Kanchana Moitra

Bengal Polls: যাঁরা ফেসবুকে বিপ্লব করেন, তাঁরাই ভোট না দিয়ে বিয়ার খান: ক্ষুব্ধ কাঞ্চনা

আনন্দবাজার ডিজিটালের কাছে অকপট কাঞ্চনা মৈত্র।

Advertisement

স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২১ ১৭:০৯
Share:

কাঞ্চনা মৈত্র।

প্রশ্ন: নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেই শরীর খারাপ হয়ে গেল?

Advertisement

কাঞ্চনা: এ কী কথা! আসলে রেস কোর্সের মাঠে ওঁর সঙ্গে দেখা হল। রাজনীতিতে উনিই আমার আদর্শ। সে দিন খুব রোদ আর ধুলো লেগে গলায় একটা অস্বস্তি শুরু হয়েছে। তবে আমার কিন্তু করোনাও হয়নি। প্লিজ এটাও লিখে দেবেন।

Advertisement

প্রশ্ন: কেমন লাগল আলাপ করে?

কাঞ্চনা: আমি তো মুগ্ধ! ওঁর অদ্ভুত একটা ব্যক্তিত্ব আছে। সকলকেই তা আকৃষ্ট করবে। ওঁকে সামনে দেখে আমি তো কথাই বলতে পারছিলাম না। শিল্পীদের বরাবর সম্মান করেন তিনি।

প্রশ্ন: অথচ সেই শিল্পীদের দিলীপ ঘোষ রগড়াতে চাইলেন?

কাঞ্চনা: দেখুন দিলীপদা আমাদের সকলের শ্রদ্ধার মানুষ। কোনও একটা মুহূর্তে উনি ওই শব্দ বলেছেন। শিল্পীদের ক্ষেত্রে এই শব্দ ব্যবহার সত্যিই ভুল। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মী হিসেবে বলতে পারি, শিল্পীদের অসম্মান এই দল কখনও করেনি। মোদীজি সব সময় বলেছেন শিল্পীরা যেমন তাঁদের শিল্পের মাধ্যমে মানুষেরর মনোরঞ্জন করেন তেমনই তাঁদের দেশ গঠনের কাজেও এগিয়ে আসা উচিত।

প্রশ্ন: আপনিও তো বাংলার উন্নয়নের জন্য বিজেপির হয়ে কাজ করছেন। কিন্তু টিকিট তো পেলেন না

কাঞ্চনা: দেখুন আনন্দবাজার ডিজিটালকে আগেও জানিয়েছিলাম, টিকিটের জন্য আমি রাজনীতি করছি না। আজও একই উত্তর হবে।

প্রশ্ন: বেহালা পশ্চিম থেকে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় বিজেপির প্রার্থী হলেন। ওটা তো আপনারও এলাকা। খারাপ লাগেনি?

কাঞ্চনা: কেন লাগবে? দলকে আমি সম্মান করি। আর আপনার সঙ্গে কথা বলতে বলতেই আমার টেনশন বাড়ছে। ১০ এপ্রিল তো আমারও ভোট! আমারই তো এলাকা।

প্রশ্ন: তা হলে শ্রাবন্তীর সঙ্গে প্রচারে আপনাকে দেখা গেল না কেন?

কাঞ্চনা: শ্রাবন্তী নিজে অত বড় তারকা শিল্পী। ওঁর প্রচারে আবার একজন খ্যাতনামী যোগ দেবে? দল কিন্তু এমন চায়নি। শ্রাবন্তীর সঙ্গে বরং প্রচারে দক্ষ রাজনীতিবিদ থাকবেন। আর নতুন কোনও প্রার্থীর সঙ্গে আমাদের মতো তারকারা থাকবেন। দল এ ভাবেই প্রচার পদ্ধতি ঠিক করেছে।

প্রশ্ন: বলছিলেন, আপনার এলাকায় ভোট নিয়ে টেনশনে আছেন। কেন?

কাঞ্চনা: টেনশন তো হবেই। মনে হচ্ছে, আমি যে ভাবে বাংলার উন্নয়নের কথা ভাবছি, সাধারণ মানুষ তার সঙ্গে যুক্ত হতে পারছে তো? দেখুন এই নির্বাচন ঘিরে যাই হয়ে থাক, যে যাই বলু্‌ মানুষ কী ভাবছে সেটাই আসল। এ বারে নির্বাচন ঘিরে যেমন ফেসবুকে অনেক বেশি বিপ্লব হচ্ছে। প্রচুর মানুষ আমার মতো বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে আহা উহু করছেন। আমি লক্ষ করে দেখেছি, এই শব্দ দিয়ে বিপ্লব যাঁরা করেন তাদের অধিকাংশ দামি কফির দোকানে বসে নানা জ্বালাময়ী কথা লেখেন। তাঁরা বলেন সাধারণ মানুষের দুর্দশার কথা। অথচ ভোটের দিন ভোট না দিয়ে দুপুরে বসে বিয়ার খেতে খেতে তাঁরা বলেন, ধুর ভোট দিয়ে কী হবে!

প্রশ্ন: সম্প্রতি প্রভাত রায় বলেছেন ইন্ডাস্ট্রির মানুষ দলে দলে রাজনীতিতে চলে যাওয়ায় ইন্ডাস্ট্রির কী হবে

কাঞ্চনা: আমার তা একেবারেই মনে হয় না। তবে প্রভাত রায়ের মতো পরিচালককে যদি ফেডারেশনের পক্ষ থেকে নির্দেশ নিয়ে ছবির সঙ্গে যুক্ত কলাকুশলী কত জন হবে তা তৈরি করতে হয়, তা হলে তা দুঃখজনক। তরুণ মজুমদারের মতো পরিচালক কী ভাবে শ্যুট করবেন, সেটা অন্য কেউ বলে দেবে?

প্রশ্ন: বিজেপি ক্ষমতায় এলে কি ফেডারেশন এই নির্দেশ বদলাবে?

কাঞ্চনা: দেখুন শিল্প, স্বাস্থ্য, শিক্ষা-- এই বিষয়ে কোনও রাজনীতি চলে না। এটুকু বলতে পারি।

প্রশ্ন: এ বারের ভোটযুদ্ধ জয় কার হবে?

কাঞ্চনা: মানুষ বলবে। আমি কেউ না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন