মন কেমন, না আগামীর প্রস্তুতি...

মন খারাপ নয়। বরং প্রিপারেশন শুরু। পরের বছরের জন্য এখন থেকেই কোমর বেঁধে নেমে পড়া। বাদ নেই সেলেবরাও। পুজোর আনন্দের শেষে শুটিং ফ্লোরে ফিরতেই হবে। তার মধ্যেই ঝালিয়ে নেওয়া এ বছরের অ্যালবাম। কে কেমন মাঞ্জা দিয়েছিলেন, একবার পরখ করে দেখবেন নাকি?

Advertisement

স্বরলিপি ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৩:০০
Share:

দশমীর মন কেমন টলিউড সেলিব্রিটিদের?

পায়ে পায়ে মাড়িয়ে যাচ্ছে শুকনো ফুল, বেলপাতা। নরম তেকোণা রোদ্দুর আলতো শুয়ে বারান্দায়। ওরও আজ মন খারাপ। গয়নাগুলো এখনও বাক্সে তোলা হয়নি। আয়নার এক পাশে লেগে বড় লাল টিপ। ফাঁকা মন্ডপ পাহারা দিচ্ছে একলা প্রদীপ। সিঁদুরমাখা সেলফিরা লাইক, কমেন্ট, শেয়ারের দৌলতে চেনা গলি ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছে বেপাড়ায়। বন্ধুরা ফিরে যাচ্ছে এক এক করে। তিলের নাড়ু, নারকেল সন্দেশ, কুচো নিমকিরা ঘুরছে এ প্লেট থেকে ও প্লেট। ফিরছে মন কেমনের সন্ধেরা। একটু একটু করে চেনা রুটে, চেনা রুটিনে ফিরবে বাঙালি। বছরভরের আনন্দ শেষ। হিমেল হাওয়ায় লেগে দশমীর ঘ্রাণ।

Advertisement

তবে মন খারাপ নয়। বরং প্রিপারেশন শুরু। পরের বছরের জন্য এখন থেকেই কোমর বেঁধে নেমে পড়া। বাদ নেই সেলেবরাও। পুজোর আনন্দের শেষে শুটিং ফ্লোরে ফিরতেই হবে। তার মধ্যেই ঝালিয়ে নেওয়া এ বছরের অ্যালবাম। কে কেমন মাঞ্জা দিয়েছিলেন, একবার পরখ করে দেখবেন নাকি?

সায়ন্তিকা

Advertisement

অভিনয় পেশা আর নাচ তাঁর নেশা। বছরভর স্লিম-ট্রিম-ফিট থাকতে পছন্দ করেন সায়ন্তিকা। তবে পুজোয় কোনও রুটিন নেই। চুটিয়ে আড্ডা, জমিয়ে খাওয়া ছাড়া আবার পুজো কীসের? বেশ কিছু পুজোয় বিচারক হয়েও গিয়েছিলেন তিনি। সব মিলিয়ে হইহই করে পুজো কেটেছে তাঁর।

সায়ন্তিকার পুজোর সাজ।

স্বস্তিকা

মা চলে যাওয়ার পর বাবা এবং মেয়ের অভিভাবকের দায়িত্ব এখন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের কাঁধে। পুজো এলে মায়ের কথা তো মনে পড়েই। তা বলে মন খারাপ করে থাকলে কি চলে? তাই নিজেকে যেমন নতুন ফ্যাশনে সাজিয়েছিলেন, তেমনই জমিয়ে আনন্দও করেছেন।

পুজোর সাজে স্বস্তিকা।

কনীনিকা

বিয়ের পর প্রথম পুজো। তাই কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্ল্যানিংও ছিল জোরদার। প্ল্যান মাফিক চুটিয়ে আনন্দ করেছেন পুজোয়। সঙ্গে উপরি পাওনা ছিল বোনের সঙ্গে দেখা হওয়া। পরিবার ছিল, ছিল বন্ধুরাও। এ বারের মতো দুগ্গার বিদায়। ফের এক বছরের অপেক্ষা।

স্বামী সুরজিতের সঙ্গে কনীনিকা।

পাওলি

পুজোয় কলকাতা ছাড়া অন্য কোথাও থাকার কথা ভাবতেই পারেন না পাওলি দাম। এ বার তার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রথম দিকটা বিভিন্ন পুজোয় বিচারকের দায়িত্ব সামলেছেন। পরের ভাগটা বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে কাটিয়েছেন। তার মধ্যেই এক ফাঁকে সেলফি তুললেন বন্ধু তনুশ্রীর সঙ্গেও। একই সঙ্গে বিচারকের দায়িত্ব সামলেছিলেন যে!

দুর্গা পুজোয় সেলফি তোলার ফাঁকে পাওলি ও তনুশ্রী।

প্রিয়ঙ্কা

প্রিয়ঙ্কার এ বার পুজো কেটেছে ছেলে সহজকে নিয়ে। বিভিন্ন প্যান্ডেলে ছেলেকে ঠাকুর দেখিয়েছেন নায়িকা। সামলেছেন ছেলের অবাক প্রশ্নও। আর বাকি সময়টা বন্ধুদের জন্য বরাদ্দ রেখেছিলেন অভিনেত্রী।

প্যান্ডেলে প্রিয়ঙ্কা।

জয়জিত্

পুজোয় কলকাতা নয়। বরং রাশিয়ায় কাটালেন অভিনেতা জয়জিত্। সপরিবারে মস্কো বেড়াতে গিয়েছেন তিনি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপডেটেট থেকেছেন। কখনও ছবি, কখনও বা ফেসবুক লাইভে এসে অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন বেড়াতে যাওয়ার আনন্দ।

বেড়াতে যাওয়ার ছবি শেয়ার করেছেন জয়জিত্।

ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যেে

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন