প্রচার না নিতান্তই সময় কাটানো? সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে কী বলছে টলিউড

নিজেদের প্রচার না কি নিতান্তই সময় কাটানো? টলিউডের সেলেব্রিটিরা সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে কী বলছেন?

Advertisement

দীপান্বিতা মুখোপাধ্যায় ঘোষ

শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৮ ০০:০০
Share:

মিমি, প্রসেনজিৎ, সৃজিত, যিশু

প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়

Advertisement

ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সিনিয়র তারকা সোশ্যাল মিডিয়াতে কিন্তু বেজায় সিনসিয়ার। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম সব মাধ্যমেই তিনি আছেন। নিয়মিত পোস্টও দিয়ে থাকেন। যদিও সব পোস্ট যে তিনি নিজে করেন, তা নয়। তাঁর নিজস্ব টিমের উপরে সে দায়িত্ব রয়েছে। জানালেন, টুইট অবশ্য তিনি নিজেও করে থাকেন।

পছন্দের মাধ্যম: টুইটার, ফেসবুকই বেশি পছন্দের। ভাল লাগে ইনস্টাগ্রামও।

Advertisement

কেন করেন: সোশ্যাল মিডিয়া তাঁর কাছে ভক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার একটা মাধ্যম। ‘‘আগে চিঠি, পোস্টকার্ড ছিল। এখন সব কিছু ডিজিটাল হয়ে গিয়েছে। ছবির প্রচারের একটা গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম তো বটেই। ট্রেলার, গান রিলিজ় করলে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সকলকে জানানো সহজ হয়ে যায়। আমি নিজেও তো বাকিরা কে কী করছে, এ ভাবেই জানতে পারি।’’

সবচেয়ে বেশি উপস্থিতি: আমার মতে, সৃজিতের (মুখোপাধ্যায়)। ও সারাক্ষণ ফোন হাতে বসে থাকে!

মিমি চক্রবর্তী

তাঁকে ইনস্টা-ফ্রিক বলা যেতে পারে! দিনে একাধিক ছবি, ভিডিয়ো পোস্ট করে থাকেন মিমি। তাঁর ইনস্টা ফলোয়ারের সংখ্যাও ঈর্ষণীয়। ‘‘ঘুম থেকে উঠেই আমার প্রথম কাজ ইনস্টাগ্রাম খুলে ফেলা।’’ তাঁর ফেসবুক পেজ এবং টুইটার সামলানোর জন্য আলাদা টিম আছে। তবে ইনস্টাগ্রাম তিনি নিজেই হ্যান্ডল করেন।

পছন্দের মাধ্যম: ইনস্টাগ্রাম

কেন করেন: ‘‘আমার ভাল লাগে ইনস্টাগ্রামে ছবি, স্টোরি দিতে। জানি একটু পাগলামি করি কিন্তু আই রিয়েলি এনজয় ইট।’’ মিমিও মনে করেন, ভক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়া। কিন্তু ছবির প্রচারে কি কোনও লাভ হয়? ‘‘অবশ্যই হয়। এখন তো সবটাই ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে। ট্রেলারও ইউটিউবেই লঞ্চ হচ্ছে। মানুষ খবরের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া নির্ভর হয়ে যাচ্ছে।’’

সবচেয়ে বেশি উপস্থিতি: নুসরত জাহানের নাম করলেন মিমি।

সৃজিত মুখোপাধ্যায়

তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা নায়ক-নায়িকাদেরও হার মানাতে পারে। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম সবেতেই তিনি আছেন। জানালেন, ফেসবুক পেজ ছা়ড়া প্রোফাইল এবং বাকি মাধ্যমগুলো নিজেই হ্যান্ডল করেন। নিজের ছবির প্রচার থেকে অন্যান্য বিষয় নিয়েও সৃজিত নিয়মিত পোস্ট করে থাকেন।

পছন্দের মাধ্যম: ফেসবুক, টুইটার

কেন করেন: ‘‘সবার একটা নিজস্ব স্পেস থাকে। আমার কাছে সোশ্যাল মিডিয়া এডিটোরিয়ালের মতো। যেখানে আমি আমার মত প্রকাশ করতে পারব।’’ ছবি রিলিজ়ের সময়ে সৃজিত টুইটের পর টুইট করতে থাকেন। তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘নিজের ছবির প্রচার করাটা খুব স্বাভাবিক। আমি এখানে প্রশংসিতও হই, আবার ট্রোলডও হই। দুটোই খুব সহজ ভাবে নিই।’’

সবচেয়ে বেশি উপস্থিতি: সৃজিতের ভোট অরিন্দম শীল, আবীর, মিমি, নুসরত, ঋতাভরীর দিকে। ‘‘আর সোশ্যাল মিডিয়া ডিজ়াস্টার হল যিশু সেনগুপ্ত, ঋত্বিক চক্রবর্তী।’’

যিশু সেনগুপ্ত

পর্দায় তাঁর উপস্থিতি বাড়লেও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে তিনি একেবারেই নেই। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামে তিনি থাকলেও একদমই অ্যাক্টিভ নন। ‘‘ইনস্টাগ্রামে আমার মেয়ে জোর করে অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছে। আমি কিচ্ছু দেখি না! ফেসবুক নিয়েও আগ্রহ নেই। টুইটারেও আমি নিজে কিছু পোস্ট করি না। বড়জোর রিটুইট করি,’’ বক্তব্য যিশুর।

পছন্দের মাধ্যম: নেই!

কেন করেন না: ‘‘আমার মনে হয় না, সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার ছবি নিয়ে লিখলে বেশি লোকে ছবি দেখতে আসবেন।’’ বাকি নায়কদের তুলনায় যিশুর ফলোয়ারও কম। বলছিলেন, ‘‘যাঁর যত জন ফলোয়ার তাঁরা যদি সকলেই টিকিট কেটে হলে যেতেন তা হলে আর বাংলা ছবির এই অবস্থা হতো না।’’

সবচেয়ে বেশি উপস্থিতি: ‘‘সৃজিত মুখোপাধ্যায়। ও পুরো পাগলের মতো পোস্ট করতে থাকে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন