সেটে: মালালার চরিত্রাভিনেতা রিমের সঙ্গে আমজাদ। নিজস্ব চিত্র
এক স্কুল ছাত্রীকে গুলি করেছে তালিবান জঙ্গিরা। খবরটা জানার পর থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গিয়েছিল আমজাদ খানের। মেয়েটা বাঁচুক বা মারা যাক, ওকে নিয়ে সিনেমা করবেন তিনি। মেয়েটি পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাই।তাঁকে নিয়েই সিনেমা করেছেন আমজাদ, ‘গুল মকাই’। এই ছদ্মনামেই লিখতেন মালালা। চলতি বছরের শেষে ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা।
ছবি তৈরির গল্প বলছিলেন পরিচালক। জানালেন, বিবিসি-তে যখন মালালা লিখতেন তখন থেকেই তাঁকে ‘ফলো’ করতেন। তবে ছবিটি মালালার আত্মজীবনী ‘আই অ্যাম মালালা’ নির্ভর নয়। তিনি কয়েক বছর ধরে পড়াশোনা করেছেন মালালাকে নিয়ে। পাকিস্তানের স্থানীয় লোকেদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পাকিস্তানের লেখক-সাংবাদিক ইমতিয়াজ গুল বহু সাহায্য করেছেন। পরিচালক কথা বলেছেন মালালার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও। ছবির চিত্রনাট্যকার ভাস্বতী চক্রবর্তী আড়াই বছর সময় নিয়েছিলেন কাজ শেষ করতে। সিনেমাটি তৈরি করতে চার বছর সময় লেগেছে।
‘গুল মকাই’য়ে দিব্যা দত্ত মালালার মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করছেন। বাবার ভূমিকায় অতুল কুলকার্নি। তালিবান নেতা ‘রেডিও মোল্লা’র ভূমিকায় মুকেশ ঋষি। রয়েছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী, অভিমন্যু সিংহ, আরিফ জাকারিয়ার মতো অভিনেতারা। মালালাকে কী ভাবে পেলেন? পরিচালক বললেন, ‘‘রিম শেখ অডিশনে এসেছিল। কিন্তু ছ’মাস ওকে বলিনি যে মালালা চরিত্রের জন্য ওকে নির্বাচিত করা হয়েছে। ধৈর্য দেখছিলাম।’’ ছবিতে ১২০০ অভিনেতা এবং একস্ট্রা কাজ করেছেন। প্রযোজক সঞ্জয় সিংলা এবং প্রীতি বিজয় জাজু পরিচালকের পাশে থেকেছেন।
আমজাদের কথায়, ‘‘গুল মকাইকে পাকিস্তানের রেপ্লিকা বলতে পারেন। বলতে পারেন এক্স রে রিপোর্টও।’’ ভারত কি আছে? আমজাদ বললেন, ‘‘একটা দৃশ্য আছে, ভারতের হাজার পাঁচেক স্কুলের বাচ্চা মোমবাতি জ্বালিয়ে নিজেদের গুল মকাই বলছে। মালালার ভাল হয়ে যাওয়ার প্রার্থনা করছে।’’ আর আছেন মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধী। আমজাদ বললেন, ‘‘উনি বারবার বলতেন, একটা মেয়েকে শিক্ষিত করে তুললে পরের পর প্রজন্ম আপনা থেকেই শিক্ষিত হবে। মালালার বাবার মুখে এই কথাটা বারবার আছে।’’
পড়তে চেয়েছিল বলেই তো গুলি খেয়েছিল মালালা। নিজস্ব সংবাদদাতা