সানি লিওন। ছবি: সানির ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।
এ যেন খ্যাতির বিড়ম্বনা!
আবার নিজের মতামত ব্যক্ত করার যে অব্যর্থ হাতিয়ার, অর্থাত্ ‘সোশ্যাল মিডিয়া’, এখন জীবনের অঙ্গ, তারও অপব্যবহার বলা যেতে পারে। বিষয়টা আপনি কী ভাবে দেখছেন, নির্ভর করবে তার ওপর।
আরও পড়ুন, মা হলেন সানি লিওন, সন্তানের বয়স ২১ মাস!
দিন কয়েক আগেই একটি শিশুকন্যাকে দত্তক নিয়েছেন সানি লিওন ও তাঁর স্বামী ড্যানিয়েল ওয়েবার। মহারাষ্ট্রের লাতুর থেকে দত্তক নেওয়া কন্যার নাম তাঁরা রেখেছেন নিশা কৌর ওয়েবার। স্বভাবতই খুশি দম্পতি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই খবর জানিয়েছিলেন। ইন্ডাস্ট্রির সেলেব থেকে শুরু করে বহু সাধারণ অনুরাগীও মা হওয়ায় টুইট করে সানিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন।
কিন্তু মুদ্রার উল্টো পিঠও রয়েছে। অস্ত্র সেই সোশ্যাল মিডিয়া। অভিনন্দন যেমন পেয়েছেন তেমনই মেয়ে দত্তক নিয়ে সমালোচিত সানি। টুইটে কেউ টেনে এনেছেন, সানির অতীত পর্ন পেশা। কেউ বা এটাকে ভেবে নিয়েছেন প্রচারে থাকার চেষ্টা!
জনৈক আবদুল টুইট করেছেন, ‘ছোট্ট শিশুটির ভবিষ্যত ধ্বংস হবে। ইতিহাস তো তাই বলছে। এটা সানি প্রচারে থাকার জন্য করলেন।’ জনৈক রাহুল পাণ্ডে সানিকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, ‘তুমি যাই কর না কেন ভারতরত্নও পাবে না, আবার মাদার টেরিজাও হবে না।’ জনৈক ওমভির যাদব সানিকে পরামর্শ দিয়েছেন, ‘দেখো মেয়েকে আবার নিজের মতো তৈরি করো না।’
সেই সব টুইটের কিছু অংশ।
পর্ন ছবিতে অভিনয় ছিল সানি লিওনের অতীত পেশা। দীর্ঘ পথ পেরিয়ে এখন বলিউডে পায়ের তলার জমি ধীরে ধীরে শক্ত করছেন তিনি। কিন্তু পর্ন কেরিয়ার নিয়ে এখনও তাঁকে কটাক্ষ শুনতে হয়। প্রকাশ্যে সে সব প্রশ্নের জবাবও সাবলীল দক্ষতায় দিয়ে থাকেন সানি। তবে দত্তক কন্যাকে নিয়েও যে এ হেন সমালোচনা শুনতে হবে, তা বোধহয় তিনি কল্পনা করেননি। শুধু তাই নয়, সানি ও ড্যানিয়েল দু’জনেই জন্মসূত্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিদেশি। তাঁদের সাদা চামড়া। কিন্তু কেন কালো চামড়ার এক ভারতীয় কন্যাকে দত্তক নিলেন, উঠেছে সে প্রশ্নও। অর্থাত্ বর্ণবৈষম্য বিতর্কেও টেনে আনা হল সানিকে।