ছবি : সংগৃহীত।
ফল খাওয়ার নিয়ম কী? বাঙালিদের কাছে এর সহজ উত্তর মজুত। ‘ভরাপেটে ফল’। অর্থাৎ পেট ভরে খাবার খাওয়ার পরে ফল খান। সেটা সকালের প্রাতরাশের পরে হতে পারে। দুপুরের ভরপেট ভাত-ডাল-তরকারি খাওয়ার পরেও হতে পারে। কিন্তু ফল খাওয়ার সেই নিয়ম কি ঠিক। তাতে কি ফল থেকে প্রাপ্য সমস্ত পুষ্টি শরীর গ্রহণ করতে পারে? শরীরে কোনও সমস্যা হয় না?
তা যদি হত, তবে ফল খেয়ে হজমের সমস্যা হত না। ফল খেয়েই শরীরও সমস্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টি সংগ্রহ করতে পারত। তবে কি নিয়মে ভুল আছে? দিল্লির পুষ্টিবিদ গুঞ্জন তানেজা জানাচ্ছেন, ফল খাওয়ার কিছু নিয়ম সব সময় মাথায় রাখা দরকার। যাতে প্রতিটি কামড় থেকে প্রাপ্য পুষ্টির শেষবিন্দুটুকু শরীর আহরণ করতে পারে। ফল খাওয়া বৃথা না যায়।
১। ফল কেটে তাকে মিক্সারে ব্লেন্ড করে রস বানিয়ে খাওয়া নয়, গোটা ফল খান। পুষ্টিবিদ বলছেন, রস বানানোর প্রক্রিয়ায় অনেকখানি পুষ্টিগুণ বাদ চলে যায়। বাদ চলে যায় ফাইবার এবং কিছু অ্যান্টি অক্সিড্যান্টও। তাই ফল সব সময় শাঁস সমেত চিবিয়ে খাওয়াই ভাল।
২। এক সঙ্গে অনেক রকম ফল মিশিয়ে খাওয়া উচিত নয়। বিভিন্ন ফলে বিভিন্ন ধরনের এনজ়াইম থাকে। যা আলাদা আলাদা ভাবে হজমে সাহায্য করলেও একত্রে নানা বিক্রিয়ার কারণে হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে। এমনকি, পেটফাঁপার মতো সমস্যাও হতে পারে। তাই এক সঙ্গে একাধিক ফল যদি খেতেই হয়, তবে ২-৩ রকমের ফলেই সীমাবদ্ধ থাকতে বলছেন পুষ্টিবিদ।
৩। অতিরিক্ত পেকে যাওয়া বা পেকে খানিক মজে যাওয়া ফল এড়িয়ে যেতে বলছেন পুষ্টিবিদ। কারণ ওই ধরনের ফলে মিষ্টির পরিমাণ বেশি থাকে। পুষ্টির ভাগ থাকে কিছু কম। এনজ়াইমের মাত্রাও বেশি থাকায়, তা থেকে হজমের সমস্যা হতে পারে।
৪। ভরাপেটে ফল খাওয়ার তত্ত্বও পুরোপুরি ঠিক নয়। ভারী খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফল খেতে বারণ করছেন পুষ্টিবিদ। তিনি বলছেন, শরীরকে অন্তত ১ ঘণ্টা সময় দিন খাবার হজম করার জন্য। তার পরে ফল খান।
৫। অনেকেই দই দিয়ে ফলের রায়তা খান। ফ্রুট সালাডে ক্রিম ছড়িয়েও খান কেউ কেউ। পুষ্টিবিদ বলছেন, যাঁদের হজম ক্ষমতা দুর্বল, তাঁদের এটি না করাই ভাল। বিশেষ করে টক রস রয়েছে এমন ফলের সঙ্গে দুগ্ধজাত খাবার মেশাতে বারণ করছেন তিনি।