প্রতীকী চিত্র। ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
আনন্দ বা মনখারাপ— মানসিক অবস্থার সঙ্গী হতে পারে সঙ্গীত। মন এবং সঙ্গীতের যোগসূত্র ওতপ্রোত। চঞ্চল মনকে শান্ত করতে এখন ‘মিউজ়িক থেরাপি’ও জনপ্রিয়।
উদ্বেগ বা শরীরে ক্লান্তি বাড়লে তা কোনও ভাবে দৈনিক কাজের উপরের প্রভাব বিস্তার করে। মনখারাপ হলে কেউ নিজের পছন্দের গান শোনেন। তাতে কোনও ক্ষতি নেই। কিন্তু মনখারাপ, উদ্বেগ বা একাকিত্বের অনুভূতি দূর করতে কী ধরনের সঙ্গীত উপকারী? কী বলছে বিজ্ঞান?
১) শাস্ত্রীয় সঙ্গীত: মনোবিদ থেকে শুরু করে মিউজ়িক থেরাপিস্টদের একাংশ মন ভাল করতে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের উপর জোর দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে ইমন বা দরবারি রাগ বিশেষ উপকারী। ভারতীয় মার্গসঙ্গীতের দীর্ঘ আলাপ মনের উপর ইতিবচাক প্রভাব ফেলে। তার তরঙ্গমাত্রা ২০০ থেকে ৮০০ হার্ৎজ়ের মধ্যে হয়, যা মস্তিষ্ক শান্ত রাখতে সাহায্য করে। ধ্যানের ক্ষেত্রে বা রাতে এই ধরনের সঙ্গীত শোনা যেতে পারে।
২) লো-ফাই: অর্থাৎ লো ফিডেলিটি সঙ্গীত। বর্তমানে এই ধরনের সঙ্গীত জনপ্রিয়। যে খানে সঙ্গীতের টেম্পো ধীর হয় (প্রতি মিনিটে ৬০ থেকে ৯০ বিট)। প্রায় হৃদ্স্পন্দনের মতো। গানের কথাও কম থাকে। তার ফলে এই ধরনের সঙ্গীতে মন দ্রুত শান্ত হয়। পড়াশোনা বা শৈল্পিক চিন্তাভাবনার সময়ে এই ধরনের সঙ্গীত উপকারী।
৩) প্রকৃতির নিজস্ব ‘সঙ্গীত’: জঙ্গল, বৃষ্টি, সমুদ্রের ঢেউ বা জলপ্রপাতের শব্দ প্রকৃতির মধ্যেই লুকিয়ে থাকে। এই ধরনের শব্দ স্নায়ুর চাপ কমাতে সাহায্য করে। এই ধরনের সঙ্গীতকে ‘অ্যামবিয়েন্ট মিউজ়িক’ও বলা হয়। মূলত ১০০ থেকে ৬০০ হার্ৎজ়ের মধ্যে শব্দ প্রক্ষেপণ, যেখানে কোনও গানের কথা, বাদ্যযন্ত্র বা তাল থাকে না। এই ধরনের সঙ্গীত বা বলা ভাল, শব্দতরঙ্গ স্নায়ুর চাপ কমাতে সাহায্য করে।