ভগবান কষ্ট দিচ্ছেন জানেন হৃতিক সেটা থেকে বেরোতে পারবে

চেহারায় গ্রিক দেবতুল্য। কে জানত ইন্টারভিউ দিতে বসে সেই ‘দেবতা’র চোখই জলে ভরে যাবে! মুম্বইতে হৃতিক রোশন-য়ের মুখোমুখি ইন্দ্রনীল রায়চেহারায় গ্রিক দেবতুল্য। কে জানত ইন্টারভিউ দিতে বসে সেই ‘দেবতা’র চোখই জলে ভরে যাবে! মুম্বইতে হৃতিক রোশন-য়ের মুখোমুখি ইন্দ্রনীল রায়

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:০১
Share:

লবিতে তাঁকে ঘিরে তিন-চারজন ‘সাপোর্ট স্টাফ’। এর মধ্যেই গান গাইতে গাইতে জে ডব্লিউ ম্যারিয়ট-এর বলরুমে ঢুকেই খাবারের দিকে হাঁটা শুরু করলেন। “ভীষণ খিদে পেয়েছে। জমিয়ে খাব আজকে,” বলে প্লেটটা হাতে নিলেন।

Advertisement

‘প্রচুর’ খাওয়ার নিদর্শন: এক পিস মাছ, এক হাতা পনির ভুর্জি আর একটা রুটি।

মাথার টুপিটা খুলে, ন্যাপকিনে হাত মুছে, হৃতিক বসলেন নির্ভেজাল আড্ডায়—

Advertisement

শুনলাম কালকে নাকি রাত তিনটেতে অটো করে বাড়ি ফিরেছেন...

(হাসি) হ্যাঁ। কে বলল?

আপনারই লোকজন...

হা হা হা। হ্যাঁ, একদম ঠিক। আমি ফিল্মসিটিতে ছবির ডিআই-এর কাজ করছিলাম। বেরোবার সময় আমার গাড়িটা অ্যাক্সিডেন্ট করল। একটা অটো থামিয়ে উঠে পড়লাম।

অটোওয়ালা নাকি আপনাকে চিনতে পারেনি।

ক্যান ইউ বিট দ্যাট? পুরো রাস্তায় চিনতে পারল না। আমি যেখান থেকে উঠেছিলাম সেই জায়গাটা অন্ধকার ছিল, তাই প্রথমে ভাবলাম বোধহয় আমাকে দেখতে পায়নি।

শুধু বলল, ‘বৈঠ যাও স্যার’। তার পর বাড়ির কাছে এসে দাঁড় করানোর পর জিজ্ঞেস করলাম, ‘ভাইয়া, কিতনা হুয়া?’ তখনও দেখছি চিনছে না। আমাকে যে চিনতে পারছে না এটা ভেবে হাসিও পাচ্ছে তখন। (হাসি) ভাবছি, ‘হায় রে, তুই নাকি হৃতিক রোশন? শালা পনরা সাল কা পুরা স্টারডম বেকার গয়া। তাই টাকা দেওয়ার সময় টুপিটাও খুললাম। ধুর্, কোনও লাভ হল না। ‘থ্যাঙ্ক ইউ সাব’ বলে চলে গেল (হাসি)। আমি সারা জীবন মোমেন্টটা ভুলব না।

হা হা হা। আচ্ছা বলুন, কেমন আছেন? অনেক দিন আসেননি কিন্তু কলকাতায়?

হ্যাঁ, ঠিকই বলেছেন। বেশ কয়েক বছর হয়ে গেল কলকাতা যাওয়া হয়নি।

‘ব্যাং ব্যাং’ তো দুর্গাপুজোয় রিলিজ?

হ্যাঁ, দুর্গাপুজো মানে অষ্টমীর দিন রিলিজ করছে। ইনফ্যাক্ট ছবির প্রোডিউসর, ফক্স স্টার স্টুডিয়োজের লোকেদের বলেছিলাম পুজোর সময় কলকাতার মানুষের যা এক্সাইটমেন্ট থাকে তাতে বেঙ্গল থেকে ভাল কালেকশন হবে (হাসি)। আমার দিদা বাঙালি ছিল। সঙ্গে দুর্গাঠাকুরের আশীর্বাদ থাকবে। কে আটকাবে আমাদের?


‘ব্যাং ব্যাং’য়ে ক্যাটরিনার সঙ্গে হৃতিক

কিন্তু ছবি তো প্রায় আটকেই গিয়েছিল। প্রায় আড়াই বছর লাগল শেষ করতে।

হ্যাঁ, আড়াই বছর। প্রথমে ভেবেছিলাম চার-পাঁচ মাসে শেষ করে দেব। কিন্তু একটার পর একটা বাধা আসা শুরু করল। তবে ছবির দৌলতে ঘুরলাম প্রচুর।

কোন জায়গাটা সব চেয়ে ভাল লাগল?

বেস্ট লাগল গ্রিসের স্যান্টোরিনি।

ন্যাচারাল। আপনাকেও তো গ্রিক গড বলা হয়?

গ্রিক গড বলে লাভ কী? অটোওয়ালার মতো গ্রিসেও কেউ আমাকে চিনল না। হা হা হা। তবে হ্যাঁ, অদ্ভুত ভাল লেগেছে শহরটা। ভারতের বাইরে কোথাও যদি কোনও দিন সেটল করি, সেটা স্যান্টোরিনিতেই করব। আমি যে ভাবে জীবনকে দেখি সেটার সঙ্গে ওই জায়গাটার অদ্ভুত মিল পেয়েছি। আর আমার এমনিতেই ট্র্যাভেল করতে ভাল লাগে। শুধু জিওগ্রাফিক্যাল ট্র্যাভেল নয়। নিজের মনের তো একটা ট্র্যাভেল আছে। আজকাল এই মনের ট্র্যাভেলটা প্রায়ই করি আমি।

হৃতিক, আপনাকে কিছু ব্যক্তিগত বিষয় জিজ্ঞেস করতে চাই?

প্লিজ করুন, আজকে আমি বলতেও চাই।

যে দিন মাথার ক্লটের জন্য অপারেশন থিয়েটারে ঢুকলেন তার ঠিক আগের সময়টার কথা বলবেন?

আপনি তো আমার বাড়ি এসেছেন, আমি উপরের ফ্ল্যাটে ছিলাম। ট্রেডমিল করছিলাম। সে দিন রাতেই ‘ব্যাং ব্যাং’য়ের শিডিউলের জন্য আমার প্রাগ যাওয়ার কথা।

রাতের ফ্লাইট?

হ্যাঁ, রাতের ফ্লাইট।

তার পর?

মাথায় ব্যথাটা তো ছিলই। কিন্তু ট্রেডমিলে হাঁটার সময় দেখলাম ব্যথাটা ক্রমশ বাড়ছে। আমার হাত-পায়ের কোঅর্ডিনেশনটা ঠিক হচ্ছিল না। একটা কাগজ নিলাম। লিখতে গিয়ে দেখলাম হ্যান্ডরাইটিংটা বদলে যাচ্ছে। লিখতেই পারছি না। সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারকে ফোন করলাম। বললাম শরীরটা ঠিক নেই কিন্তু আট ঘণ্টা পর ফ্লাইট। মনে হচ্ছে আমার আর একটা স্ক্যান করা উচিত।

তখন রাকেশজি বা আপনার ফ্যামিলি কোথায়?

বাড়িতেই।

স্ক্যানে কী বেরোল?

বেরোল আমার মাথার বাঁ-দিকটা পুরো রক্তে ভরে গিয়েছে। রক্ত এতটাই যে সেটার চাপে ব্রেনটা ডান দিকে সরে গিয়েছে। ডাক্তার বলল ট্রিপ ক্যানসেল করতে হবে, প্লেন টেক অফ করলেই মরে যাব।

কী বলছেন?

হ্যাঁ ইন্দ্রনীল, আই অ্যাম অনলি সেইং দ্য ট্রুথ। ডক্টর বলল, প্লেন টেক অফের সময় এয়ার প্রেশারের ডিফারেন্সে আমি সঙ্গে সঙ্গে কোমায় চলে যাব। অ্যান্ড ডেথ।

বাড়ির লোকের অবস্থা...

সবাই চুপ। বাবা তো স্টান্ড। কথাই বলছেন না। আমি ছেলে, নিজের নার্ভাস লাগলেও দেখাতে পারছি না। একটু ধাতস্থ হয়ে আবার ডাক্তারদের ফোন করলাম।

ডাক্তারদের মানে?

পাঁচজন ডাক্তারকে ফোন করলাম। আর এই ঘটনার চার-পাঁচ মাস আগে থেকেই মাথাব্যথার নানা কারণ, কী সিম্পটম হতে পারে, কী এমার্জেন্সি হতে পারে এই নিয়ে ইন্টারনেট ঘেঁটে ফেলেছিলাম। জেনে গিয়েছিলাম অনেক কিছুই। তাই ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলার সময়ও ওই ইন্টারনেটের জ্ঞান দিচ্ছিলাম তাঁদের। চারজন ডাক্তার তো দেখলাম আমি যা বলছি তার সঙ্গে তাল মিলিয়েই বলছেন, “ইয়েস, উই ক্যান ডু হোয়াট ইউ আর সেয়িং মিস্টার রোশন।” বুঝলাম, ওঁদের কাছে আমি তখনও হৃতিক, পেশেন্ট নই। তার পর পঞ্চমজনকে ফোন করলাম।

উনি কী বললেন?

(ম্লান হেসে) ওঁকেও আমি বোঝাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু বাকিদের মতো উনি বললেন না “ইয়েস, উই ক্যান ডু হোয়াট ইউ আর সেয়িং।” আমার মেডিক্যাল জ্ঞান শুনে শুধু বললেন, “জাস্ট শাট আপ। আই অ্যাম দ্য ডক্টর হৃত্বিক। উই নিড টু অপারেট রাইট নাও অর উই উইল লুজ ইউ।”

ব্যস, আই নিউ হি ওয়াজ দ্য ম্যান। বুঝেছিলাম আমার ব্রেনে স্ক্যালপেল ঢোকানোর সময় অন্তত এঁর হাত কাঁপবে না। ব্যস, সঙ্গে সঙ্গে ফ্ল্যাট থেকে বেরোলাম। তিরিশ মিনিটে ওটি-র ভিতরে। গিয়ে নার্সদের বললাম, তোমাদের ফেভারিট গান কী? ওরা বলল, ‘উঠে সবকে কদম...’। বললাম, ‘আমার জন্য ওই গানটা গাও’। ওরা গান গাইতে শুরু করল। ব্যস, তার পর আর কিছু মনে নেই।

মাই গড। আচ্ছা, যে ব্যথাটা হত সেটার সিম্পটম কী ছিল?

সিম্পটমস্? এ রকম সিম্পটম যেন কাউকে ফেস না করতে হয়। অপারেশনের প্রায় এক বছর আগে থেকে আমার কোনও আওয়াজ ভাল লাগত না। যে কোনও আওয়াজ শুনলেই অস্বস্তি হত। কখনও কিছুতেই কনসেনট্রেট করতে পারতাম না। এবং সব চেয়ে বিপজ্জনক যেটা, ঘর শান্ত থাকলেও মনে হত মাথার মধ্যে কে মারছে। সায়লেন্স হ্যাড বিকাম ডিফেনিং। এত ব্যথা হত যে কাঁদতে পারতাম না, কাঁদলেও ব্যথা বাড়ত। এবং মাইন্ড ইট। এটা কিন্তু যখন আমার ডিপেস্ট পার্সোনাল ক্রাইসিস চলছে, সেই সময়ের সব ঘটনা।

খারাপ লাগলেও কাঁদতে পারছি না...বেশি ক্ষণ কথা বলতে পারছি না। আর চোখের সামনে দেখছি পার্সোনাল লাইফ ইন ডিপেস্ট ক্রাইসিস।

হোয়াট আ মোমেন্ট ইন লাইফ।

সিরিয়াসলি ম্যান। তবে অপারেশন করে রক্ত বের করানোর সাত মাস পরেও ব্যথা করত। খালি মনে হত, ভগবান আমাকে যেন একটা বক্সের মধ্যে বন্ধ করে রেখেছে। শ্যুটিং নেই, শুধু বাড়িতে বসে আছি।

বেরোলেন কী ভাবে এই সময়টা থেকে?

এটাও অদ্ভুত স্টোরি। দেখবেন যখন এ রকম একটা সিচ্যুয়েশনে পড়বেন, প্রথম প্রশ্ন যেটা মনে আসে সেটা হল, হোয়াই মি? আমি কেন? আমি তো খারাপ লোক নই, তা হলে আমার সঙ্গেই কেন হল? এই প্রশ্নগুলোই মাথায় আসত।

তার পর?

তখন বাড়িতে বসে ডিসকভারি আর ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক দেখতাম। দেখতাম ভগবানের সৃষ্টি এমন যে লাইফ ইজ সাপোজড্ টু বি আনফেয়ার। না হলে, একটা বাছুরকে তার মায়ের সামনে বাঘ খেয়ে ফেলছে আর মা হয়ে সে কিছু করতে পারছে না, সেটা কি ফেয়ার? এবং সে কত ক্ষণ সময় পাচ্ছে। মাত্র ৩০ সেকেন্ড। একত্রিশতম সেকেন্ডে সেই মাকে আবার পালের সঙ্গে হাঁটতে শুরু করতে হচ্ছে। এর থেকে বেশি আনফেয়ার আর কী হতে পারে? এগুলো দেখতাম আর ইন্সপায়ার্ড হতাম। তারপর সে প্রোগ্রামেই দেখতাম, অনেকটা পথ পেরোনোর পর সেই মা একটা শান্ত ছায়া পেয়েছে। সেখানে বসে সে জাবর কাটছে। দেখতাম, ভগবান কী রকম আরামের ব্যবস্থাও করে দিয়েছে তার জন্য। এই স্টোরিগুলো আমাকে ইন্সপায়ার করত।

শুনলাম এই অপারেশনের পরেও নাকি ‘ব্যাং ব্যাং’য়ের স্টান্ট নিজেই করেছেন?

হ্যাঁ, অপারেশনের পর প্রথম দিন শ্যুটিং ছিল শিমলাতে। গিয়ে দেখলাম আমার বডি-ডাবলকে দিয়ে সব স্টান্ট করিয়ে নেওয়া হয়েছে। আই ফেল্ট ব্যাড। তখন আমি আমার ডিরেক্টর, সিদ্ধার্থ আনন্দকে বলি এগুলো আমি নিজেই করতে চাই। এক এক করে সেই স্টান্টগুলো সব নিজে করলাম। আজকে দেখলে মনে হয় কী রিস্কটাই না নিয়েছিলাম। কিন্তু বিশ্বাস করুন, যদি রিস্কটা না নিতাম তা হলে এখনও দেখতেন আমি জুহুর ফ্ল্যাটে বসে শুধু নেগেটিভ চিন্তা নিয়ে বেঁচে আছি।

মানে স্টান্টগুলো আপনাকে সাহায্য করেছে?

হ্যাঁ, অবশ্যই। ওটা আমার ভয়ের সঙ্গে পাঞ্জা লড়া ছিল। ওই স্টান্টগুলো করার পর আই রিয়ালাইজড, জীবনে আর যতই বিপদ আসুক না কেন, আমি তার চোখে চোখ রেখে ফাইট করব। যখন ডাক্তার বলেছিল আমাকে অপারেশন করতে হবে, তখন কিন্তু আমিও ভেবেছিলাম আমি মরে যাব। এটাই জীবনের জার্নি।

সত্যি ভেবেছিলেন মরে যাবেন?

হ্যাঁ, সত্যি ভেবেছিলাম। ভেবেছিলাম আর কয়েক ঘণ্টা। তার পর যে আবার জীবনে ফিরলাম সেটা কিন্তু এই ভয়টার সঙ্গে লড়াই করেই। এবং আজকে যখন দেখছি লোকে ‘ব্যাং ব্যাং’ নিয়ে এত কথা বলছে, খালি মনে হচ্ছে আমার জীবনের ইন্টারভ্যাল পয়েন্ট ‘ব্যাং ব্যাং’। আর আমি এনশিওর করব যাতে আমার সেকেন্ড হাফটা আমার বেটার হাফ হয়ে ওঠে।

খুব ক্লেভার উত্তর এটা হৃতিক!

ক্লেভার না। সত্যি কথা।

এত যে স্টান্ট করলেন। জীবনে ফিরে এলেন। বাড়ি ফিরে তো কারও সঙ্গে শেয়ার করতে পারলেন না?

করেছি শেয়ার। আমার ফ্যামিলির সঙ্গে করেছি। আমার সাপোর্ট স্টাফদের সঙ্গে করেছি। ক্লোজ বন্ধুদের সঙ্গে করেছি।

হৃতিক, সাংবাদিক হিসেবে আমাকে এই প্রশ্নটা করতেই হবে। আমি বলতে চাইছিলাম সুজানের কথা। এত বড় ঝামেলার সময় তো সুজানকে পাশে পেলেন না...

(একটু অন্যমনস্ক) হ্যাঁ... (নীরবতা)

আই অ্যাম সরি ফর আস্কিং দিস...

নো ইট’স ওকে। (স্মিত হাসি) আভি ক্যয়া করে? জীবনে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যার কোনও ব্যাখ্যা হয় না। এটা সেই রকম একটা ঘটনা। এই সিচ্যুয়েশনের থেকে উঠে আসা নানা প্রশ্নের খোঁজে রয়েছি আমি নিজেও। নিশ্চয়ই ভগবান কোনও দিন আমাকে এই প্রশ্নের জবাব দিয়ে দেবেন। তবে ওই যে বললাম আর ‘হোয়াই মি’ আমি জিজ্ঞাসা করি না ভগবান কে। সেটার উত্তর আমি পেয়ে গিয়েছি।

উত্তরটা কী?

উত্তর একটাই। ভগবান তোমাকে দুঃখ দিচ্ছে কারণ উনি জানেন তুমি সেটা থেকে বেরোতে পারবে। অ্যান্ড হি ওয়ান্টস মি টু বি বেটার। উনি চান আমি শ্রেষ্ঠ হই। এই পুরো অধ্যায়গুলো নিয়ে কোনও দিন একটা বই লেখার ইচ্ছে আছে।

বেস্ট সেলার হবে কিন্তু...

সেটা জানি না। শুধু এটুকু জানি, আমার জীবনে সেকেন্ড হাফ উইল শিওরলি বি দ্য বেটার হাফ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন