কোনও কারণে হঠাৎ রক্তক্ষরণ শুরু হলে ফেলে না রেখে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে হবে। ছবি: সংগৃহীত।
রক্তের ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে দিন দিন। এই রোগে আক্রান্ত হলেই অজানা মৃত্যুভয় গ্রাস করে সর্ব ক্ষণ। যে কোনও বয়সেই হতে পারে ‘ব্লাড’ ক্যানসার। শিশুদের মধ্যে এই ক্যানসারের আশঙ্কা বেশি। এই রোগে আক্রান্ত হলে রক্তের মধ্যে থাকা উপাদানগুলির অনিয়ন্ত্রিত গঠন এবং বিস্তার হতে থাকে। রক্তের ক্যানসারকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। একটি হল অ্যাকিউট বা তীব্র এবং অন্যটি হল ক্রনিক বা দীর্ঘস্থায়ী।ক্যানসার এমন এক অসুখ, যা যত তাড়াতাড়ি ধরা পড়বে, প্রাণের ঝুঁকি কমবে ততই। চিকিৎসকদের মতে, এই অসুখ ধরা পড়তেই অনেকটা সময় পেরিয়ে যায় বলেই এতে মৃত্যুর হার বাড়ে। তাই রক্তের ক্যানসারের লক্ষণগুলি জেনে রাখা দরকার।
১) দুর্বলতা, খাবারের অরুচি, বুক ধড়ফড়, পায়ে জল জমে যাওয়া, ত্বক ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া— এই লক্ষণগুলি কিন্তু রক্তের ক্যানসারের কারণ হতে পারে।
২) রক্তের ক্যানসারের আরও একটি লক্ষণ হতে পারে ঘন ঘন জ্বরে পড়া। ওষুধ খেয়েও জ্বর না কমার লক্ষণ কিন্তু ভাল নয়। দীর্ঘ দিন জ্বর থাকলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
৩) অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ ব্লাড ক্যানসারের অন্যতম উপসর্গ। কোনও কারণে হঠাৎ রক্তক্ষরণ শুরু হলে ফেলে না রেখে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে হবে।
হাড়ে তীব্র ব্যথা রক্তের ক্যানসারের অন্যতম উপসর্গ। ছবি: সংগৃহীত।
৪) হাড়ে তীব্র ব্যথা রক্তের ক্যানসারের অন্যতম উপসর্গ। অনেকেই এই উপসর্গ এড়িয়ে যান। ঝুঁকি এড়াতে হাড় কিংবা পেশিতে ব্যথা হলে তা গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।
৫) ঘুমের মধ্যে ঘেমে যান অনেকেই। কিন্তু ঘুমের মধ্যে ঘামের পরিমাণ যদি অস্বাভাবিক হয়, সে ক্ষেত্রে তা এড়িয়ে যাওয়া ঠিক হবে না।
রক্তের ক্যানসারের ধরন এক বার নির্ণয় করা গেলে তার পরে চিকিৎসার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। কেমোথেরাপি, ইমিউনোথেরাপি, রেডিয়োথেরাপি ইত্যাদি। আবার বেশ কিছু ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ রোগ নিরাময়ের জন্য অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনও করা হয়ে থাকে।