‘দি অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আটর্স’ নিয়ে কাটল জট। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম ।
‘দি অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস’ ছবিটি নিয়ে গত সাত দিন ধরে চলছিল টানাপড়েন। ফেডারেশনের সঙ্গে প্রযোজক সংস্থার শেষ বৈঠকটি হয় বুধবার রাতে। তার পরেই নাকি জট খুলেছে। ২১ নভেম্বর মুক্তি পাচ্ছে নবাগত পরিচালক জয়ব্রত দাসের এই ছবিটি। কোন সূত্রে মিলল সমাধানসূত্র? খোঁজ নিল আনন্দবাজার ডট কম।
গত ১৩ নভেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ছবিটির। তার দু’দিন আগেই আটকে যায় মুক্তি। সেই সময় ফেডারেশনের তরফে জানানো হয়, তাদের সঙ্গে প্রতারণা করে বানানো হয়েছে এই ছবি। তাদের বক্তব্য, স্টুডেন্টস ফিল্মের আড়ালে আদ্যন্ত একটি বাণিজ্যিক ঘরানার ছবি বানিয়েছেন জয়ব্রতরা। যেখানে প্রযোজক ছিল প্রমোদ ফিল্মস্। যদিও সেই সময় জয়ব্রতরা দাবি করেন, এই ছবি তাঁদের পকেটের টাকা দিয়ে বানানো। খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ লক্ষ। ছবির সঙ্গে প্রমোদ ফিল্মস যুক্ত হয়েছে ২০২৩ সাল থেকে। ফেডারেশনের আপত্তি সেখানেই।
তাদের যুক্তি, যদি ছবিটা শুধুই ছাত্রছাত্রীরা মিলে তৈরি করতেন, তা হলে সমস্যা হত না। যেখানে প্রযোজক যুক্ত, সেখান জড়িয়ে থাকে টেকিনিশিয়ানদের স্বার্থ। ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসের অভিযোগ ছিল, প্রমোদ ফিল্মস তাদের আগের দু’টি ছবির জন্য কলাকুশলীদের বকেয়া মেটাননি। সে কারণেই আপত্তি জানিয়েছে ফেডারেশন। তার পর দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে ফেডারেশনের সঙ্গে ছবির পরিচালক ও প্রযোজকের। অবশেষে মিলল সমাধানসূত্র।
ছবির সহ-প্রযোজক সৌম্য সরকার বলেন, ‘‘খুশির খবর, ছবিটা মুক্তি পাচ্ছে। ছবির পরিবেশক বদল করা হয়েছে। আইনক্স পিভিআরের বদলে এখন এই দায়িত্ব নিয়েছেন শতদীপ সাহা। এ ছাড়াও প্রমোদ ফিল্মসের আগের দু’টি ছবি বাবদ প্রায় ১৯ লক্ষ টাকার বকেয়া নিয়ে ফেডারেশনের যে অভিযোগ ছিল, সেটারও ৫০ শতাংশ মিটিয়ে দিয়েছেন প্রযোজক প্রতীক। বাকি টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন শতদীপ। যার ফলে এই ছবির পরিবেশনের দায়িত্ব দেওয়া হয় শতদীপকেই।’’
বৃহস্পতিবার সকালেই সুখবর জানতে পেরেছেন পরিচালক জয়ব্রত। গত সাত দিনে খানিক অভিমানের সুরেই সমাজমাধ্যমে নানা কথা লিখেছেন। বৃহস্পতিবার জয়ব্রত বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে স্বরূপবাবুর বৈঠক সদর্থক হয়েছে। তিনি ইনডিপেনডেন্ট ছবির পক্ষেই রয়েছেন। তিনি আমাদের বরং বলেছেন, তাঁর তরফে সমস্ত সহযোগিতা থাকবে।’’ যদিও এত স্বল্প সময়ের মধ্যে কী ভাবে সব দর্শকের কাছে ছবিটা পৌঁছোবে, সেটা নিয়ে খানিক উদ্বেগ রয়েছে জয়ব্রতর।
তবে এই শুক্রবারের বদলে বিকল্প কোনও তারিখ বেছে নিলেন না কেন? সেই প্রসঙ্গে জয়ব্রত বলেন, ‘‘আমাদের কাছে প্রচারের জন্য আর টাকা নেই। তাই এখন সবটা দর্শক আর এই ছবির ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিয়েছি।’’ এই ছবির মুক্তির বিষয়ে বার বার স্বরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
তবে ইন্ডাস্ট্রির সূত্রের খবর, এই ছবি মুক্তির নেপথ্যে বড় ভূমিকা পালন করেছেন এই ছবির অভিনেতা সৌরভ দাস। জানা গিয়েছে, তিনিই নাকি দু’পক্ষের মধ্যে সেতুবন্ধন করেছেন।