Mithun Chakraborty

মিঠুনের চেয়ে বেশি আয় ছিল তাঁর রূপটান শিল্পীর! ‘মৃগয়া’র পর কত টাকা পেতেন অভিনেতা?

বাসে চেপে শুটিংয়ে আসতেন মিঠুন। ১৯৭৯ সালে সিনেমার সেটে তাঁর রূপসজ্জা এবং কেশসজ্জায় যাঁরা নিযুক্ত ছিলেন, তাঁরাও বেশি টাকা পেতেন মিঠুনের তুলনায়। অভিনয় করে কত টাকা পেতেন ‘মহাগুরু’?

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৩ ১১:৪৭
Share:

মিঠুন সেটে আসতেন বাসে। পেয়িং গেস্ট থাকতেন তিনি, গাড়ি কেনার সামর্থ্য তখনও হয়নি। —ফাইল চিত্র

ব্যক্তিগত গাড়ি ছিল না, বাসে করে শুটিং স্পটে যেতেন মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁর শুরুর দিকের অভিনয় জীবন ছিল লড়াইয়ের রোজনামচা। সেটের রূপটান-শিল্পীরাও তাঁর থেকে বেশি পারিশ্রমিক পেতেন! তবে যেটুকু অর্থ উপার্জন করতেন, তা-ই স্বর্গ ছিল মিঠুনের কাছে। মৃণাল সেনের ‘মৃগয়া’ (১৯৭৬) ছবিটি দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু করেন মিঠুন। এই ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পান তিনি। কিন্তু বলিউডে প্রতিষ্ঠিত হতে তাঁকে দীর্ঘ সময় লড়াই করতে হয়েছে।

Advertisement

‘ডিস্কো ডান্সার’-এর অভিনেতা জানান, ১৯৭৯ সালে যখন তিনি বাসু চট্টোপাধ্যায়ের ‘প্রেম বিবাহ’ ছবিতে অভিনয় করছেন, তখন, তাঁর রূপসজ্জাশিল্পী এবং কেশসজ্জাশিল্পীও তাঁর থেকেও বেশি টাকা উপার্জন করতেন। মিঠুন সেটে আসতেন বাসে। পেয়িং গেস্ট থাকতেন তিনি, গাড়ি কেনার সামর্থ্য তখনও হয়নি। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি ৫ হাজার টাকা পেয়েছিলাম অভিনয় করে, আমার সহায়ক শিল্পীরা ৭ হাজার পাঁচশো থেকে ৮ হাজার। তখন ৫ হাজার টাকা আমার কাছে ৫ কোটি টাকার সমান ছিল। পেয়িং গেস্ট হিসাবে মাসে ৭৫ টাকা দিতে হত। একটা ট্রাউজ়ার্স আর দুটো জামা ছিল আমার। কী ভাবে যেন দুটো জুতো জোগাড় করেছিলাম।”

অতীতের সংগ্রামের দিনের কথা বলতে গিয়ে মিঠুন উল্লেখ করেছেন, “এক জন পরিচালক বলেছিলেন, আমি যদি হিরো হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারি, তিনি ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দেবেন। পরে অবশ্য তিনি আমায় নিয়ে ছবি করেন, হিট হয় সেটি। তবে, তিনি যে আমায় একটা সময় অসম্মান করেছিলেন, আমারও খারাপ লেগেছিল, এটা আমি তাঁকে বুঝতে দিইনি।” সেই পরিচালকের নাম প্রকাশ্যে আনেননি, তবু মিঠুনের দাবি, সেই ব্যক্তি নিজেও বুঝেছিলেন তিনি কী করেছেন।

Advertisement

সর্বভারতীয় স্তরে মিঠুনের খ্যাতি অবশ্য দিনে দিনে বৃদ্ধি পেতে থাকে। তাঁর পুত্ররাও অভিনয়ে আসেন। মিঠুন-পুত্র নমশি অবশ্য পরবর্তী কালের একটি ছবিতে তাঁর বাবার অভিনয় করা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর মনে হয়েছিল, ১৯৯৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘গুন্ডা’ ছবিতে কাজ করা উচিত হয়নি মিঠুনের। যদিও ছবিটি তাঁর নিজের ভাল লাগে। সিবিএফসির নির্দেশে ছবিটি হল থেকে তুলে নিতে হয়। বেশ কিছু আপত্তিকর দৃশ্য আছে ছবিতে, এমন অভিযোগ ওঠে। নমশির মতে, “ছবিটা কুখ্যাত। নতুন প্রজন্মের অনেকেই ভাববেন, আমার বাবা কেবল এই ধরনের ছবিই করেন।” মিঠুনের মানের অভিনেতার এই ছবিতে অভিনয় করা উচিত হয়নি বলেই মত পুত্রের। ১৯৮২ সালের ‘ডিস্কো ডান্সার’ বলিউডে মিঠুনকে প্রতিষ্ঠা দেয়। আগামী দিনে সানি দেওল এবং সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে ‘বাপ’ ছবিতে দেখা যাবে মিঠুনকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন