Updates Of Raghu Dakat Controversy

কুণাল কি দেব-বিরোধী? প্রশ্ন শ্রীকান্ত, মহেন্দ্র, রানার! কী জবাব দিলেন রাজনীতিবিদ-অভিনেতা?

পুজোর আগে সরগরম টলিউড। কোন ছবি বেশি সংখ্যক প্রেক্ষাগৃহ এবং প্রদর্শনের বিশেষ সময় পাবে? এই প্রশ্নেই এ বার শুরু হয়েছে বিতর্ক।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:০৭
Share:

কুণাল ঘোষ কি শ্রীকান্ত মোহতা, মহেন্দ্র সোনি, রানা সরকারের তোপে কোণঠাসা? গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

সোমবার রাত থেকেই টলিপাড়ায় গুঞ্জন, ‘রঘু ডাকাত’ নাকি এ বার পুজোয় ‘ডাকাতি’ করতে তৈরি! তার নাকি লক্ষ্য, বেশি সংখ্যক প্রেক্ষাগৃহ এবং প্রদর্শনের বিশেষ সময় দখল। যার জেরে নাকি কোণঠাসা হতে পারে পুজোর বাকি তিনটি ছবি— ‘রক্তবীজ ২’, ‘দেবী চৌধুরাণী’, ‘যত কাণ্ড কলকাতাতেই’। মঙ্গলবার সেই গুঞ্জনে ইন্ধন জুগিয়েছেন রাজনীতিবিদ-অভিনেতা কুণাল ঘোষ। তিনি সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন, শুরু থেকেই ‘প্রভাবশালী’ একটি ছবি প্রদর্শনের বাড়তি সময় পাচ্ছে কেন?

Advertisement

নাম না করে কুণাল কি শাসকদলের সাংসদ-অভিনেতাকেই বিঁধলেন? এই প্রশ্ন নিয়ে এ বার ‘রঘু ডাকাত’-এর পাশে প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতা, মহেন্দ্র সোনি এবং রানা সরকার। শ্রীকান্ত যেমন বার্তা দিয়েছেন, “খেলা হবে।” মহেন্দ্র সোনির আশঙ্কা, “ভিকটিম কার্ডের খেলা শুরু হল বলে।” এঁদের পাশাপাশি একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলেছেন রানা। তাঁর জিজ্ঞাসা, “কেন কুণাল ঘোষ দেব-বিরোধী? রঘু ডাকাতের পিছনে লাগছেন কেন? বাংলা ছবি নিয়ে এখন এত কথা কেন বলেন তিনি?” এর পিছনে চক্রান্তের আঁচ পাচ্ছেন প্রযোজক রানা সরকার। তাঁর অনুমান, হয়তো কুণালের পিছনে টলিউডের কোনও বড় মাপের প্রযোজনা সংস্থার মদত রয়েছে। কিংবা ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে কোনও দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতেই হয়তো বাংলা বিনোদন দুনিয়া নিয়ে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করছেন রাজনীতিবিদ-অভিনেতা।

সত্যিই কি প্রতি বারের মতো এ বারেও ‘ভিকটিম কার্ড’ খেলা হচ্ছে? না কি পুরোটাই রটনা?

Advertisement

প্রশ্ন নিয়ে তিন প্রযোজক এবং দেবের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল আনন্দবাজার ডট কম। দেব, শ্রীকান্ত, মহেন্দ্র— কেউ কোনও মন্তব্য করেননি। ২০ সেপ্টেম্বর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুক্তি পাবে ‘রঘু ডাকাত’-এর প্রচার-ঝলক। খবর, সেই অনুষ্ঠান নিয়েই ব্যস্ত ছবির নায়ক-প্রযোজক।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন প্রযোজক রানা। তাঁর মতে, রাজ্য সরকার যে ‘স্ক্রিনিং কমিটি’ ঠিক করে দিয়েছে তার দায়িত্ব, নির্দিষ্ট সময়ে ক’টি ছবি মুক্তি পাবে, কেবল সেটাই ঠিক করা। কোনও ছবিকে ক’টি প্রেক্ষাগৃহ দেওয়া হবে বা দিনে কত বার দেখানো হবে— এ সবই ঠিক করবেন প্রেক্ষাগৃহের কর্ণধার বা পরিবেশক। স্ক্রিনিং কমিটির এ ক্ষেত্রে কোনও ভূমিকা নেই। এ কথা জানিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “কুণাল ঘোষ তাঁর বার্তায় চুক্তিভঙ্গের কথা বলেছেন। উনি কমিটির সদস্য নন। বৈঠকেও ছিলেন না। তা হলে কমিটিতে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, কী করে জানলেন? কে তাঁকে অন্দরের খবর জানালেন?” পাশাপাশি তিনি এ-ও জানিয়েছেন, কুণাল নাম না করেই দেবকে বিঁধেছেন। ‘প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব’, ‘প্রভাবশালী প্রযোজক’ বা ‘প্রভাব খাটানো’ শব্দবন্ধগুলো সে দিকেই ইঙ্গিত করে বলে দাবি তাঁর। প্রযোজক বিস্মিত, উভয়ে একই দলের রাজনীতিবিদ। তার পরেও কুণাল দেবের বিরোধিতা করছেন!

প্রকৃত ঘটনা না জেনেই কি কুণাল গুঞ্জনে ভর করে বার্তা দিচ্ছেন? না কি সত্যিই তিনি দেব-বিরোধী?

প্রশ্ন করা হয়েছিল রাজনীতিবিদ-অভিনেতাকে। কুণাল বলেছেন, “দেবের সঙ্গে আমার কোনও বিরোধিতা নেই। থাকলে ‘টেক্কা’র মুক্তির আগে আমায় সাক্ষাৎকার দিত না।” রানা কুণালকে ‘বহিরাগত’ বলেছেন। সে প্রসঙ্গে কুণালের জবাব, প্রযোজক বাংলা বিনোদন দুনিয়ায় যোগ দেওয়ার আগেই তিনি ছবি পরিচালনা করেছেন। পরে ছবি প্রযোজনাও করেছেন। ফলে, কোনও ভাবেই তিনি ‘বহিরাগত’ নন। শেষে তাঁর কটাক্ষ, “যা রটেছে তা গুঞ্জন হলেই সবচেয়ে খুশি হব। আর জেলায় জেলায় ‘রঘু ডাকাত’-এর প্রচারের সময় স্থানীয় নেতারা যে ভাবে দেবকে সহযোগিতা করেছেন তাতে ছবির টাইটেল কার্ড-এ সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রযোজকদের ধন্যবাদ জানানো উচিত!”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement