তবে এ বার বড় পরদায়। পরিচালনায় সৃজিত মুখোপাধ্যায়
srijit mukherjee. Jisshu Sengupta

ফের চৈতন্যের ভূমিকায় যিশু

সৃজিত অবশ্য বলছেন, “যে চরিত্রের জন্য যাকে মানানসই মনে হয় তাকেই নিই। আর চৈতন্যের ভূমিকায় দর্শকের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে এমন কাউকেই নিতে হতো। যিশুর সঙ্গে আমার ভাল তালমিল হয়ে গিয়েছে।” 

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৮ ০০:২২
Share:

যিশু সেনগুপ্তকে নিয়ে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের যে পক্ষপাতিত্ব আছে, তা দিব্যি বোঝা যাচ্ছে। সেই ‘জাতিস্মর’ থেকে দু’জনে গাঁটছড়া বেঁধেছেন। তাঁদের ন’নম্বর ছবি হতে চলেছে ‘গৌরাঙ্গ ইতিকথা’। যেখানে যিশু নাম ভূমিকাতেই। সৃজিত অবশ্য বলছেন, “যে চরিত্রের জন্য যাকে মানানসই মনে হয় তাকেই নিই। আর চৈতন্যের ভূমিকায় দর্শকের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে এমন কাউকেই নিতে হতো। যিশুর সঙ্গে আমার ভাল তালমিল হয়ে গিয়েছে।”

Advertisement

ছোট পর্দায় ‘মহাপ্রভু’ দিয়েই যিশুর কেরিয়ারের শুরু। সেই জনপ্রিয়তার কথা অস্বীকার করা যায় না। যিশু এখনও চিত্রনাট্য পড়েননি। বলছিলেন, “সৃজিতের ছবি, সেটাই যথেষ্ট আমার কাছে। আর চৈতন্য নিয়ে আমার নস্ট্যালজিয়া তো আছেই।”

প্রযোজক রানা সরকার ছোট পর্দায় চৈতন্যকে ফিরিয়ে এনেছেন। এই ছবির প্রযোজকও তিনি। চিত্রনাট্য লিখছেন শিবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রথম অন্য কারও স্ক্রিপ্টে পরিচালনা করবেন সৃজিত। কিন্তু চৈতন্য করার পিছনে কারণটা কী? “রানার সঙ্গে আমার নটি বিনোদিনী করার কথা ছিল। কিন্তু কাকে বিনোদিনী করব, সেটা ভেবে পাচ্ছি না। ও-ই পরামর্শ দিল চৈতন্য নিয়ে কাজ করার। চৈতন্যের সামাজিক আর ভক্তিমূলক দিক ছাড়া বাকি কিছু নিয়ে বিশেষ ধারণা ছিল না। রানার আবার এ বিষয়ে প্রচুর জ্ঞান। যেগুলো শুনে আমার ফ্যাসিনেটিং লাগল,” বক্তব্য সৃজিতের।

Advertisement

তবে ‘গৌরাঙ্গ ইতিকথা’ বায়োপিক নয়। চৈতন্যর সামাজিক-রাজনৈতিক চিন্তাধারা থেকে শুরু করে তাঁর মৃত্যু নিয়ে যে রহস্য আছে, তারও নানা দিক তুলে ধরবে এই ছবি। চৈতন্যর মধ্যবয়সটাই ছবিতে দেখানো হবে। সেই জায়গা থেকেই যিশুকে নেওয়া।

যিশু ছাড়া বাকি চরিত্রের কলাকুশলী এখনও ঠিক হয়নি। চৈতন্যকে নিয়ে যখন ছবি, তখন তা পিরিয়ড পিস এবং গীতিবহুল হবেই। তবে ছবিতে একটা সমকালীন আঙ্গিকও থাকবে। যেমনটা ‘জাতিস্মর’-এর ক্ষেত্রে ছিল। ছবির শুটিং শুরু হবে শীতে। পুরীতে ছবির একটা বড় অংশের শুট হবে।

যিশু-সৃজিতের জুটি যেমন হিট, প্রযোজকের সঙ্গেও সৃজিতের জুটি বেশ জমজমাট। ‘জাতিস্মর’ এবং ‘চতুষ্কোণ’ দু’টি ছবিতেই সৃজিত জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। দুটোর প্রযোজকই রানা। এই নিয়ে তৃতীয় বার এসভিএফ-এর বাইরে ছবি করতে চলেছেন সৃজিত। হয়তো হ্যাটট্রিকের আশায়!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন