শ্রীজাত এ বার সুরকার

গালিবের হাত ধরে। লিখছেন সংযুক্তা বসু।কবি থেকে গীতিকার হয়েছেন বেশ কিছু দিন। এই বার তিনি সুরকারও। কবি শ্রীজাতর এই নতুন ভূমিকায় জড়িয়ে থাকছে মির্জা গালিবের গজল। গজলগুলি গাইবেন শুভমিতা।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০০:৪৩
Share:

কবি থেকে গীতিকার হয়েছেন বেশ কিছু দিন। এই বার তিনি সুরকারও। কবি শ্রীজাতর এই নতুন ভূমিকায় জড়িয়ে থাকছে মির্জা গালিবের গজল। গজলগুলি গাইবেন শুভমিতা।

Advertisement

হঠাৎ গালিবের গজলে সুর দেওয়ার কথা মনে এল কী ভাবে?

শ্রীজাত জানালেন, বেশ কিছু দিন আগে আনন্দবাজার পত্রিকার শনিবারের পত্রিকা বিভাগের প্রচ্ছদ কাহিনি লিখতে গিয়ে গালিবের জীবনে ডুব দেন তিনি। আর তখনই মনে হয় গালিবের গজলগুলি বাংলা অনুবাদ করে তাতে সুর দিলে কেমন হয়! সেই সুপ্ত ইচ্ছা থেকেই গালিবের বাংলায় অনূদিত গজলকে শ্রীজাত গান করে তোলার প্রস্তাব দেন শুভমিতাকে।

Advertisement

শ্রীজাত–শুভমিতার যৌথ উদ্যোগে কেমন হবে এই অ্যালবাম? আপাতত ঠিক হয়েছে শ্রীজাত-র সুরে শুভমিতার কণ্ঠে সাতটি গজল গান থাকবে অ্যালবামে। সেই সঙ্গে থাকবে গালিবের মূল লেখা থেকে পাঠ।

হঠাৎ সুরকার হয়ে কেমন লাগছে শ্রীজাতর? উত্তরে তিনি বললেন, ‘‘বাড়িতে গানবাজনার চল থাকায় গানে সুর দেওয়ার অভ্যাস ছিল বরাবরই। তবে কোনও দিন সেটা প্রকাশ্যে আসেনি। এ বারের কাজটা সত্যিই কঠিন। একদিকে মির্জা গালিবের মতো মহাকবির সৃষ্টির অনুবাদ। অন্য দিকে শুভমিতার মতো শিল্পীর জন্য সুর তৈরি করা। দেখা যাক কী হয়!’’

তা হলে কি এটা বলা যায় কবি শ্রীজাত ক্রমশ কবিতা থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন? শ্রীজাত বলেন, ‘‘ এই বছরই সব চেয়ে বেশি কবিতা বেরিয়েছে। কবিতা আমার নেশা। আর গান লেখা পেশা। গানে সুর দেওয়া আমার শখ। অনেক দিন ধরেই ইচ্ছে ছিল। এর সঙ্গে পেশার কোনও সম্পর্ক নেই।’’

সুরকার হিসেবে শ্রীজাত কি পারবেন পরীক্ষায় পাশ করতে?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement