ছবি : সংগৃহীত।
ওজন কমানোর কথা ভাবলে প্রথম কোন জিনিসটি মাথায় আসে?
‘কাল থেকে যোগ ব্যায়াম শুরু করতে হবে’ ভাবেন কি? সম্ভবত না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রথমেই মনে আসে খাওয়াদাওয়া কমানোর কথা। বেশিরভাগ মানুষ ভাবেন, ‘মিষ্টি খাওয়া যাবে না’, ‘ভাজাভুজি খাওয়া বন্ধ করতে হবে’, ‘বেশি ভাত খাওয়া যাবে না’, ‘প্রতি রবিবারের মাটনও বন্ধ করা দরকার’। সোজা কথায় পছন্দের সব স্বাদকে বিদায় জানাতে হবে। তার বদলে খেতে হবে স্বাদ-গন্ধহীন দই-শসা-ওটস-চিয়াবীজ-ডালিয়া ইত্যাদি। কিন্তু যদি তা না হয়! যদি সুস্বাদু খাবার খেয়েই কমানো যায় ওজন?
পুষ্টিবিদ রমিতা কৌর জানাচ্ছেন, ওজন কমানোর জন্য স্বাদের সঙ্গে আপোস না করলেও চলে। চাইলে মুচমুচে পরোটা খেয়েও কমানো যেতে পারে ওজন। কী ভাবে সেই পরোটা বানাবেন তা-ও বলে দিয়েছেন রমিতা।
১। লাউয়ের পরোটা
নাম দেখে মুখ বেঁকাতে পারেন অনেকে। কিন্তু লাউকে কুরিয়ে নিয়ে জিরে, কাঁচালঙ্কা, ধনেপাতা দিয়ে ভেজে নিয়ে তার সঙ্গে লাল আটা বা জোয়ারের আটা মিশিয়ে পরোটা বানালে তা যেমন স্বাস্থ্যকর হবে, তেমনই সুস্বাদুও হবে। ওজন ঝরানোর জন্য লাউ যে অত্যন্ত কার্যকরী তা বহু গবেষণায় প্রমাণিত।
২। ছানার পরোটা
বাড়িতে তৈরি ছানার সঙ্গে জোয়ান, গোলমরিচ মিশিয়ে তার সঙ্গে মেশান রোস্ট করা তিসির বীজের গুঁড়ো। সেই পুর দিয়ে লাল আটা বা জোয়ারের আটার পরোটা বানিয়ে নিলেই তৈরি হবে প্রোটিনে ভরপুর পরোটা। যা ওজন কমাতে সাহায্য করবে তো বটেই সেই সঙ্গে পেশির জোরও বৃদ্ধি করবে।
৩। ়ডালের পরোটা
আগের দিনের বেঁচে যাওয়া ডাল দিয়েও বানিয়ে নিতে পারেন পরোটা। অথবা সবুজ মুগ ভিজিয়ে তা বেটে নিয়ে সেটি পেঁয়াজ, রসুন, আমচুর দিয়ে কষিয়ে আটার সঙ্গে মেখে নিয়ে বানিয়ে ফেলুন পরোটা।
৪। সব্জির পরোটা
আগের দিনের বেঁচে যাওয়া তরকারি দিয়ে পরোটার পুর বানাতে পারেন। অথবা গাজর, বিট, ক্যাপসিকাম, ফুলকপি, ব্রোকোলি বা পছন্দের যেকোনও সব্জি কুচি করে কেটে তা আদাবাটা, জিরে, লঙ্কা ইত্যাদি মশলা দিয়ে কষিয়ে পুর তৈরি করুন। তার পরে তা দিয়ে তৈরি করুন আটার পরোটা।
৫। ছাতু, মেথির পরোটা
ছাতুর পরোটাও অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ। ছাতুকে মশলা, তেল, নুন, পেঁয়াজ, রসুন, লঙ্কা দিয়ে মেখে, দরকার হলে তার মধ্যে মেথি পাতা কুচিয়ে মেখে তৈরি করুন পুর। তার পরে আটার লেচিতে পুর ভরে বেলে সেঁকে নিয়ে ঘি দিয়ে নাড়াচাড়া করে নিলেই তৈরি ছাতুর পরোটা।