সলমন-শাহরুখ না হলেও, আয়ের নিরিখে কম যান না হিন্দি টেলিভিশনের তারকারা। ঝাঁ চকচকে গাড়ি, বিলাসবহুল বাড়ি— সবই রয়েছে তাঁদের কাছে। সেই সঙ্গে দু’দিন অন্তর বিদেশযাত্রা। কিন্তু শুরুটা কেমন ছিল এই তারকাদের? প্রথম রোজগারই বা কত ছিল? জেনে নিন এক ঝলকে।
করণ পটেল:এই মুহূর্তে হিন্দি টেলি জগতের ‘একচ্ছত্র অধিপতি’তিনি। সলমন খানের মতো সুপারস্টার নিজের শোয়ে অতিথি হিসাবে ডেকে পাঠান তাঁকে। কিন্তু আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতোই কেরিয়ার শুরু করেছিলেন করণ। ইলাহাবাদ ব্যাঙ্কের বিজ্ঞাপনে মুখ দেখিয়ে প্রথম ৬০০ টাকা রোজগার করেন তিনি।
দিব্যাঙ্কা ত্রিপাঠী: এই মুহূর্তে আকাশছোঁয়া দর তাঁর। অভিনয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মুখ দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেন। কিন্তু প্রথম রোজগার ছিল আকাশবাণী থেকে। একটি অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করে ২৫০ টাকা হাতে পেয়েছিলেন।
হিনা খান:প্রায় এক দশক ধরে নিজের ঘাড়ে একটি সিরিয়াল বয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। তবে সাফল্যের শিখরে পৌঁছন বিগ বসের মাধ্যমে। বাকিদের মতো বিশেষ সংগ্রাম করতে হয়নি তাঁকে। প্রথম সিরিয়ালের জন্য ৪৫ হাজার টাকা পেয়েছিলেন।
রেশমি দেশাই: ডাকসাইটে অভিনেত্রী বলে খ্যাতি রয়েছে। নেগেটিভ চরিত্রেও স্বচ্ছন্দ। তবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন মডেল হিসাবে। একটি হেয়ার অয়েল সংস্থার জন্য ফটোশুটই তাঁর প্রথম কাজ। তার জন্য ১ হাজার টাকা পেয়েছিলেন।
রবি দুবে:কেরিয়ারের শুরুতে টিভি সিরিয়ালই করতেন। ইদানীং রিয়্যালিটি শো এবং বলিউডের দিকে ঝুঁকেছেন। তবে বিজ্ঞাপনে মুখ দেখিয়েই কেরিয়ার শুরু করেন। প্রথম পারিশ্রমিক ছিল ২০ হাজার টাকা।
ভিভিয়ান ডিসেনা:হিন্দি টেলি জগতের রবার্ট প্যাটিনসন বলা হয় ভিভিয়ানকে। মডেল হিসাবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। প্রথম পারিশ্রমিক ছিল ৩ হাজার ৪০০ টাকা।
রিধি ডোগরা:বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় মডেলিং-এ পা রাখেন রিধি। সেই সময় এক কর্পোরেট সংস্থায় প্রশিক্ষণ নিতে ঢোকেন। তার জন্য প্রথম মাসে ১ হাজার টাকা পেয়েছিলেন।
শরদ মলহোত্র: ধীরে সুস্থে এগনোয় বিশ্বাসী শরদ। কাজও করেন বেছে বেছে। বিশাখাপত্তনমে রিলায়্যান্সের বিজ্ঞাপনে প্রথম কাজ পান। সেই বাবদ পকেটে ঢোকে আড়াই হাজার টাকা।
পূজা গোর:হাতে মেহেন্দি পরিয়ে প্রতম রোজগার পূজার। বিশ্বাস হচ্ছে না! নিজে মুখেই সে কথা জানিয়েছেন অভিনেত্রী। এক আত্মীয়ের বাড়িতে অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সেখানে মেহেন্দি পরিয়ে ৫০০ টাকা জোটে কপালে।
আশা নেগি:পড়াশোনা দেহরাদুনে। কলেজে পড়ার সময় কল সেন্টারে চাকরি করতেন আশা। মাসের শেষে হাতে পেতেন ৩ হাজার টাকা।