Bengali Mega Serial

Bengali Serial: টেকনিশিয়ানদের পাশে দাঁড়ানোর জন্যই বিকল্প পথে শ্যুট করার সিদ্ধান্ত প্রযোজকদের

ধারাবাহিকের শ্যুটিং করা নিয়ে প্রযোজকদের সঙ্গে বিরোধ ফেডারেশনের

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২১ ১৯:০২
Share:

ধারাবাহিকের শ্যুটিং করা নিয়ে প্রযোজকদের সঙ্গে বিরোধ ফেডারেশনের।

টেকনিশিয়ানদের পাশে দাঁড়ানোর পরেও ফেডারেশনের তরফে সমালোচনা শুনে আহত টেলি-পাড়ার প্রথম সারির প্রযোজকরা। রবিবার সকালে সাংবাদিক সম্মেলনে নিজেদের ক্ষোভের কথা প্রকাশ করলেন ধারাবাহিকের নির্মাতারা।

Advertisement

তার আগে ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন প্রোডিউসর্স (ডব্লিউএটিপি)-এর তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায়, সুশান্ত দাস, সানি ঘোষ রায় প্রমুখ প্রযোজক লকডাউন চলাকালীন ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ অর্থাৎ বাড়ি থেকে শিল্পীদের শ্যুট করে পাঠানো অংশ নিয়ে ধারাবাহিক চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু তার আগেই বাড়ি থেকে শ্যুট করা নিয়ে ফেডারেশনের তরফে আপত্তি জানানো হয়। যদিও প্রযোজকদের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাড়ি থেকে শ্যুট করা নিয়ে কোনও বিধিনিষেধ জারি করা হয়নি। তাই এই পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে। কিন্তু প্রযোজকরা জানালেন ফেডারেশনের তরফে বলা হয়েছে, এই ভাবে কাজ করিয়ে নিচ্ছেন প্রযোজকরা। আসলে নিজেদের ঝোলা ভর্তি করে নিয়ে কলাকুশলীদের বঞ্চিত করার পরিকল্পনা বলেও দাবি করেছেন তাঁরা। এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রযোজকরা নিজেদের মনের কথা বলার সিদ্ধান্ত নিলেন রবিবার।

সুশান্ত দাস, শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সানি ঘোষ রায় জানালেন, ধারাবাহিকের কাজ অব্যাহত রাখার জন্য তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিশেষত সেই মানুষগুলোর কথা ভেবেই তাঁরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, যাঁরা দিন আনি দিন খাই-এর পর্যায়ে পড়েন।

Advertisement

শৈবালের কথায়, ‘‘আমাদের মতো মানুষ ১৫ দিন কাজ না করেও দিব্যি চালিয়ে দিতে পারব। কিন্তু অনেকেই পারবেন না। তাঁদের জন্য শ্যুট করা হচ্ছে বিকল্প পদ্ধতিতে। এর পরেও কী ভাবে ফেডারেশন এ কথা বলতে পারল যে। নিজেদের আখের গোছানোর জন্য কাজ করছি?’’

প্রযোজকদের আশ্বাস, সকলকেই তাঁদের প্রাপ্য টাকা দেওয়া হবে। আগের বারও টেকনিশিয়ানদের টানা ৩ মাসের খরচ দেওয়া হয়েছিল। বিমা করে দেওয়া হয়েছিল। সেই বিমা এখনও বৈধ। এ বারও তার অন্যথা হবে না। কাজ না করলেও বেতন দেওয়া হবে। কিন্তু তার জন্য তো টেলিভিশন শিল্পকে মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। ধারাবাহিক চললে তবেই লাভ হবে এই ইন্ডাস্ট্রির।

পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলার সময়ে প্রযোজকরা জানালেন, প্রয়োজনে ই-পাসের ব্যবস্থা করা হবে রূপটান শিল্পীদের জন্য। যাতে তাঁরা অভিনেতা-অভিনেত্রীদের বাড়ি গিয়ে সাজিয়ে আসতে পারেন। শৈবাল বললেন, ‘‘কারও বাড়ি যাওয়ায় তো নিষে‌ধাজ্ঞা নেই। কত কত নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে বাড়িতে এখন সেলুন খুলে গিয়েছে দেখতে পাচ্ছি। লকডাউনের মধ্যেও চলছে। মানুষের রুজি-রুটির জন্য এইটুকু তো করতেই হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন