গুসকরা বিদ্যাসাগর মেমোরিয়াল হলের মঞ্চে নাটক। নিজস্ব চিত্র।
এলাকায় নাটকের চর্চা শুরু করতে হবে, এই ভেবে তিন দশক আগে গুসকরার কয়েক জন যুবক তৈরি করেন দল। নাম দেন ‘শিল্পী সমন্বয়।’ তার পরে ১৫ বছর ধরে তাঁদের উদ্যোগে গুসকরায় আয়োজিত হচ্ছে নাট্যোৎসব। শনিবার থেকে শুরু হল তিন দিনের এই উৎসব। যোগ দিয়েছে কলকাতা-সহ জেলার বিভিন্ন দল।
আয়োজকদের তরফে সুব্রত শ্যাম জানান, গুসকরা বিদ্যাসাগর মেমোরিয়াল হলের মঞ্চস্থ হচ্ছে কলকাতার রম্বস গোষ্ঠীর ‘ফিরে এসো’, থিয়েটার আগরপাড়ার ‘যে জন আছে অন্তরে’, বাঁশবেড়িয়া বৃশ্চিকের ‘হিং টিং ছট’-সহ বেশ কয়েকটি নাটক। রয়েছে বর্ধমান নাট্যদলের প্রযোজনা ‘ভগীরথের মূর্তি’ নাটকটিও।
দিনের পর দিন এমন নাট্য উৎসব ও নাটকের প্রতিযোগিতা আয়োজন করায় এলাকায় নাটকের জনপ্রিয়তা বাড়়ছে বলেই দাবি আয়োজকদের। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বর্ধমান ড্রামা কলেজের অধ্যক্ষ ললিত কোনার বলেন, “নগর ছাড়িয়ে গ্রামে-গঞ্জেও নাট্যচর্চা হচ্ছে, এটাই সবথেকে ভাল বিষয়।’’
তবে এ সবের মধ্যেও পরিকাঠামো নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। নাট্যচর্চায় আগ্রহী অনিরুদ্ধ মল্লিক, দেবাশিস পালদের অভিযোগ, গুসকরায় মহড়া বা প্রযোজনার জন্য স্থায়ী নাট্য-মঞ্চ নেই। সরকারি সাহায্যও তেমন মেলে না। যদিও পুরপ্রধান বুর্ধেন্দু রায়ের আশ্বাস, ‘‘এলাকায় নাট্যমঞ্চ তৈরির জন্য পদক্ষেপ করা হবে।’’ উৎসবে এসেছিলেন বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দার।