‘দেবী চৌধুরানী’ ধারাবাহিকে প্রফুল্লকে এ বেশেই দেখা যাবে। —নিজস্ব চিত্র।
ধারাবাহিকে অভিনয় করার আগে কী করতেন?
আমি ভারতনাট্যম শিখতাম।
আপনার গুরু কে?
পান্নালাল দাশগুপ্ত আমার নাচের গুরু। আমার স্কুলে কম্পিটিশন হত, সেখানে আমি অংশগ্রহণ করতাম।
কোন স্কুলে পড়েছেন?
নিবেদিতা গার্লস হাইস্কুল। মালদা জেলায়। স্কুলে থাকার সময়ই মডেলিং শুরু করি। প্রথমে দু’একটা কাজ দিয়ে শুরু করলেও পরে চুটিয়ে মডেলিং করেছি।
এখন আর মডেলিং করেন?
না। এখন ধারাবাহিক নিয়ে ব্যস্ত। আর সময় পাই না।
পড়াশোনা চলছে?
হ্যাঁ। আমি গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে এডুকেশন নিয়ে স্নাতক স্তরে পড়ছি। ওখানে পড়া শেষ করে কলকাতায় মাস্টার্স করতে চাই।
ধারাবাহিকে অভিনয়ের অফার কী ভাবে পেলেন?
ধারাবাহিকে অভিনয়ের ইচ্ছে ছিলই। হঠাৎ করেই অডিশনের জন্য ডাক পেয়েছিলাম। তার পর সিলেক্টেড হলাম।
কেমন লাগছে অভিনয় করতে?
(হাসি) এখন তো খুব ভাল লাগছে। আমার ইচ্ছেপূরণ হয়েছে সেটাই দারুণ ব্যাপার!
উপন্যাসটি পড়েছেন?
হ্যাঁ, বহু বার।
প্রফুল্ল চরিত্রটি কেমন লাগে?
ভীষণ ভাল লাগে। তখনকার প্রেক্ষাপটে লড়াই করে বাঁচা, নিজের অধিকার আদায় করা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা একজন নারীর পক্ষে খুব সহজ ছিল না। প্রফুল্ল এসব করতে পেরেছিলেন। তাঁর চরিত্রের এই স্পিরিট আমার খুব পছন্দের।
আরও পড়ুন: ঋতব্রত-সৌরসেনী কি এই জেনারেশনের অপু-দুর্গা?
ভবানী পাঠকের সান্নিধ্যে আসার পর প্রফুল্ল ডাকাতিও করেছে।
আসলে তাঁরা সাধারণ ডাকাত ছিলেন না। দরিদ্র প্রজাদের অত্যাচার করে জমিদাররা যে ধন সম্পদ জমাতো, সে সব সম্পদ লুঠ করতেন ওই ডাকাতরা। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল, যে অন্যায় করে তাকে উচিত শিক্ষা দেওয়া।
প্রফুল্ল চরিত্রটি সোনামণি দাসের কাছে ঠিক কী রকম? —নিজস্ব চিত্র।
প্রফুল্লর প্রথম জীবন ও পরবর্তী জীবন খুব আলাদা। তাই না?
প্রফুল্ল প্রথম জীবনে খুব সাধারণ মেয়ে। তাঁর স্বপ্ন ছিল, রাজপুত্রের সঙ্গে বিয়ে হবে। সে স্বপ্ন পূরণ হয়। প্রেম হয়, বিয়ে হয়। কিন্তু প্রফুল্লকে শশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। আমার মনে হয় যে প্রফুল্লর প্রথম জীবনের থেকে পরের জীবন বেশি কষ্টের।
কেন?
প্রফুল্ল বিশ্বাস করে যে তাঁর স্বামী তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন। কিন্তু স্বামী আসেন না। পরবর্তী জীবনে স্বাধীন এক নারী হলেও ইমোশনাল জায়গা থেকে খুব একা ছিলেন।
আরও পড়ুন: সলমনের এই প্রাক্তন নায়িকা এখন কী করছেন জানেন?
প্রফুল্ল চরিত্রে অভিনয় করতে কেমন লাগছে?
প্রথমে আমি খুব ভয় পেয়েছিলাম। বহুবার উপন্যাসটা পড়েছি। পরে স্বাগতা মুখোপাধ্যায় ও খেয়ালি দস্তিদারের কাছে আমার ওয়ার্কশপ হয়। চরিত্রটা বুঝতে ওঁরা আমাকে খুব সাহায্য করেছেন। ওঁদের ট্রেনিং-এ আস্তে আস্তে চরিত্রটা বুঝতে পারি। সেই অনুযায়ী অভিনয় করার চেষ্টা করি।
মা-বাবা কী বলছেন?
বাড়িতে তো কেউ বিশ্বাস করতে চাইছিল না যে আমি চান্স পেয়েছি। সবাই খুব খুশি।
আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা?
এখন অন্য কিছু ভাবছি না। ধারাবাহিকটা মন দিয়ে করতে চাই। এখনও অনেক কিছু শেখার বাকি।
(হলিউড, বলিউড বা টলিউড - টিনসেল টাউনের সমস্ত গসিপ পড়তে চোখ রাখুন আমাদেরবিনোদনবিভাগে।)