Cancer

গবেষণাগারে প্রস্তুত শ্বেত রক্তকণিকাই জব্দ করবে ক্যানসার কোষকে!

অস্ত্রোপচারের পরেও ক্যানসার কোষগুলি সম্পূর্ণ ভাবে বার করা সম্ভব হয় না। যে কোষগুলি থেকে যায় সেগুলি আবার রূপান্তরিত হয়ে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। কী ভাবে প্রতিরোধ করা যায় এই প্রবণতা, জানাচ্ছে গবেষণা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০২৩ ১১:৩১
Share:

ক্যানসারের সঙ্গে লড়ার নয়া দিশা দেখাচ্ছে বিজ্ঞান। ছবি: শাটারস্টক

এক দল গবেষক ম্যাক্রোফেজ নামক এক ধরনের শ্বেত রক্তকণিকা তৈরি করেছেন যা টিউমারগুলিকে শরীরের অন্যান্য কোষ আক্রমণ করতে বাধা দিতে পারে। স্তন, মস্তিষ্ক কিংবা ত্বকের টিউমারগুলি যখন ক্যানসারে পরিণত হয়, তখন অস্ত্রোপচার ছাড়া রোগীকে সুস্থ করার আর কোনও উপায় ‌থাকে না। তবে অস্ত্রোপচারের পরেও ক্যানসার কোষগুলি সম্পূর্ণ ভাবে বার করা সম্ভব হয় না। শরীরে যে কোষগুলি থেকে যায়, সেগুলি আবার রূপান্তরিত হয়ে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।

Advertisement

নেচার বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং জার্নালে যে শ্বেত রক্তকণিকাগুলির কথা বলা হয়েছে সেগুলি কেবল ক্যানসার কোষ নির্মূল করে না, এই কণিকাগুলি রোগপ্রতিরোধ শক্তিকে শক্তিশালী করে ভবিষ্যতে ক্যানসার কোষগুলিকে চিনে তাদের মেরে ফেলারও ক্ষমতা রাখে। ম্যাক্রোফেজ এক ধরনের শ্বেত রক্তকণিকা যা ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাস, এমনকি, ইমপ্লান্টের মতো আক্রমণকারীদের হাত থেকে শরীর রক্ষার জন্য তাদের অবিলম্বে গ্রাস করে এবং ধ্বংস করে।

ম্যাক্রোফেজের সহজাত ইমিউন শক্তি আমাদের দেহকে ভবিষ্যতে আক্রমণকারী কোষগুলিকে মনে রেখে আক্রমণ করতে শেখায়। এই পদ্ধতিতে শরীরে যে অনাক্রম্যতা তৈরি হচ্ছে তা ক্যানসারের ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রেও কাজে লাগতে পারে, মত বিজ্ঞানীদের। তবে ম্যাক্রোফেজ যা দেখতে পারে না তাকে আক্রমণও করতে পারে না।

Advertisement

আপাতত এই গবেষণাটি ট্রায়ালের পর্যায় রয়েছে। ইদুঁরের শরীরে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, এর প্রভাবে ৮০ শতাংশের দেহ থেকে টিউমারগুলি সম্পূর্ণ বার করা সম্ভব হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ার্ড ম্যাক্রোফেজ থেরাপি, অ্যান্টিবডি থেরাপির সঙ্গেই ভাল কাজ করে। শরীরে এক বার ম্যাক্রোফেজ প্রবেশ করালে ক্যানসার রোগী সেরে ওঠার পর আবার ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে বলে আশা প্রকাশ করছেন বিজ্ঞানীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement