memory improvement tips

স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে অ্যাসিটোকোলিন, তা সচল রাখতে ৫টি পরামর্শে মুশকিল আসান হবে

প্রযুক্তিগত কারণে এই মুহূর্তে স্মৃতিশক্তি অনেকেরই দুর্বল। কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে কিছু পরিবর্তন এনে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করা সম্ভব।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২৫ ১০:৫৯
Share:

— প্রতীকী চিত্র। ছবি: সংগৃহীত।

শরীরস্বাস্থ্য ভাল রাখতে মস্তিষ্কের ভাল থাকা জরুরি। কিন্তু বর্তমান ব্যস্ত সময়ে, একাগ্রতা বজায় রাখাই কঠিন। অনেকেই সহজে ভুলে যাচ্ছেন। কারণ সমীক্ষা বলছে, সময়ের সঙ্গে মানুষের মস্তিষ্কে তথ্য প্রবেশের পরিমাণও বহু গুণ বেড়েছে প্রযুক্তিগত কারণে। কিন্তু বিশেষ একটি পদ্ধতি অনুসরণ করে স্মৃতিশক্তি প্রখর হতে পারে। নেপথ্যে রয়েছে ‘অ্যাসিটোকোলিন’ নামক একটি নিউরোট্রান্সমিটার।

Advertisement

স্মৃতি এবং ‘অ্যাসিটোকোলিন’

অ্যাসিটোকোলিন একটি নিউরোট্রান্সমিটার, যা মস্তিষ্কে স্মৃতি, শিক্ষা, মনোযোগ, উদ্দীপনা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অ্যাসিটোকোলিনের মাত্রা কমে গেলে অ্যালঝাইমার্সের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই স্মৃতিশক্তির উন্নতির জন্য অ্যাসিটোকোলিন যাতে বৃদ্ধি পায়, সেই চেষ্টা করা উচিত। সুষম আহার এবং শরীরচর্চার মাধ্যমে অ্যাসিটোকোলিনের মাত্রা বৃদ্ধি করা সম্ভব।

Advertisement

‘অ্যাসিটোকোলিন’ বৃদ্ধি করতে

১) প্রখর স্মৃতিশক্তির জন্য চাই পর্যাপ্ত ঘুম। কারণ, ঘুমের সময়েই মস্তিষ্কে অ্যাসিটোকোলিনের ক্ষরণ হয়। তাই প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন।

২) স্মৃতিশক্তিকে ব্যবহার করেই স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়। তাই অ্যাসিটোকোলিন বৃদ্ধি করতে দাবা খেলা, ধাঁধার সমাধান করা বা বই পড়া উচিত। নতুন ধরনের কোনও কাজ শিখলেও উপকার পাওয়া যেতে পারে।

৩) কাজের চাপ, অবসাদ অ্যাসিটোকোলিনের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়। সেখানে যোগাভ্যাস, শরীরচর্চা, ধ্যান মস্তিষ্ককে শান্ত রাখতে সাহায্য করে। ফলে মস্তিষ্ক ও নিউরোট্রান্সমিটারের মধ্যে যোগাযোগ সচল থাকে।

৪) যে সমস্ত খাবারে ‘কোলিন’ নামের এক পুষ্টি উপাদানের মাত্রা বেশি, তা খেলে অ্যাসিটোকোলিনের মাত্রাও বৃদ্ধি পায়। যেমন, ডিম, বাদাম, চর্বি যুক্ত মাছ, পালং শাক খাওয়া যেতে পারে।

৫) অ্যাসিটোকোলিন বৃদ্ধি করতে প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনিজাতীয় খাবার এবং অতিরিক্ত মদ্যপান করা উচিত নয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement