ছবির এক দৃশ্যে সুপ্রিয়াদেবী
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের গল্প ‘বামুনের মেয়ে’ অবলম্বনে সুজিত চক্রবর্তী পরিচালিত ছবিতে বেশ কয়েক বছর পর আবার অভিনয় করলেন সুপ্রিয়া দেবী। শরীর ভাল না থাকায় কিছুটা কষ্ট করেই তিনি এই ছবিতে কাজ করেছেন। হঠাৎ এই কষ্ট করার কারণ? ‘‘কষ্টের কী আছে? শরীর তো ভালই আছে। আর অভিনয় করতে আমি ভালবাসি,’’ বললেন সুপ্রিয়া দেবী। অনেক দিন পর শরৎচন্দ্রের গল্প নিয়ে ছবি হচ্ছে, পাশাপাশি একেবারে পুরনো দিনের ছবির আদলে তার শ্যুটিংও হয়েছে। এই দুটো বিষয়ও সুপ্রিয়া দেবীকে আকর্ষণ করেছে। প্রায় একই রকম কথা বললেন খরাজ মুখোপাধ্যায়। এই ছবিতে জমিদারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ‘‘পুরনো দিনের ছবির শ্যুটিং যেভাবে হত, যেভাবে চিত্রনাট্য লেখা হত, এখানেও তাই হয়েছে। বেশ একটা পুরনো চার্ম আছে। যা এখন আর ছবিতে পাওয়া যায় না। পরিচালক সুজিত এই ছবিটি তৈরি করতে গিয়ে অনেক রকম সমস্যায় পড়েছেন, কিন্তু ছবিটি শেষ করেছেন এবং রিলিজও সামনেই।’’
জমিদারের চরিত্রে খরাজ
খরাজের এই ছবিতে কাজ করে ভাল লাগায় তিনি ঠিক করেছেন, তাঁর লেখা একটি গল্প সুজিত চক্রবর্তী পরিচালনা করবেন। প্রডিউসার পাওয়া গেলেই সুজিত কাজে হাত দেবেন বলে জানিয়েছেন। চিত্রনাট্য লিখবেন পদ্মনাভ দাশগুপ্ত। গল্পটি সম্পর্কে জানতে চাইলে খরাজ মুখোপাধ্যায় বললেন, ‘‘আমার এই গল্পটি নিয়ে পদ্মনাভ আগেও স্ক্রিপ্ট লিখে দিয়েছেন। গল্পটির নাম, ‘এক যে ছিল চোর’। গল্পটা মজার হলেও এর একটা মানবিক দিক আছে। কিন্তু একজনের অবহেলায় সেই চিত্রনাট্যটি হারিয়ে গিয়েছে। তাই প্রডিউসার পেলেই আবার লেখার কাজ শুরু হবে।’’ যদি সব কিছুই ঠিক থাকে, তবে এই গল্পটি দিয়েই ফিল্মের জন্য গল্পকার হিসেবে ডেবিউ করবেন খরাজ মুখোপাধ্যায়।