Organ Donation facts

অঙ্গদান সম্পর্কিত কিছু অবাক করা তথ্য সম্পর্কে জানুন

বিপুল সংখ্যক জনসংখ্যার এই দেশে অঙ্গদানের হার সবচেয়ে কম। কোনও রোগীর অঙ্গ বিকল হয়ে গেলে তখন তাঁর অঙ্গদানের প্রয়োজন হয়।

Advertisement

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:১৮
Share:

প্রতীকী চিত্র

১৪০ কোটি জনসংখ্যার এই বিশাল দেশ ভারতবর্ষ। কিন্তু বিপুল সংখ্যক জনসংখ্যার এই দেশে অঙ্গদানের হার সবচেয়ে কম। কোনও রোগীর অঙ্গ বিকল হয়ে গেলে তখন তাঁর অঙ্গদানের প্রয়োজন হয়। অথচ সারা দেশে অঙ্গদানের হার একেবারেই নিম্নমানের। তবে বর্তমানে ভারতে অঙ্গের চাহিদা অনেকটাই বেশি। সেই তুলনায় অঙ্গদাতার সংখ্যা নেহাতই কম। প্রতি বছর ১৩ অগস্ট গোটা বিশ্বে অঙ্গদান দিবস হিসেবে পালিত হয়। তবে অঙ্গদানের বিষয়টি এখনও অনেক মানুষের কাছে পরিস্কার নয়। অঙ্গদান সম্পর্কিত রয়েছে বেশ কিছু অবাক করা তথ্য। জেনে নিন কী কী?

Advertisement

১) অঙ্গদান আদতে কী?

অঙ্গদান হল জীবিত বা মৃত ব্যক্তির কাছ থেকে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের প্রয়োজনে জীবিত প্রাপককে জৈবিক টিস্যু বা মানবদেহের কোনও একটি অঙ্গ দান করা।

Advertisement

২) অঙ্গদানের প্রকারভেদ: অঙ্গদান দু’ভাবে হতে পারে - ক) জীবন্ত অবস্থায় অঙ্গদান, খ) মৃত অবস্থায় অঙ্গদান। জীবিত অঙ্গদানের ক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তি তাঁর কিডনি, লিভার এবং অস্থিমজ্জার একটি অংশ দান করতে পারেন। অন্য দিকে মৃত ব্যক্তিরা তাঁদের লিভার, কিডনি, ফুসফুস, কর্ণিয়া, হৃদপিণ্ড, অগ্ন্যাশয়, অস্থিমজ্জা-সহ বিভিন্ন টিস্যু দান করতে পারেন।

৩) যে সব অঙ্গদাতারা জীবিত অবস্থায় অঙ্গদান করছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই অঙ্গদানের পরে কোনও নির্ভরতা ছাড়াই সুস্থ জীবনে ফিরে যেতে পারেন। কারণ জীবিত ব্যক্তিদের অঙ্গদানের ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির সুস্থতাকে প্রথম প্রাধান্য দেওয়া হয়।

৪) মৃত ব্যক্তির অঙ্গদানের জন্য, সম্ভাব্য দাতাকে অবশ্যই হাসপাতালে, ভেন্টিলেটরে রাখা হয়। এবং ব্যক্তি যে মৃত তা চিকিৎসকের দ্বারা নিশ্চিত করতে হবে। এই অবস্থায় ভেন্টিলেটরে থাকার সম্পূর্ণ খরচ বহন করে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল।

৫) এ ছাড়াও কোনও ব্যক্তির ব্রেন ডেথ হলে, সে ক্ষেত্রেও সেই ব্যক্তির পূর্ব সম্মতিতে অঙ্গদান করা সম্ভব। তার জন্যেও নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি রয়েছে।

৬) মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে, তাঁর অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত পরিবার নিতে পারে।

৭) চোখে গুরুতর কোনও ইনফেকশন না থাকলে যে কোনও ব্যক্তিই কর্নিয়া দান করতে পারেন। তবে খুব কম ব্যক্তিই অঙ্গদান করে অন্যকে নতুন জীবন উপহার দেওয়ার সুযোগ পান। এর দু’টি কারণ রয়েছে। প্রথমত, মরণোত্তর অঙ্গদানের সংখ্যাটা অত্যন্ত কম। দ্বিতীয়ত, মৃত ব্যক্তিকে শারীরিকভাবে পরীক্ষা করার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে তাঁর অঙ্গটি কাজে লাগবে কি না।

৮) ভারতে গত ৫ বছরে সব থেকে বেশি অঙ্গদান হয়েছে ২০১৯ সালে। ওই বছর অঙ্গদানের সংখ্যা ছিল ১২,৭৪৬।

৯) অঙ্গদানের অঙ্গীকার করার জন্য কোনও মেডিক্যাল টেস্টের প্রয়োজন হয় না।

অন্যকে নতুন জীবন দিন। এগিয়ে আসুন এবং অঙ্গীকার করুন অঙ্গদানের। ক্লিক করুন পাশের লিঙ্কে — bit.ly/47a6kLV

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন