শুভপক্ষে কেমন আছেন?
বুঝলাম না তো।
আরে দেবীপক্ষ চলছে, আর আপনার শুভপক্ষ।
(বিখ্যাত হাসি)। শুনতে ভালই লাগছে, কিন্তু কেন বলছেন এ কথা?
পুজোতে তো শুভশ্রীর ধামাকার দিকেই তো তাকিয়ে রয়েছেন দর্শক। দুটো ছবি একই দিনে রিলিজ…
সত্যিই। খুব এক্সাইটেড লাগছে। এ বারের পুজোটাও খুব স্পেশ্যাল আমার কাছে। এই প্রথম পুজোতে আমার দুটো ছবি রিলিজ করবে। ‘প্রেম কি বুঝিনি’ আর ‘অভিমান’।
কোনটা নিয়ে টেনশনে আছেন?
কোনওটাই নয়। আমি খুব কনফিডেন্ট।
তা হলে কোন ছবিটাকে একটু বেশি ভালবাসছেন?
দুটোই আমার খুব কাছের। কোনওটাকেই ফেলে দিতে পারব না। ইটস লাইক টুইন বেবি।
বাহ! এ বার পুজোতে তা হলে যমজ সন্তানের মা শুভশ্রী?
(ট্রেন্ডমার্ক হাসি) অফকোর্স।
দুটো ছবির চরিত্র নিশ্চয়ই আলাদা?
অনেকটাই। ‘প্রেম কি বুঝিনি’-তে খুব দুষ্টু, টকেটিভ, চুলবুলি একটা মেয়ে। কলকাতা থেকে লন্ডনে যায় পড়াশোনা করতে, কিন্তু পড়াশোনা আসল উদ্দেশ্য নয়। ও আসলে হিরো রাজের সঙ্গে দেখা করতে যায়। অনেক শেডস আছে এই চরিত্রে। লন্ডনে গিয়ে এক অন্য রাজকে দেখে সে। যে খুব ইগো নিয়ে চলে। এক নম্বরে বিশ্বাস করে।
আর ‘অভিমান’-এ?
‘অভিমান’-এ আমার চরিত্রের নাম দিশানী। খুব সিম্পল একটা মেয়ে। কিন্তু রাজদা (পরিচালক রাজ চক্রবর্তী) ডিফারেন্ট ওয়েতে প্রেজেন্ট করেছে আমাকে। তাকানো, হাঁটাচলা একদম আলাদা।
একই ছবিতে আরও এক নায়িকা, সায়ন্তিকা রয়েছেন, টাফ কম্পিটিশনে পড়ে গেলেন তো?
না। কম্পিটিশন নেই তো কারও সঙ্গে। আমরা মনে হয় কম্পিটিশন নিজের সঙ্গে। সব সময় নিজের কাজ অ্যানালিসিস করা উচিত। তাই সায়ন্তিকার সঙ্গে কোনও কম্পিটিশন নেই। বরং মনে হয়েছে আমরা যখন স্ক্রিন শেয়ার করব তখন আমাদের কেমিস্ট্রি নিয়ে যেন কথা হয়। ওর সঙ্গে তো খুব ভাল বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছি এই ছবিটা থেকে। আর রাজদার টিম ইয়াং অ্যান্ড ভাইব্রেন্ট। আমরা চুটিয়ে মজা করেছি।
‘প্রেম কি বুঝিনি’তে নিশ্চয়ই আপনি ডমিনেট করছেন?
জানি না বাইরে থেকে কী মনে হচ্ছে, তবে আমার ডমিনেট করার কোনও ইচ্ছে নেই। কারণ আমি টিমওয়ার্কে বিশ্বাসী। তবে যেখানে যেখানে আমার ইনপুট দরকার আমি দিয়েছি। আমি ওয়ান ম্যান শো-তে বিশ্বাস করি না।
অনেক অন্য রকম গল্প নিয়ে এখন কাজ হচ্ছে, সেখানে আপনি কোথায়?
করেছি তো অন্য রকম ছবি। ‘ শেষ বলে কিছু নেই’ করেছি। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবি করেছি।
সংখ্যাটা অনেক কম মনে হচ্ছে না?
ইট ডিপেন্ডস্। আমার কাছে অত অফার আসেনি। আই মিন পছন্দমতো অফার পাইনি। কিন্তু আর্টিস্টদের কাছে জিনিসটা একই। ক্যামেরার সামনেই তো অভিনয় করতে হয়। হ্যাঁ, এটাও ঠিক যে সমস্ত রকম কাজই করতে চাই।
ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।
আরও পড়ুন
যাকে একটু পছন্দ হত ঝাড়ি মারতাম, সেও...
পুজোর ওই আলাদা গন্ধটা আসলে বোধহয় বাবার
দিম্মার রান্না করা সেদ্ধ ভাত খুব মিস করি
বরকে কলকাতার পুজো দেখাবেন বিপাশা