Kissing Bug

‘চুম্বন’ করলেই চর্মরোগ, বিগড়ে যাচ্ছে হার্টের ছন্দও, উৎপাত শুরু করেছে রক্তখেকো ‘কিসিং বাগ’

কালচে খয়েরি বা কালো রঙের পোকা। তার গায়ে লাল, কমলা বা হলুদের ডোরা। দেখতে নিরীহ হলেও এরা মারাত্মক। গায়ে বসলে টেনে নেবে রক্ত।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:৪৪
Share:

রক্তখেকো ‘কিসিং বাগ’ থেকে সাবধান । ছবি: ফ্রিপিক।

টিকের থেকেও বিপজ্জনক। এরা ‘চুম্বন’ করলেই ছড়াবে মারাত্মক চর্মরোগ। গোলমাল দেখা দেবে হার্টের ছন্দেও। আমেরিকার ৩২টি রাজ্যে উৎপাত করছে ‘কিসিং বাগ’। ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে বড় বড় শহরগুলিতে। আক্রান্ত বহু মানুষ। কারও সারা গায়ে র‌্যাশ, ক্ষত হচ্ছে, আবার কারও হার্টের রোগ ধরা পড়ছে। পোকা তাড়াতে হিমশিম খাচ্ছে সে দেশের স্বাস্থ্য দফতর।

Advertisement

কালচে খয়েরি বা কালো রঙের পোকা। তার গায়ে লাল, কমলা বা হলুদের ডোরা। দেখতে নিরীহ হলেও এরা মারাত্মক। গায়ে বসলে টেনে নেবে রক্ত। সে জায়গায় ছড়িয়ে দেবে সংক্রামক পরজীবী। রক্তখেকো এই পোকার দাপটে নাজেহাল মানুষজন। আমেরিকার ‘সেন্ট্রাল ফর ডিজ়িজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ (সিডিসি) জানিয়েছে, কিসিং বাগ মানুষের শরীরে বসলেই কামড়াবে। ঠিক মশার মতোই টেনে নেবে রক্ত এবং ছড়িয় দেবে জীবাণু। এই পোকার থেকে ‘ট্রাইপানোসোমা ক্রুজ়ি’ নামে এক ধরনের পরজীবীর সংক্রমণও ঘটছে, যা থেকে মারাত্মক চর্মরোগ দেখা দিচ্ছে। ক্যালিফোর্নিয়া, মিসিসিপি, টেক্সাস-সহ আমেরিকার ৩২টি রাজ্যে পোকার কামড়ে অসুস্থ বহু মানুষ।

কী রোগ ছড়াচ্ছে কিসিং বাগ’?

Advertisement

সিডিসি জানিয়েছে, পোকাটি ত্বকের যে জায়গায় ছিদ্র করে রক্ত খাচ্ছে, সেই অংশ ও তার চারপাশের ত্বক ফুলে উঠে সেখানে লালচে র‌্যাশ ও ঘা হচ্ছে। ক্ষতের জায়গা চুলকে ফেললে আরও বিপদ। সেখানকার ত্বক খসখসে হয়ে গিয়ে পুঁজ হতে পারে বা চর্মরোগ হতে পারে। পোকার কামড়ের পরই হালকা জ্বর আসছে, মাথা যন্ত্রণা ভোগাচ্ছে। তার পর শুরু হচ্ছে পেটে ব্যথা, বমি ভাব। সারা গায়ে র‌্যাশ, চোখ ফুলে উঠে লাল হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে পোকার কামড়ের পরে হার্টের সমস্যাও দেখা দিয়েছে। হার্ট ফেলিয়োর বা অনিয়মিত হৃৎস্পন্দনের সমস্যা হয়েছে অনেকের। সেই সঙ্গেই দেখা দিয়েছে হজমের গোলমালও।

পোকা কোথা থেকে আসছে, তা নিশ্চিত করে বলা যায়নি। অনুমান ইঁদুর জাতীয় প্রাণী, আর্মাডিলো বা পিপীলিকাভুক জাতীয় প্রাণীদের থেকে এই পোকার সংক্রমণ ঘটছে। কিসিং বাগ কামড়ালে যত দ্রুত সম্ভব অ্যান্টিপ্যারাসাইট ট্রিটমেন্ট করার কথা বলছেন চিকিৎসকেরা। রক্তের নমুনা নিয়ে পজ়িটিভ পেলে চিকিৎসা শুরু করে দেওয়া হবে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, পোকার কামড়ে যে পরজীবীর সংক্রমণ ঘটেছে, তা কিন্তু ছোঁয়াচে। মায়ের থেকে শিশুর শরীরেও ঢুকতে পারে। আবার রক্তের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়া বা স্নায়ুর রোগ হওয়ার আশঙ্কাও থেকে যাবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement