Fruits to Satisfy Sugar Cravings

রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রেখেও মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে মেটাতে পারে ৫ ফল

প্রয়োজনের তুলনায় বেশি চিনি খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। যার ফলে হার্ট, কিডনির সমস্যা, হরমোনে সমতার অভাব দেখা দিতে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২৩ ১৩:২৫
Share:

মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে মিটবে কোন কোন ফল খেয়ে? ছবি- সংগৃহীত

আর খাবেন না ভেবেও কোনও না কোনও অজুহাতে মিষ্টিজাতীয় খাবার খেয়েই ফেলছেন। কখনও সহকর্মীর জন্মদিনের কেক, কখনও কাজ থেকে বাড়ি ফিরে মধ্যরাতে চকোলেট। কোনও কিছুই বাদ যাচ্ছে না। অথচ মেদ ঝরাতে কম কসরত করেন না। সুস্থ থাকতে গেলে যে প্রতি দিনের খাবারে চিনির পরিমাণে লাগাম টানতে হবে সে কথাও জানেন। কিন্তু মিষ্টিজাতীয় খাবার দেখলে মোটেই লোভ সামলাতে পারেন না। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি চিনি খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। যার ফলে হার্ট, কিডনির সমস্যা, হরমোনে সমতার অভাব দেখা দিতে পারে। তবে চিকিৎসকেরা বলেন, মিষ্টি খাবার খেলেই যে রক্তে শর্করা বেড়ে যাবে, এমন ধারণা ঠিক নয়। মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে এবং স্বাস্থ্য, দুইয়ের খেয়াল রাখতে গিয়ে কৃত্রিম মিষ্টির উপর ভরসা করেন অনেকেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ বলছে, দীর্ঘ দিন ধরে এই কৃত্রিম চিনি খাওয়ার অভ্যাস অজান্তেই টাইপ ২ ডায়াবিটিস, হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। তাই পুষ্টিবিদদের মত, হঠাৎ যদি মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করে, তখন পরিশোধিত চিনি বা রাসায়নিক দেওয়া কৃত্রিম চিনির বদলে, প্রাকৃতিক শর্করা বা ফ্রুক্টোজ় রয়েছে এমন ফল কিন্তু খাওয়া যেতেই পারে।

Advertisement

১) আম

Advertisement

যথেষ্ট পরিমাণ প্রাকৃতিক শর্করা রয়েছে পাকা আমে। এ ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন রকম ভিটামিন এবং খনিজ। তাই হঠাৎ মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করলে স্বাস্থ্যকর এই ফল কিন্তু খাওয়াই যায়। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, আম যদি খেতেই হয়, তবে তা বিকেল ৫টার মধ্যে খেয়ে নেওয়াই ভাল।

২) নাসপাতি

প্রতি দিন একটি করে নাসপাতি খেলে রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় থাকে। ফলে হঠাৎ রক্তে শর্করার ঘাটতি হলে বা বেড়ে গেলে যে ধরনের সমস্যাগুলি হতে পারে, তা অনেকটাই ঠেকিয়ে রাখা যায়। এ ছাড়াও নাসপাতিতে ফাইবার পরিমাণ অনেকটাই বেশি, যা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে।

৩) তরমুজ

তরমুজে মিষ্টির পরিমাণ বেশি। তাই অনেকেই মনে করেন, এই ফল খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। তবে পুষ্টিবিদেরা নিশ্চিন্তে তরমুজ খেতে বলেন। কারণ, তরমুজে থাকা ডাইউরেটিক যৌগগুলি শরীরে ‘ওয়াটার রিটেনশন’এর প্রবণতা কমায়। যার ফলে মিষ্টি খাওয়ার ঝোঁক অনেকটাই বশে থাকে।

পেয়ারার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেকটাই কম। ছবি- সংগৃহীত

৪) পেয়ারা

পুষ্টিবিদেরা বলছেন, নিয়মিত একটি করে পেয়ারা খেলেও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। পেয়ারার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেকটাই কম। এ ছাড়াও পেয়ারাতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখে। অন্ত্র ভাল থাকলে বিপাকহার উন্নত হয়।

৫) ফুটি

তরমুজের মতোই ফুটির স্বাদ মিষ্টি। তবে এতে ক্যালোরির পরিমাণ কম। তাই মিষ্টিজাতীয় কিছু খেতে ইচ্ছা করলে ফুটি খেতেই পারেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন