নাট্যকর্মীর উৎসব বালুরঘাটে

বালুরঘাটের ‘নাট্যকর্মী’র উদ্যোগে আয়োজিত হল নাট্যোৎসব। নাট্যমন্দিরে মঞ্চস্থ চার দিনের উৎসবের প্রথম দিন অভিনীত হল কলকাতার আভা নাট্যগোষ্ঠীর নাটক ‘সুন্দরবিবির পালা’। নির্দেশক শেখর সমাদ্দার। মুখ্য অভিনেতা চপল ভাদুড়ি ও শেখর সমাদ্দার। একজন পুরুষ অভিনেতা নারী চরিত্রে অভিনয় করতে করতে আদব-কায়দা, চলন প্রায় নারীসুলভ হয়ে ওঠে, এমন কাহিনি নিয়েই এই নাটক।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৬ ০২:১৭
Share:

বালুরঘাটের ‘নাট্যকর্মী’র উদ্যোগে আয়োজিত হল নাট্যোৎসব। নাট্যমন্দিরে মঞ্চস্থ চার দিনের উৎসবের প্রথম দিন অভিনীত হল কলকাতার আভা নাট্যগোষ্ঠীর নাটক ‘সুন্দরবিবির পালা’। নির্দেশক শেখর সমাদ্দার। মুখ্য অভিনেতা চপল ভাদুড়ি ও শেখর সমাদ্দার। একজন পুরুষ অভিনেতা নারী চরিত্রে অভিনয় করতে করতে আদব-কায়দা, চলন প্রায় নারীসুলভ হয়ে ওঠে, এমন কাহিনি নিয়েই এই নাটক। উৎসবের দ্বিতীয় দিন মঞ্চস্থ হয় ঢাকার ‘শূ্ন্যন’ নাট্যসংস্থার নাটক ‘লালজমি’। রচনা ও নির্দেশনা সুদীপ চৌধুরী। একক অভিনয়ে ছিলেন মোমেনা চৌধুরী। বংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে ঘিরে নাটকের কাহিনি আবর্তিত হয়েছে। অভিনীত হয় গোবরডাঙ্গা ‘শিল্পায়ন’-এর পড়শি। রচনা ও নির্দেশনা দীপা ব্রহ্ম। নাটকের কাহিনি নির্মিত হয়েছে লালনের দেহতত্ত্বকে কেন্দ্র করে।

Advertisement

তৃতীয় দিন মঞ্চস্থ হয় অশোকনগর ‘নাট্যমুখ’-এর নাটক ‘কন্যা তোর’। রচনা ও নির্দেশনা অভি চক্রবর্তী। নারী স্বাধীনতাই এই নাটকের বিষয়। উৎসবের শেষ দিন অভিনীত হয় শিলিগুড়ির ‘ঋত্বিক’ নাট্যসংস্থার ‘মাশন দ্য কর্ক ডল’ নাটকটি। নির্দেশনা সাধন চক্রবর্তী। উত্তরবঙ্গের লোকসংস্কৃতির একটি আঙ্গিক ‘মাশন’। রাজবংশী সমাজে পূজিত এই লৌকিক দেবতার শোলার তৈরি পট, মূর্তি কিংবা মৃন্ময়ী মূর্তিতে আরাধনা করা হয়। এর কারিগর বা শিল্পীরা সমাজে উপেক্ষিত। তাদের পরবর্তী প্রজন্ম এই কাজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। জোটে না সরকারি সাহায্যও। ক্রমশ হারিয়ে যাওয়া এই সংস্কৃতি এবং তার সঙ্গে যুক্ত শিল্পীদের দৈন্যদশাই উঠে এসেছে এই নাটকে।—অনিতা দত্ত

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন