ইফ (IF)
ভাবুন তো একবার, ফেসবুকে প্রোফাইল পিকচার পাল্টেছেন, আর সঙ্গে সঙ্গে সেই
ছবিটাই হয়ে গেল টুইটার প্রোফাইল পিকচার! কিংবা ইন্সটাগ্রামে ফিল্টার দিয়ে ঝকঝকে
করা ছবি নিজে থেকেই জমে গেল ড্রপবক্সে! অথবা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে সকাল
সকাল মেল-এ পেয়ে গেলেন ছাতা নিয়ে বেরোনোর সতর্কতা!
ভাবছেন এত সব করতে তো আশ্চর্য প্রদীপের জিনকে দরকার! না না,
জিনকে ডাকার দরকার হবে না। শুধু ইফ অ্যাপটা ডাউনলোড করে নিলেই হবে। এই অ্যাপের
কাজ করার কৌশলটা সহজ। কম্পিউটারের ভাষায়, If This Then That (এটা হলে ওটা)।
যেমন, ফেসবুকের প্রোফাইল ছবি বদলালে টুইটারের প্রোফাইল ছবিও বদলে যাবে। আপনাকে শুধু অ্যাপে একটা অ্যাকাউন্ট বানিয়ে নিতে হবে। তার পর ওই অ্যাপের মধ্যেই আপনার সোশ্যাল মিডিয়া, মেল বা অন্য কয়েকটা অ্যাকাউন্টের অ্যাকসেস দিয়ে রাখলেই কেল্লা ফতে। তার পর প্রয়োজনমতো ‘রেসিপি’ বা ওই আগের মতো ‘এটা হলে ওটা’ সিলেক্ট করে নিলেই হবে। অনেক রেসিপি অ্যাপেই পাবেন, চাইলে নিজের প্রয়োজনমতো বানিয়েও নিতে পারেন রেসিপি।
প্ল্যাটফর্ম: আইওস, অ্যান্ড্রয়েড, ওয়েব; দাম: বিনামূল্য
অ্যাভিয়ারি (Aviary)
এমন তো কত বার হয়, ফোনে তোলা ছবি কম্পিউটারে ডাউনলোড করে ফোটোশপে কাজ করে তার পর ফেসবুকে আপলোড করতে হবে— উফ্, এত কষ্ট পোষাবে না বলে কত ছবি থেকে গিয়েছে ফোনেই। আর ইন্সটাগ্রামের ফিল্টার যে কত বাজে তা নিয়ে তো ‘জোকস’য়ের শেষ নেই! যত নতুন নতুন ফিল্টারই আসুক
না কেন, ফোটোশপের মতো কাজ তো আর ইন্সটাগ্রাম ফিল্টারে হতে
পারে না।
তবে এখন চিন্তা নেই। ফোটোশপ যাদের তৈরি, সেই অ্যাডব-ই বানিয়েছে অ্যাভিয়ারি অ্যাপ। হাজার খানেক ফিল্টার তো আছে, সঙ্গে আছে আলাদা আলাদা করে ব্রাইটনেস, কনট্রাস্ট, কার্ভ ঠিক করে নেওয়ার ব্যবস্থা। কোনও ‘ভাইরাল মেমে’ তৈরি করতেও আর কম্পিউটার বা ল্যাপটপ অন করে বসতে হবে না। এ ছাড়া আর একটা জটিল কাজ সহজেই করে ফেলতে পারে অ্যাভিয়ারি। চাইলেই যে কোনও ছবির কোনও একটা অংশ রঙিন রেখে বাকিটা সাদা-কালো করে ফেলতে পারেন এক মিনিটেই।
ফেসবুকে চমকে দেওয়ার মতো ফোটো আপলোড করতে আর কম্পিউটারের দরকার হবে না।
প্ল্যাটফর্ম: আইওস, অ্যানড্রয়েড;
দাম: বিনামূল্য, তবে ৬০ টাকায় অনেক নতুন ফিল্টার প্যাক
পাওয়া যাবে।
মিয়ারক্যাট (Meerkat)
মনে আছে, আইপড বাজারে আসার পর রেকর্ড লেভেলের মালিকেরা কেমন দল বেঁধে স্টিভ জোবসের কাছে দরবার করতে গিয়েছিল। তাদের ভয় ছিল আইপডের ফলে লোকে আর প্রথাগত সিডি-ক্যাসেটের দিকে পা দেবেন না। এ বার টিভি চ্যানেলের মালিকেরা না দল বেঁধে মিয়ারক্যাট সিইও-র বাড়িতে হত্যে দেন!
কেন? এই অ্যাপ টিভির লাইভ কভারেজের মতো ভিডিয়ো পাঠিয়ে দিতে পারে অনেকের কাছে। আর তাতেই ভয় পেয়েছেন টিভি চ্যানেল কর্তারা। ফ্লয়েড মেওয়েদার বনাম ম্যানি প্যাকিয়াও বক্সিং ম্যাচে ব্যান ছিল এমন অ্যাপ। অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও জনপ্রিয় টিভি শো ‘গেম অব থ্রোন’য়ের এক এপিসোডের শ্যুটিং ফাঁস হওয়া ঠেকানো যায়নি।
তবে এর ফ্যানের তালিকাও নেহাত কম নয়। ম্যাডোনা-আর্নল্ড সোয়ার্ৎজেনেগার থেকে জিমি ফ্যালন-রজার ফেডেরার। ম্যাডোনা তো গানের একটা ভিডিয়োর শ্যুটও ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন এতেই।
প্ল্যাটফর্ম: আইওস, অ্যানড্রয়েড; দাম: বিনামূল্য