সানা
প্রকৃত নামে না চিনলেও ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’-এর আট বছরের অঞ্জলি বললেই তাঁর চেহারা ভেসে ওঠে, বিভিন্ন প্রজন্মের দর্শকের মনে। তিনি সানা সইদ। ইদানীং তাঁকে দেখা যায় বিভিন্ন রিয়্যালিটি শোয়ে। ডান্স শো থেকে স্ট্যান্ড-আপ কমেডি, কিছুই বাদ রাখেননি নায়িকা। সেই তালিকায় সংযোজন, ‘কিচেন চ্যাম্পিয়ন’। ‘‘খেতে খুবই ভালবাসি। সারা দিন কাজের ঠেলায় রান্না করার খুব একটা সুযোগ পাই না। তবে ব্রেকফাস্টে ওটস মিল্ক বানাই,’’ বলছিলেন সানা। ইটালীয় পদ তাঁর পছন্দের। ‘‘পাস্তা খেতে খুবই ভালবাসি। তবে চেহারার জন্য বেশি খেতে পারি না। স্যালাড আর গ্রিলড ফুডই ভরসা,’’ ফাঁস করলেন সে কথাও।
শিশুশিল্পী হিসেবে জনপ্রিয় হলেও পরিণত সানাকে ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ ছাড়া বড় পর্দায় সে ভাবে দেখা যায়নি। বড় বয়সে দাঁড়াতে শিশুশিল্পীদের কি বাড়তি ঝক্কি পোহাতে হয়? প্রশ্ন সামলে নায়িকার জবাব, ‘‘সকলকেই কেরিয়ারে দাঁড়াতে স্ট্রাগল করতে হয়। বরং শিশুশিল্পী হওয়া আমার কাছে একটা বিরাট সুযোগ। দর্শক আমাকে চেনেন, ভালবাসেন। আগেই আমার কাজ দেখেছেন। আলাদা করে আমার প্রেজেন্স দর্শকের কাছে তৈরি করতে হবে না। সেটা তৈরি হয়েই আছে।’’
‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’-এর শুটিং তাঁর কাছে ছিল উপভোগ্য ভেকেশনের মতো। ‘‘আট বছর মাত্র বয়স। এটা বুঝেছিলাম, খুব নামীদামি শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করছি। কিন্তু তাঁরা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা আজ বুঝি। সামার ক্যাম্পে গিয়ে আরও একশোটা বাচ্চার সঙ্গে হইহই করা, পারজান দস্তুরের (ওই ছবির আরও এক শিশুশিল্পী) সঙ্গে বেড়ে ওঠা, এই স্মৃতিগুলো আমার কাছে অমলিন,’’ বলছিলেন সানা। শাহরুখ ও সলমন খানের সঙ্গে অভিনয় করলেও সানার পছন্দের তালিকায় রয়েছেন আমির। ‘‘শাহরুখ-সলমনের প্রতি আমি লয়্যাল। কিন্তু আমির খানের কাজের বৈচিত্র শিল্পী হিসেবে আমাকে অনুপ্রাণিত করে।’’ নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের মধ্যে তাঁর ফেভারিট রণবীর কপূর ও প্রিয়ঙ্কা চোপড়া।
অ্যামাজন প্রাইমের জন্য একটি সিরিজ়ে কাজ করছেন সানা। এ ছাড়া একটি শোয়ে বিচারকের ভূমিকায়ও রয়েছেন তিনি। ‘‘নানা ধরনের রিয়্যালিটি শো করেছি। তবে আমার কাছে প্রতিটি শো-ই শেখার নতুন অধ্যায়। আমি সেই শো-ই বাছি, যেখান থেকে কোনও নতুন স্কিল শিখতে পারব। যেমন, ‘কমেডি সাকার্স’ থেকে স্টেজ পারফরম্যান্স শিখেছি।’’
অবসরে কোরিয়োগ্রাফারদের সঙ্গে জুটি বেঁধে ডান্স কম্পোজ় করেন সানা। অভিনেত্রী হওয়া নিয়ে তাঁর বাবার প্রথম দিকে আপত্তি থাকলেও মেয়ের সাফল্য দেখে এখন তিনি খুব খুশি, জানালেন সানা।