বলিউডে লিঙ্গ ভেদাভেদি নিয়ে যে সব তক্ক ওঠে, তাকে পুরো তুলে মাঠের বাইরে ফেলে দিলেন ফারহা খান।
গিয়েছিলেন একটি ওয়ার্কশপে। সঙ্গে সুভাষ ঘাই। বলতে উঠেই প্রথম থেকেই চালিয়ে খেললেন ফারহা। ‘‘যদি তুমি ছেলে হও, তবে তোমায় বেশি খাটতে হবে, আর মেয়ে হলে নরমসরম কাজ দেওয়া হবে, কস্মিনকালেও এমনটা ভেবো না। আর আমি নিজে মনে করি, এই মুহূর্তে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরাই ইন্ডাস্ট্রিতে বেশি পরিশ্রম করে,’’ তুমুল হাততালিতে হল ফেটে পড়ল ফারহানের এই কথায়।
পরিচালকদের মধ্যেও মহিলা-পুরুষ ভাগাভাগিটা যে তাঁর পছন্দ নয়, সোজাসাপটা জানিয়ে দিলেন তিনি। ‘‘জ্ঞানই বলো, কি স্কিল, লাগবে একই। সে তুমি পুরুষ হলেও যা, মহিলা হলেও তাই-ই। আমি সত্যিই বুঝি না, লোকে কেন যে আমায় মহিলা পরিচালক হিসেবে দেখে। আরে বাবা, আমি একজন পরিচালক, ব্যস। এটাই প্রথম এবং শেষ কথা। বরং আমি মনে করি, মেয়েরা যাতে আরও বেশ সংখ্যায় ইন্ডাস্ট্রিতে আসে, তার জন্য তাদের আরও বেশি করে উৎসাহ দিতে হবে,’’ বলেছেন ফারহা খান।
শেখার ক্ষেত্রেও তিনি ছেলে-মেয়ে ফারাকটা দু’চক্ষে দেখতে পারেন না। নিজের উদাহরণ দিয়েই বলেন, ‘‘ইন্ডাস্ট্রিতে আমার প্রথম মাস্টারমশাই হল আমির খান। ‘জো জিতা ওহি সিকান্দার’-এর সময়ের কথা মনে পড়ে। কত কী যে তখন ও আমায় শিখিয়েছে।’’
ফারহার প্রত্যেকটা শব্দ যেন এ দিন গোটা প্রেক্ষাগৃহকে নাচিয়ে, দুলিয়ে ভাসিয়ে দিয়ে গেল!