প্রতিবন্ধীদের নিয়ে নাটক প্রশাসনের

ওদের জন্য নাটক। ওদের নিয়েই নাটক। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু-কিশোরদের নিয়ে নদিয়া জেলা প্রশাসনের নাটক ‘আলোর পথযাত্রী’ ছুঁয়ে গেল কৃষ্ণনগর রবীন্দ্রভবনে কয়েকশো দর্শকের হৃদয়। প্রতিবন্ধী শিশু শঙ্কর চরিত্রে অভিনয় করেছে ভালুকার বাসিন্দা চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র প্রীতম দেবনাথ। প্রীতম নিজেই এক জন প্রতিবন্ধী। প্রীতম একা নয়, এই নাটকে প্রতিটি প্রতিবন্ধী শিশুর চরিত্রে অভিনয় করেছে বাস্তবের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:১৩
Share:

‘আলোর পথযাত্রী’ নাটকের একটি মুহূর্ত। —নিজস্ব চিত্র।

ওদের জন্য নাটক। ওদের নিয়েই নাটক। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু-কিশোরদের নিয়ে নদিয়া জেলা প্রশাসনের নাটক ‘আলোর পথযাত্রী’ ছুঁয়ে গেল কৃষ্ণনগর রবীন্দ্রভবনে কয়েকশো দর্শকের হৃদয়।

Advertisement

প্রতিবন্ধী শিশু শঙ্কর চরিত্রে অভিনয় করেছে ভালুকার বাসিন্দা চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র প্রীতম দেবনাথ। প্রীতম নিজেই এক জন প্রতিবন্ধী। প্রীতম একা নয়, এই নাটকে প্রতিটি প্রতিবন্ধী শিশুর চরিত্রে অভিনয় করেছে বাস্তবের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা। আর তাদের সঙ্গ দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের পদস্থ কর্তারা। কেউ হয়েছেন পুলিশ, কেউ বা স্নেহশীল বৃদ্ধ আবদুল চাচা, আবার কেউ বা নিষ্ঠুর বাড়িওয়ালা, আবার কেউ অভিনয় করেছেন শিশু পাচারকারী ওস্তাদের চরিত্রে।

নাটকের গল্পটা এই রকম চলতে অক্ষম শঙ্করের বাবা ছোটবেলাতেই মারা যান। অন্ধ মাকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকে সে। বাড়ি ভাড়া ছ’মাস বাকি থেকে যায়। অসুস্থ শঙ্করের মা কাজ করতে পারে না। শঙ্কর পাড়ার মোড়ের দোকান থেকে মায়ের জন্য ওষুধ ধার করে আনে। বাড়িওয়ালা লাল সেই ওষুধটাও কেড়ে নেয়। ওষুধের অভাবে সেই রাতেই মারা যান শঙ্করের মা। অসহায় শঙ্কর নানা ঘাত-প্রতিঘাতের পরে আশ্রয় পায় চায়ের দোকানের মালিক আবদুল চাচার কাছে। একদিন এই আবদুল চাচাকে সঙ্গে নিয়ে শঙ্কর পুলিশের সাহায্য উদ্ধার করে পাচার হয়ে যাওয়া তিন প্রতিবন্ধী শিশুকে।

Advertisement

শঙ্করের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছে আনন্দবাসের বাসিন্দা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী দৃষ্টিহীন রীমা সাঁধুখা। আর পাচার হয়ে যাওয়া অন্য তিন প্রতিবন্ধী শিশুর চরিত্রে আভিনয় করেছে আমঘাটার বাসিন্দা তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র সাকিল শেখ, আনন্দবাসের বাসিন্দা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী রূপালি পাল ও ঠাকুরতলা এলাকার বাসিন্দা চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শ্রীমা পাল। নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা করেছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) উৎপল ভদ্র। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা চাইনি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের বাদ দিয়ে প্রতিবন্ধী দিবস পালন করতে। আমরা তাদের নিয়েই এই বিশেষ দিনটি পালন করতে চেয়েছি। আমরা চেয়েছি ওরাই ওদের কথা বলুক। অন্যদের মধ্যে এই বিশ্বাস জাগিয়ে তুলুক যে প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে শুধু নিজেকে নয়, সমাজকেও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।’’

কোথায় কী

চাকদহে নাট্যমেলা

চাকদহ সম্প্রীতি মঞ্চে ‘হ-য-ব-র-ল’-র আয়োজনে ‘চাকদহ নাট্যমেলা’ উদ্বোধন।
উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রী ও নাট্যকার ব্রাত্য বসু। পরিবেশিত হবে কলকাতা ব্রাত্যজনের নাটক ‘কে?’।


রানাঘাট হ্যাপি ক্লাব মাঠে উদ্বোধন হবে পঞ্চম বার্ষিক নদিয়া উত্‌সবের। চলবে দশ দিন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন