Way to Improve Memory

রোজের ছোট ছোট কাজ ভুলছেন, কিছুই মনে থাকছে না? মনে রাখার সহজ ৫ কৌশল রইল

ভুলে যাওয়ার সমস্যা যে স্মৃতিনাশ বা ডিমেনশিয়ার মতো বড়সড় রোগ, তা নয়। শরীরে কিছু সমস্যার কারণেও এমন হতে পারে। ভুলে যাচ্ছেন মানেই আপনি মনোরোগে আক্রান্ত নন। কেন হচ্ছে, তার কারণ জেনে নিন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৫ ১৪:৫৮
Share:

কেন এত ভুলছেন, কোনও বড় রোগ নয়, কারণ আসলে অন্য। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

বাজারের ব্যাগ নিয়ে বেরোলেন, কিন্তু ওয়ালেট নিতেই ভুলে গেলেন। আবার রাস্তায় বেরিয়ে মনে পড়ল, মোবাইলটাও ভুলেছেন। রোজের এমন ছোট ছোট জিনিস ভোলার বাতিক হয়েছে অনেকেরই। কখনও ছাতা ভুলছেন, তো কখনও চশমা। আবার রোজের জরুরি কাজও মাথা থেকে বেমালুম উধাও হয়ে যাচ্ছে। আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে পরিচিত মানুষজনের নামও ভুলে যাওয়ার সমস্যা হচ্ছে অনেকেরই। এই ভুলে যাওয়ার সমস্যা যে স্মৃতিনাশ বা ডিমেনশিয়ার মতো বড়সড় রোগ, তা নয়। শরীরে কিছু সমস্যার কারণেও এমন হতে পারে। ভুলে যাচ্ছেন মানেই আপনি মনোরোগে আক্রান্ত নন। বরং শরীরে যে ঘাটতিগুলি হচ্ছে, সেগুলি মিটিয়ে নিলেই হল।

Advertisement

কেন এত ভুলছেন?

কম ঘুম, মানসিক চাপ

Advertisement

সবচেয়ে প্রথমেই আসবে ঘুমের সমস্যা। টানা ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম না হলে মনের উপর চাপও বাড়বে। রাত জেগে কাজ করলে শরীরে ঘড়ি উল্টো নিয়মে চলে। সে ক্ষেত্রেও ভুলে যাওয়ার সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত চিন্তা, উদ্বেগ, কোনও বিষয় নিয়ে অহেতুক ভাবনাও ভুলে যাওয়ার কারণ হয়ে উঠতে পারে।

থাইরয়েড

হাইপোথাইরয়েড বা হাইপারথাইরয়েডের কারণেও ভুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। থাইরয়েড হরমোন শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ সামলায়। তাই হরমোনের গোলমাল মানেই স্মৃতির উপর তার প্রভাব পড়বে।

রক্তচাপের ওষুধ

অ্যান্টিহিস্টামিন, অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট, ঘুমের ওষুধ বা উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে স্মৃতিশক্তি লোপ পেতে পারে।

ডিহাইড্রেশন

জল কম খেলেও কিন্তু ভুলবেন বেশি। সারা দিনে পর্যাপ্ত জল পান করতেই হবে। শরীরে জলের ঘাটতি ও সোডিয়াম-পটাশিয়াম লবণের গোলমালের কারণেও স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে যেতে পারে।

অতিরিক্ত মদ্যপান

অ্যালকোহল কেবল লিভারের রোগের জন্য দায়ী নয়। এর প্রভাবে স্মৃতিশক্তিও দুর্বল হতে পারে।

মনে রাখার সহজ কৌশল কী কী?

ভুলে যতই যান না কেন, মনে রাখার পন্থাও কিন্তু সহজ। প্রতি দিন কিছু নিয়ম মেনে চললেই দেখবেন, আর ছোটখাটো বিষয়গুলো ভুলছেন না।

১) রোজের জরুরি জিনিসপত্র এক জায়গায় রাখুন, ছাতা, চশমা, ওয়ালেট, যা কিছু রোজ প্রয়োজন হয়, সেগুলি একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রাখার অভ্যাস করুন।

২) মনোরোগ চিকিৎসক শর্মিলা সরকারের পরামর্শ, রোজ সকালে উঠে কী কী কাজ করবেন, তার তালিকা বানিয়ে নিন। জরুরি কাজগুলি আগে লিখুন, তার পরে বাকিগুলি লিখুন। এই ভাবে কিছু দিন অভ্যাস করলেই দেখবেন, কাজের রুটিন তৈরি হয়ে যাবে। চিন্তাভাবনা ছন্নছাড়া হলে ভুলে যাওয়ার সমস্যা হবেই।

৩) প্রতি দিন রাতে শোয়ার পরে সারা দিন কী কী করলেন সেগুলি পর পর ভাবতে থাকুন। সকাল থেকে রাত অবধি ঘটা যে কোনও ছোট ঘটনাও মনে করার চেষ্টা করুন। কার কার সঙ্গে দেখা হয়েছে, তাঁদের নাম কী, সেগুলোও ভাবুন। এই ভাবে স্মৃতিশক্তি বাড়বে।

৪) রোজ ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি, সেই সঙ্গেই মনের অস্থিরতা কমাতে মেডিটেশন বা ধ্যান করুন। অতিরিক্ত অস্থিরতা ও উদ্বেগও কিন্তু ভুলে যাওয়ার কারণ হতে পারে। নিয়ম করে ১৫ মিনিটের ধ্যানেও মন শান্ত হবে, স্মৃতিশক্তি বাড়বে।

৫) ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার, যেমন মাছ, মাংস, ডিম, দুগ্ধজাত খাবার, বাদাম, বীজ বেশি করে খেতে হবে। পুষ্টির ঘাটতি হলেও তার প্রভাব মস্তিষ্কে ভালমতোই পড়ে।

৬) জরুরি কোনও কাজ বা তথ্য মনে রাখতে হলে, সেগুলি বার বার মনে মনে ভাবার চেষ্টা করুন। এতে মস্তিষ্কেরও ব্যায়াম হবে।

৭) একটিই কাজে মনঃসংযোগ করুন। যে কাজটি করবেন, সেটি নিয়েই ভাবুন। একই সময়ে নানা কাজে মন দেবেন না। এতে একাগ্রতা নষ্ট হয় এবং ভুলে যাওয়ার সমস্যা বাড়ে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement