“আমি বরাবরই সলমন খানের ভক্ত। ওঁর সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়ে প্রথমটায় তাই ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। শুটিংয়ের শুরুর দিকটায় তাই সত্যি বলতে কী বেশ নার্ভাস হয়েই থাকতাম”—স্পষ্ট স্বীকারোক্তি শোনা গেল ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’-র ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠানে সোনম কপূরের মুখে!
ছবি তৈরিতে কম বাধা আসেনি। শুটিং চলাকালীন সোয়াইন ফ্লুর খপ্পরে পড়েছিলেন নায়িকা সোনম কপূর। ‘হিট অ্যান্ড রান’ মামলা নিয়ে আইনি নানান জটিলতায় আটকে ছিলেন নায়ক সলমন খান। বিস্তর কাঠ-খড় পুড়িয়েই শেষ পর্যন্ত শেষ হয় সূর্য বরজাতিয়ার নতুন ছবি ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’-র শুটিং। সে সব বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে সদ্য মুক্তি পেয়েছে ছবির পোস্টার। আর, কিছু ক্ষণ আগেই মুক্তি পেল ছবির ট্রেলার। সেই খুশির ঝলক স্পষ্টই সাংবাদিক বৈঠকে দেখা গেল সলমন, সোনম, সূর্যর মুখে। লুকিয়ে রইল না বৈঠকে উপস্থিত অনুপম খের, নীল নীতীন মুকেশের আনন্দও।
ছবির ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটা টুইটারে ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করেছেন সোনম। লিখেছেন, “শেয়ার না করে থাকতে পারলাম না!’ অন্য দিকে, এ ব্যাপারে পিছিয়ে নেই সলমনও। তিনিও ছবির ট্রেলারটা তুলে দিয়েছেন তাঁর টুইটারের পাতায়। তার সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে ছবি তৈরি নিয়ে কী বললেন সলমন?
পড়ুন : সোনমের পিঠে কী লিখছেন সলমন?
বললেন, “সূর্য বরজাতিয়ার মতো ভাল মানুষ আর হয় না!” স্বাভাবিক, সূর্য বরজাতিয়াকে অন্য অনেকের চেয়ে বেশি তো সলমন চিনবেনই। ১৯৮৯ সালে সূর্যর প্রথম ছবি ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’-র নায়ক তো ছিলেন তিনিই! তার পর একে একে ‘হম আপকে হ্যায় কৌন’, ‘হম সাথ সাথ হ্যায়’ এবং এখন ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’— অনেক দিনের বন্ধুত্ব তাঁদের। স্বাভাবিক ভাবেই তাই ছবির ট্রেলার মুক্তি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের জেরার মুখে পড়লেন সলমন— তাঁর মতে সূর্যর কোন ছবিটা সব চেয়ে ভাল? প্রশ্নটা শোনা মাত্র দ্বিধা না করে সলমনের উত্তর, ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’! কেন না, এই ছবিটাতেই না কি সূর্য সলমনের সেরা কাজটা করিয়ে নিয়েছেন তাঁকে দিয়ে!
অন্য দিকে, সলমনকে নিয়েও প্রশংসায় মুখর হলেন ছবির পরিচালক। পাশাপাশি, একটু-আধটু ইয়ার্কিও করতে ছাড়লেন না! কথায় কথায় সবাইকে জানিয়ে দিলেন তিনি, রাজস্থানে আউটডোর শুটিং চলাকালীন রোজ না কি সলমনকে ঘুম থেকে ডেকে দিতে হত!
সলমনের পাশাপাশি পরিচালকের প্রশংসায় পিছিয়ে রইলেন না নায়িকাও। জানালেন, সূর্যর মতো পরিচালকের ছবিতে কাজ করতে পারাটাকে সৌভাগ্য হিসেবেই বিবেচনা করছেন তিনি। তার সঙ্গেই তবে, পরিচালকের প্রশস্তিতে সবাইকে ছাপিয়ে গেলেন অনুপম খের। সাফ বলছেন তিনি, “নিজেকে শুদ্ধ করে তবে কাজ করতে হয় রাজশ্রী ফিল্মে!”