থাইরয়েডের ওষুধ সঠিক নিয়মে খাওয়া হচ্ছে কি? ছবি : সংগৃহীত।
ওজন কমানোর জন্য বিপাকহার বৃদ্ধি করতে বলেন পুষ্টিবিদেরা। আর বিপাকহার নিয়ন্ত্রণে রাখে যে হরমোন, তা তৈরি হয় থাইরয়েড গ্ল্যান্ডে। এই থাইরয়েড গ্ল্যান্ড যখন যথাযথ ভাবে কাজ করে না, তখন হয় হরমোন বেশি নিঃসৃত হয়, নয়তো কম। এই ধরনের সমস্যা হলে বুঝতে হবে, রোগী থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছেন। যার ফলে রোগীর ওজন হয় বাড়্বে, নয়তো মারাত্মক কমে যাবে, যা থেকে তৈরি হবে আরও নানা শারীরিক জটিলতা। ওই সব জটিলতা যাতে বাড়াবাড়ির পর্যায়ে না পৌঁছোয়, তার জন্য থাইরয়েডের রোগীদের নিয়ম করে খেতে হয় ওষুধ। তবে সেই ওষুধ খাওয়ারও নিয়ম আছে। ওষুধ কতটা কাজ করবে, তা নির্ভর করে নিয়ম মেনে খাওয়া হচ্ছে কি না, তার উপর।
থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার কী কী নিয়ম মানতে হয়?
যে কোনও ওষুধ খাওয়া হয় রোগের প্রতিকারের জন্য। কিন্তু শরীর যদি ওষুধের সমস্ত গুণাগুণ গ্রহণ করতে না পারে, তবে যথাযথ ফলও পাওয়া যাবে না। তাই থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার সময় দু’টি বিষয় খেয়াল রাখতে বলা হয়।
১। থাইরয়েডের ওষুধ সব সময় খালি পেটে খাওয়া উচিত।
২। থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার পরে কিছু খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
থাইরয়েডের ওষুধ খাবার পরেই কোন কোন খাবার খাবেন না?
১। ক্যালসিয়াম বেশি আছে, এমন খাবার। যেমন দুগ্ধজাত খাবার বা প্রক্রিয়াজাত ফলের রস।
২। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার, যেমন পাঁঠার মাংস, পালংশাক, প্রক্রিয়াজাত দানাশস্য।
৩। ফাইবার বেশি আছে, এমন খাবার।
৪। সয়াবিন থেকে তৈরি খাবার, যেমন সয়ামিল্ক, টোফু ইত্যাদি।
৫। কফি।
থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার পরে কী খাবেন?
থাইরয়েডের ওষুধের সমস্ত গুণ যাতে শরীর গ্রহণ করতে পারে তার জন্য খাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার পর ৬০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলছেন চিকিৎসকেরা। তাতে শরীর ওই ওষুধ কাজে লাগানোর জন্য যথেষ্ট সময় পাবে। তবে জল খেতে অসুবিধা নেই। কারণ, জল ওই প্রক্রিয়ায় কোনও বাধা সৃষ্টি করবে না।