দর্শক নয়, ইন্ডাস্ট্রি আমাকে ভুলে গিয়েছে

পরদায় অনুপস্থিত। কী করছেন ববি দেওল? খোঁজ নিল আনন্দ প্লাসপরদায় অনুপস্থিত। কী করছেন ববি দেওল? খোঁজ নিল আনন্দ প্লাস

Advertisement

শ্রাবন্তী চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৯:০০
Share:

ববি দেওল।

দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে অভিনয়ে ফিরলেন ববি দেওল। ‘পোস্টার বয়েজ’ ছবিতে দাদা সানি দেওল আর শ্রেয়স তলপড়ের সঙ্গে দেখা যাবে তাঁকে। ছবির পরিচালকও শ্রেয়স। বিরতি সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন করার আগেই ববি বলে উঠলেন, ‘‘মাঝের বিরতির জন্য আমি দায়ী নই। আমার কাছে কোনও ছবির প্রস্তাবই আসছিল না। আমি যে খুব বাছাই করে কাজ করতে চাইছিলাম, তাও নয়। ইন্ডাস্ট্রিই বরং আমার ক্ষেত্রে চুজি হয়ে গিয়েছিল! তবে এ বার বেশ পজিটিভ ভাবেই ফেরত এসেছি। চাইব, ছবিটা দেখে সকলে প্রতিক্রিয়া জানাক।’’

Advertisement

গত দু’বছরে অনেকের কাছে গিয়ে অনুরোধ করলেও কেউ তাঁকে নিয়ে ছবি করতে রাজি হয়নি, জানালেন ববি। কিন্তু মাঝের সময়টায় করছিলেন কী? স্পষ্টবক্তা ববির জবাব, ‘‘নিজের সঙ্গে লড়ছিলাম। অনেক বাজে খেয়াল মনের মধ্যে বাসা বাঁধলেও অবসাদগ্রস্ত হইনি। পরিবার এই সময়ে খুব সাহায্য করেছে। বাবার (ধর্মেন্দ্র) একটা উপদেশ সব সময়ে মাথায় রেখেছি। বাবা নিজেকে চিরকাল ষ্ট্রাগলিং অ্যাক্টর হিসেবে মনে করতেন আর আমিও নিজেকে তাই ভাবি।’’

অভিনেতার কথার মাঝে বাবা আর দাদার কথা ঘুরেফিরে আসে। ধর্মেন্দ্রই তাঁর জীবনের অনুপ্রেরণা। নস্ট্যালজিক হয়ে বলছিলেন, ‘‘বাবার মতো অভিনেতা ইন্ডাস্ট্রিতে খুব কম আছেন। বাবাকে হিম্যান বলা হতো। কিন্তু এক বছরে বাবার তিনটি আলাদা ধরনের ছবি রিলিজ করতো। সামাজিক, রোম্যান্টিক, অ্যাকশন। বাবা বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন।’’ এ দিকে সানির কাছে তিনি এখনও সন্তানের মতো, জানালেন ববি।

Advertisement

ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান হাল-হকিকত জানেন ববি। তাই লিড চরিত্রের বদলে পার্শ্বচরিত্র করতেও তাঁর আপত্তি নেই। এখনকার ছবিতে পার্শ্বচরিত্রগুলোও যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাও জানেন অভিনেতা।

তবে লোকজন যে এখনও তাঁকে মনে রেখেছে তাতে খুবই আপ্লুত তিনি। বলছিলেন, ‘‘এখনও যখন কোথাও যাই, সকলে জানতে চান কী করছি? কবে আবার পরদায় নজরে আসব? তার মানে লোকজন এখনও আমাকে মনে রেখেছে।’’

সানি দেওলের ছেলে কর্ণ ছবি করছেন। ববির বড় ছেলে ১৬ বছরের এবং ছোট ছেলের বয়স ১৩ বছর। তারাও কি সিনেমা জগতে আসবে? ‘‘আগে ওরা পড়াশোনা শেষ করুক। তার পর ছবির কথা ভাবা যাবে। শো বিজনেসের ধরন-ধারণ আজকাল বদলে গিয়েছে। মেয়েদেরও হিরোইন হওয়ার জন্য আলাদা করে গ্রুমিং করানো হচ্ছে।’’

কিছু দিন আগে টুইটারে এসেছেন ববি। জানালেন, তাঁর নামে প্রচুর ভুয়ো অ্যাকাউন্ট ছিল। সেখান থেকে নানা উল্টোপাল্টা মন্তব্য আসত। সে কারণেই নিজে এলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। বোঝা যাচ্ছে, ববি নিজেও এখনও গ্রুমড হচ্ছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement