সদ্য মুক্তি পেয়েছে সলমন খান আর সোনম কপূরের নতুন ছবি ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’-র প্রথম পোস্টার। সোনম নিজেই সবার আগে সেটা পোস্ট করেছেন তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে। তার পর থেকেই জল্পনা তুঙ্গে— রেশমি ঝালর বসানো কলম দিয়ে সেই ছবিতে সোনমের পিঠে কী লিখছেন সলমন? প্রেমকাহিনি না রত্ন সংবাদ?
অবাক লাগছে তো এ রকম একটা জল্পনার খবর শুনে? আরও অবাক লাগবে ছবির গল্পটা কী জানতে পারলে! সেই কাহিনি ভাগেই লুকিয়ে আছে এই লেখালেখির রহস্য।
সলমন আর সোনমের এই নতুন ছবি আগাগোড়া রাজকীয় রহস্যের জালে মোড়া। প্রেম, অর্থ, লালসা, হিংসা— সব কিছুর এক নিটোল বুননে তিলে তিলে সূর্য বরজাতিয়া তৈরি করেছেন তাঁর এই সাধের ছবি। ছবিতে সলমন খানকে দেখা যাবে দ্বৈত ভূমিকায়। এক দিকে তিনি রাজা, অন্য দিকে তিনি সাধারণ মানুষ। রাজার নাম প্রেম আর সাধারণ মানুষটির নাম বিজয়।
সোনমের সেই টুইট
এখন, এই রাজা প্রেমের বিলাসবহুল জীবনযাত্রা পছন্দ নয়। সে চায় মাটির মানুষের কাছাকাছি থাকতে। তা, চাইলেই তো আর হয় না! রাজকার্য ছেড়ে রাজা কী ভাবে খামখেয়ালে মন দেবে! সে একটু অমনোযোগী হলেই যে সৎ-ভাই নিরঞ্জন দখল করে নেবে সব সম্পত্তি। তাই রাজা প্রেমকে অপছন্দের জীবনেই আটকে থাকতে হয়। এর মধ্যেই একদিন তার সঙ্গে দেখা হয়ে যায় বিজয়ের। নিজের চেহারার সঙ্গে বিজয়ের মিল দেখে প্রেম তাকে রাজা সাজিয়ে নিয়ে আসে প্রাসাদে। আর নিজে বেরিয়ে পড়ে এত দিনের কাঙ্ক্ষিত জীবনের খোঁজে।
পড়ুন : সলমনের সঙ্গে কাজ করতে হবে ভেবে নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলাম: সোনম
সমস্যা হল, রাজকুমারী মৈথিলী তো আর সেটা জানে না! তার প্রেম-কাহিনি বয়ে চলে বিজয়ের সঙ্গেই। আর ঠিক এই জায়গাতে এসেই দানা বাঁধে জমাট রহস্য। প্রেম না বিজয়, কার হাত গুপ্ত কথা লিখে দিচ্ছে রাজকুমারীর পিঠে? আর কী সেই কথা? নিখাদ প্রেম প্রকাশ না কি আত্মপরিচয়?
বলাই বাহুল্য, সে সব কথা এখনই জানাতে রাজি নয় রাজশ্রী প্রযোজক সংস্থা। তারা এই দীপাবলীতে অনেক দিন পরে ফিরে এসে মানুষের জয় করে নিতে চাইছে। পাছে, উৎসবের মুহূর্তে মানুষ ছবি দেখতে যেতে দেরি করে, সেই আশঙ্কায় এক সঙ্গে অনেকগুলো প্রেক্ষাগৃহে ছবিটাকে আনছে তারা। এমনকী, সেই তালিকায় বাদ যাচ্ছে না দক্ষিণ ভারতের প্রেক্ষাগৃহগুলোও! কথা আছে, তামিল ও তেলুগুতে ছবিটা ডাব করবে তারা।
আপাতত, বরং অপেক্ষা করা যাক ১২ নভেম্বরের জন্য। সেই দিনেই মুক্তি পাচ্ছে ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’।