‘অঙ্ক কি কঠিন’ নিয়ে বাণিজ্য বিশ্লেষক পঙ্কজ লাডিয়া। ছবি: ফেসবুক।
মে মাসে চারটি বাংলা ছবি মুক্তি পেয়েছে— ‘আমার বস’, ‘একেনবাবু’, ‘অঙ্ক কী কঠিন’, ‘যকের ধন’। এর মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় এবং চতুর্থ ছবিটি বড় বাজেটের। সৌরভ পালোধির ‘অঙ্ক কী কঠিন’ খুবই ছোট বাজেটের ছবি। তার উপরে তথাকথিত তারকাও নেই। ভাল অভিনেতা আছেন একগুচ্ছ। পার্নো মিত্র, প্রসূন সোম, শঙ্কর দেবনাথ, ঊষসী চক্রবর্তী, দীপান্বিতা নাথ। আর তিন নবাগত শিশুশিল্পী গীতশ্রী চক্রবর্তী, ঋদ্ধিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, তপোময় দেব। দু’সপ্তাহ ছবি চলার পর বাণিজ্য বিশ্লেষক পঙ্কজ লাডিয়া আনন্দবাজার ডট কমকে জানিয়েছেন, তিনটি বড় বাজেটের ছবির সঙ্গে সমানে টক্কর দিচ্ছে প্রযোজক রানা সরকারের ‘অঙ্ক কী কঠিন’। তাঁর কথায়, “দর্শকের মুখে মুখে ছড়িয়ে যাচ্ছে ছবিটি। প্রযোজককে আলাদা করে কোনও প্রচার করতে হচ্ছে না। ২০০ জন দর্শক হলে ঢুকছেন মানে সত্যিই সেটা ঘটছে। তাঁরা বসে পুরো ছবি দেখছেন। প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন পুরো দলকে। এখানে কোনও কারচুপি নেই।”
মুক্তি পাওয়া বাকি তিনটি ছবি ছোটদের। তাদের সঙ্গে গরমের ছুটি উপলক্ষে ছোটদের আরও একটি ছবির মুক্তি ঘটানো যেতেই পারে। এই ভাবনা থেকে শহরের সমস্ত মাল্টিপ্লেক্সে একটি করে শো নেন প্রযোজক। পঙ্কজ এবং রানার দাবি, তাঁরা ভাবতে পারেননি, দিন এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে ভাল ব্যবসা করতে শুরু করবে ছোট বাজেটের ছবি। প্রযোজক বলছেন, “শহরের দর্শকদের তো ভাল লেগেইছে। রোজ সমাজমাধ্যমে আমার কাছে ব্যক্তিগত অনুরোধ আসছে বোলপুর, বর্ধমান, শিলিগুড়ি, ডায়মন্ড হারবার-সহ জেলাস্তরের বিভিন্ন শহর থেকে।” সহজ ভাবে বানানো ছবির কথা তাঁদের কানেও পৌঁছেছে। তাঁরাও ছবিটি দেখতে চান। সেই অনুরোধ রাখতে শহুরে মাল্টিপ্লেক্সে শো সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি ‘অঙ্ক কী কঠিন’ পৌঁছে যাবে শহরতলি, জেলাগুলিতেও।
মুক্তির আগে ছবি প্রসঙ্গে সৌরভের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছিল। সেই সময় প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, অনেক ভাল ছবির সঙ্গে নামী ব্যক্তিত্ব নিবেদক হিসেবে থাকেন। সরকারের কাছে করমুক্তির আবেদন জানানো হয়। তেমন কিছু ভাবনায় আছে? পরিচালক বলেছিলেন, “একাধিক আন্তর্জাতিক স্তরে ছবি প্রশংসিত হল। অথচ, কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে ‘অঙ্ক কী কঠিন’ দেখানো হল না! মনে হয় রাজ্য সরকার ছবিতে দেখানো স্কুল বন্ধের বিষয়টি ভাল ভাবে নিতে পারেনি। আর আমার ছবির নিবেদক সাধারণ দর্শক। ছবি ভাল হলে ওঁরা দায়িত্ব নিয়ে ছবিকে সকলের কাছে পৌঁছে দেবেন।”
পরিচালকের কষা এই ‘অঙ্ক’ও সফল! কী বলছেন তিনি? নীরব সৌরভের মুখে ঝকঝকে হাসি। যেন বলতে চেয়েছেন, কষতে জানলে কোনও অঙ্কই বোধহয় কঠিন নয়। কী জীবনের, কী পর্দার...।