামূল্যে বস্তির ২০০ জন শিশুর দেখভাল করে। এছাড়াও দুঃস্থ মহিলাদের জীবিকা নির্ধারণের রীতিনীতিও শেখান সর্বদমন।
২০১৬ সালে ‘এম এস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ ছবিতে তাঁকে দেখা গিয়েছিল ধোনির কোচের ভূমিকায়। তাঁর চরিত্রের নাম ছিল চঞ্চল ভট্টাচার্য।
অবসর সময়ে সন্তুর বাজাতেও বেশ পছন্দ করেন সর্বদমন।