‘পিকে’ নিয়ে উত্তরপ্রদেশের পথে এগোল বিহারও।
নীতীশ কুমারের অনুরোধে আজ বিতর্কিত ওই ছবিকে করমুক্ত ঘোষণা করল জিতনরাম মাঁঝির সরকার। গত কাল একই কথা জানিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ। গত সন্ধেয় আমির খান অভিনীত ‘পিকে’ দেখতে গিয়েছিলেন জেডিইউ নেতা নীতীশ। এ দিন তিনি রাজ্য সরকারকে ছবিটি করমুক্ত করার আর্জি জানান। তাতে সাড়াও মেলে।
আমদাবাদ, রাঁচি, ভোপাল, দিল্লির মতো শহরের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে ‘পিকে’র প্রদর্শন বন্ধের দাবিতে তাণ্ডব চালিয়েছে বজরঙ্গ দল, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্য-সমর্থকরা। এ নিয়ে নয়াদিল্লির বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়েছিল, শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিবাদ জানানোর অধিকার সকলের রয়েছে। তবে অখিলেশের বিরুদ্ধে তোপ দেগে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতারা মেরুকরণের রাজনীতির অভিযোগ তুলেছিলেন। এ দিন বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুশীল মোদী সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে লেখেন ‘মুক্তির দু’দিন পরই পিকে দেখেছি। বিরোধিতার কারণ বুঝছি না। আমির খান সব সময় সামাজিক ব্যধির বিরুদ্ধে সোচ্চার।” রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের বক্তব্য, নীতীশের চাল বুঝতে পেরেই এ পদক্ষেপ করেছেন সুশীল।
‘পিকে’ দেখার পর নীতীশ বলেছিলেন, “দেশকে ভাগ করতেই এই ছবির বিরোধিতা করা হচ্ছে। শিল্প কোনও জাতি, ধর্ম মানে না। আমি সরকারকে ছবিটি করমুক্ত করার অনুরোধ করব।” নীতীশের অনুরোধের জেরে এ দিন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম ‘পিকে’ করমুক্ত বলে ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “আমি সিনেমাটা দেখিনি। তবে তাকে ঘিরে যা হচ্ছে তা কাম্য নয়। শিল্প নিজের ধর্ম মেনে চলে। সেখানে আলাদা কোনও জাতি, ধর্ম থাকে না।”
বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিকে কিছুটা কোণঠাসা করতেই ‘পিকে’কে ঢাল করছেন নীতীশ এমনই মনে করছে বিরোধী শিবির। তাঁদের একাংশের বক্তব্য, কয়েক দিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক ভাবে মুলায়ম সিংহ যাদব, লালুপ্রসাদ, নীতীশ কুমাররা হাতে হাত মেলাবেন। অখিলেশের পর নীতীশের এই পদক্ষেপ তাই ইঙ্গিতবাহী।